ব্রাহ্মণবাড়িয়া: ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে এক রোগীর বাম কিডনির পাথর অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে অপসারণ করতে গিয়ে ডান পাশ কাটার অভিযোগ উঠেছে শফিকুল ইসলাম নামে এক চিকিৎসকের বিরুদ্ধে।
তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের সার্জারি বিভাগের সিনিয়র কনসালটেন্ট।
আজিমুলের পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, আজিমুল বেশ কিছু দিন ধরে অসুস্থতা বোধ করায় পরিবারের লোকজন জেলা শহরের একটি বেসরকারি ক্লিনিকে ডা. শফিকুলকে দেখান। ডাক্তার দেখার পর পরীক্ষা করার জন্য পরামর্শ দেন। পরে পরীক্ষার রিপোর্টে কিডনিতে পাথর ধরা পড়ে। অস্ত্রোপচার করে সেই পাথর অপসারণ করতে হবে বলে জানান ডা. শফিকুল। দিনমজুর আজিমুলের স্ত্রী বেসরকারি হাসপাতালে অস্ত্রোপচার করানোর টাকা নেই জানিয়ে আজিমুলকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করতে বলেন ডা. শফিকুলকে।
পরে গত ১৯ জুন আজিমুলকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এরপর ২৭ জুন হাসপাতালে আজিমুলের অস্ত্রোপচার করেন ডা. শফিকুল।
বুধবার (০৮ জুলাই) আজিমুলের স্ত্রী খালেদা জানান, ওইদিন সকাল ৮টার দিকে অস্ত্রোপচারের জন্য আজিমুলকে ওটিতে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু দুপুর ১টা বেজে গেলেও আজিমুলকে বের না করা হলে আমরা মনে করি, আজিমুল হয়তো ওটিতে মারা গেছেন। পরে ওটি থেকে বের করার পর আজিমুল জানান, চিকিৎসক পাথর অপসারণের জন্য প্রথমে বাম পাশে না কেটে ডান পাশ কেটে ফেলেছিলেন। এরপর আবার বাম পাশ কাটেন। পরে ডান পাশ কাটার ব্যাপারে ডাক্তারকে জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন, এটি দুর্ঘটনা।
দুই পাশ কাটার জন্য এখন আজিমুলের হাঁটাচলা করতে সমস্যা হচ্ছে বলে জানান খালেদা।
‘ভুল অস্ত্রোপচারের’ অভিযোগের ব্যাপারে বক্তব্য জানতে ডা. শফিকুল ইসলামের মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।
এ বিষয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. মো. ওয়াহীদুজ্জামান বলেন, এমন একটি ঘটনা শুনেছি। এ বিষয়ে ভালো করে জেনে এবং কাগজপত্র দেখে তারপর বলতে পারব।
বাংলাদেশ সময়: ০৯১৭ ঘণ্টা, জুলাই ৯, ২০২১
এসআই