নোয়াখালী: নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার আলাইয়াপুর ইউনিয়ন থেকে অপহৃত মহি উদ্দিন হেঞ্জু (৪০) নামে এক অটোরিকশাচালককে উদ্ধার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন র্যাব-১১।
ঘটনাস্থল থেকে ৪ অপহরণকারীকে আটক করা হয়।
মঙ্গলবার (৬ জুলাই) সকালে অপহরণকারীদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে তাদের বেগমগঞ্জ থানায় হস্তান্তর করে র্যাব।
আটকরা হলো- বেগমগঞ্জ উপজেলার আলাইয়াপুর ইউনিয়নের মিয়াপুর গ্রামের শাহ আলমের ছেলে ইয়াছিন আরাফাত ইমন (২১), একই গ্রামের শহিদ উল্যার ছেলে শাহরিয়ার হোসেন শাওন (২০), আমান উল্যাহপুর ইউনিয়নের লাকুড়িয়া গ্রামের আব্দুর রহমানের ছেলে শামীম চৌধুরী (২১) ও জীরতলি ইউনিয়নের ফাজিলপুর গ্রামের মিলন হোসেনের ছেলে হৃদয় (২০)।
জানা যায়, সোমবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে আমিনবাজার থেকে বাড়ি যাচ্ছিলেন অটোরিকশাচালক মহি উদ্দিন হেঞ্জু। পথে মিয়াপুর গোফরান কন্ট্রাক্টর বাড়ির সামনে পৌঁছালে ইয়াছিন আরাফাত ইমন ও সাগরসহ ৮/১০জন মহি উদ্দিন হেঞ্জুর গতিরোধ করে। এসময় হেঞ্জু চিৎকার দেওয়ার চেষ্টা করলে তারা তাকে হত্যার হুমকি দেয়।
পরে তারা জোরপূর্বক হেঞ্জুকে ওই বাড়ির পেছনের পুকুর পাড়ের জঙ্গলে নিয়ে যায়। ওইস্থানে নিয়ে তারা হেঞ্জুর কাছে ৫০ হাজার টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। তাদের দাবিকৃত মুক্তিপণ না দিলে হেঞ্জুকে অস্ত্র দিয়ে পুলিশে সোপর্দ ও হত্যার হুমকি দেয়। পরে অপহরণকারীরা হেঞ্জুর ব্যবহৃত মোবাইল থেকে তার ছোট ভাই সুমনকে কল দিয়ে ৫০ হাজার টাকা নিয়ে আসতে বলে।
র্যাব জানায়, অপহৃতের ভাই সোমবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে আমিনবাজার এলাকায় র্যাবের একটি টহল টিমকে দেখতে পেয়ে বিষয়টি অবগত করেন। বিষয়টি জানার পর সোয়া ৭টার দিকে গোফরান কন্ট্রাক্টর বাড়ির পেছনের জঙ্গলে অভিযান চালিয়ে অপহৃত হেঞ্জুকে উদ্ধার করা হয়। এসময় চার অপহরণকারীকে আটক করা হয়। এ ঘটনায় আরও দুইজন জড়িত বলে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটকরা জানিয়েছে।
র্যাব-১১, সিপিসি-৩, লক্ষ্মীপুর ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার খন্দকার মো. শামীম হোসেন জানান, আটক চারজন আন্তঃজেলা অপহরণ চক্রের সদস্য। তারা বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ব্যক্তিকে অপহরণ করে মুক্তিপণ আদায় করে বলে স্বীকারোক্তি দিয়েছে। এ চক্রের অপর সদস্যদের আটকের চেষ্টা চলছে। ঘটনায় অপহৃত ব্যক্তি বাদী হয়ে ছয়জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৪২ ঘণ্টা, জুলাই ০৬, ২০২১
আরএ