বরিশাল: অক্সিমিটার কিনতে ঘর থেকে বাইরে বের হয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মুখোমুখি হয়েছেন করোনায় আক্রান্ত এক ব্যাংক কর্মকর্তা। পরে তাকে ঘটনাস্থলেই অপেক্ষমাণ রেখে অক্সিমিটার কিনে এনে দেওয়া হয় এবং সেইসঙ্গে ঘর থেকে বের না হয়ে পরবর্তী যে কোনো প্রয়োজনে ৩৩৩ এ নয়তো ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটকে ফোন করে জানানোর জন্য পরামর্শ দেওয়া হয়।
শুক্রবার (০২ জুলাই) দুপুরে বরিশাল নগরের নথুল্লাবাদ এলাকায় ভ্রাম্যমাণ আদালত চলমান অবস্থায় এ ঘটনা ঘটে।
প্রতক্ষদর্শী ও স্থানীয় গণমাধ্যমের ফটো সাংবাদিক নুরুল আমিন রাসেল জানান, ঘটনার সময় সেখানে পুলিশের চেকপোস্টের পাশাপাশি ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান চলমান ছিল। তখন এক ব্যক্তি মোটরসাইকেলে করে নগরের কাশিপুরের দিক থেকে নথুল্লাবাদ বাস টার্মিনালের দিকে যাচ্ছিলেন।
তিনি জানান, এসময় মোটরসাইকেলের গতিরোধ করে চালকের পরিচয় ও তার ঘর থেকে বের হওয়ার কারণ জানতে চান জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মুশফিকুর রহমান। এসময় ওই ব্যক্তি নিজেকে কাশিপুর এলাকার বাসিন্দা ও নগরের সাগরদী এলাকার রুপালী ব্যাংকের কর্মকর্তা বলে দাবি করেন।
পাশাপাশি তিনি করোনায় আক্রান্ত বলে নিজেকে দাবি করে জানান, লকডাউনের কারণে স্ত্রীসহ পরিবারের সদস্যদের গ্রামের বাড়িতে পাঠিয়ে দিয়েছেন। তিনি বাসায় একা রয়েছেন, আশপাশে কোনো আত্মীয়স্বজনও নেই। এ কারণে অক্সিমিটার কিনতে বাধ্য হয়ে নিজেই বাইরে বের হয়েছেন।
এসময় মেহেদী হাসান নামে ওই ব্যাংক কর্মকর্তাকে হেল্পলাইনে ফোন দিয়ে সাহায্য না চাওয়ার কারণও জানতে চাওয়া হয়।
পরে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ওই ব্যক্তিকে সেখানে নিরাপদ দূরত্বে অবস্থান করিয়ে নিজের গাড়ি পাঠিয়ে অক্সিমিটার কিনে তাকে বুঝিয়ে দিয়ে বাসায় পাঠান।
জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মুশফিকুর রহমান বলেন, মেহেদি হাসান নিজের বাসা থেকে মোটরসাইকেল যোগে অক্সিমিটার কিনতে যাওয়ার সময় নথুল্লাবাদ চেক পোস্টে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। এসময় তিনি করোনা আক্রান্ত এবং অক্সিমিটার কিনতে বের হয়েছেন বলে জানান। পরে আমার গাড়ি পাঠিয়ে তার জন্য অক্সিমিটার কিনে এনে তাকে দিয়েছি।
তিনি বলেন, মেহেদী হাসানকে পরবর্তী যে কোনো সাহায্যের জন্য ৩৩৩ এ ফোন দিতে বলা হয়েছে। সেইসঙ্গে আমার নম্বর দিয়েছি, যে কোনো ধরণের সহযোগিতার জন্য। অক্সিমিটার কিনে দেওয়ার পর ওই ব্যাংক কর্মকর্তা বাসায় ফিরে গেছেন।
বাংলাদেশ সময়: ২৩২৫ ঘণ্টা, জুলাই ০২, ২০২১
এমএস/এসআই