ঢাকা: শ্রমজীবী নিম্নবিত্ত মানুষদের জীবনধারণের জন্য পর্যাপ্ত বিকল্পের ব্যবস্থা না করে শাটডাউন বা লকডাউন হলে তা তাদের চরম বিপর্যয়ের দিকে ঠেলে দেবে বলে মনে করে আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসাক)। এসব জনগোষ্ঠীর কাছে সঠিকভাবে পর্যাপ্ত সহায়তা পৌঁছে দেওয়া রাষ্ট্রের দায়িত্ব বলে বিবৃতি দিয়েছে সংস্থাটি।
লকডাউন শুরুর দিন বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে একথা জানায় আইন ও সালিশ কেন্দ্র।
বিবৃতিতে বলা হয়, ‘গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদ থেকে জানা যায়, যন্ত্রচালিত গণপরিবহন বন্ধ থাকায় এবং শিল্প ও পোশাক কারখানাগুলোর সব প্রতিষ্ঠানের কর্মজীবীদের আনা-নেওয়ার জন্য নিজস্ব পরিবহন ব্যবস্থা না থাকায় কর্মস্থলগামী মানুষদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। শত শত মানুষকে হেঁটে কর্মস্থলে যেতে দেখা দেখা গেছে। আবার কাউকে কাউকে দ্বিগুণ-তিনগুণ ভাড়া গুনে রিকশা-ভ্যানসহ নানা বিকল্প পরিবহনের দারস্থ হতে হচ্ছে, যা শ্রমজীবী মানুষদের ওপর তীব্র অর্থনৈতিক চাপ তৈরি করছে। তাছাড়া, জরুরি চিকিৎসার জন্য যাদের যন্ত্রচালিত পরিবহনের প্রয়োজন পড়ছে, তারাও বিপাকে পড়ছেন।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, করোনা ভাইরাস সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতি ঠেকাতে সরকার লকডাউনকে একটি উপায় হিসেবে ব্যবহার করছে, জনসাধারণের সুরক্ষার জন্য নিঃসন্দেহে তা মেনে চলার বিকল্প নেই। কিন্তু প্রতিবারের মতো এবারও লক্ষ্য করা যাচ্ছে, শ্রমজীবী নিম্নবিত্ত মানুষদের জীবনধারণের জন্য পর্যাপ্ত বিকল্পের ব্যবস্থা না করে এভাবে শাটডাউন বা লকডাউন দেওয়া হলে তা তাদের চরম বিপর্যয়ের দিকে ঠেলে দেবে।
‘অন্যদিকে গণমাধ্যমসূত্রে জানা যাচ্ছে, লকডাউনের প্রথম দিনেই বিধি-নিষেধ না মেনে অকারণে বাসা থেকে বের হওয়ায় বিভিন্ন এলাকা দেড় শতাধিক ব্যক্তিকে আটক করা হয়েছে। তাদের মধ্যে অনেকেই জানিয়েছেন, তারা লকডাউনের কথা জানেন না যা প্রজ্ঞাপনে উল্লেখিত বিধি-নিষেধসমূহ আরো স্পষ্ট বা সাধারণের বোধগম্য করে ব্যাপকভাবে প্রচার-প্রচারণা করা আবশ্যক। ’
বাংলাদেশ সময়: ২১৩৫ ঘণ্টা, জুলাই ০১, ২০২১
এমআইএইচ/এএ