ঢাকা: ডোপ টেস্টকে সর্বস্তরে প্রয়োগ করা প্রয়োজন উল্লেখ করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটি সভাপতি মো. শামসুল হক টুকু বলেছেন, মাদকের ভয়াবহতা উপলব্ধি করে সরকার ডোপ টেস্টের উপর জোর দিয়েছে। শিক্ষা জীবন থেকে শুরু করে একজন ব্যক্তির চাকরিতে প্রবেশ পর্যন্ত সর্বক্ষেত্রে যদি ডোপ টেস্ট বাধ্যতামূলক করা হয়, তবে মাদকের আগ্রাসন অনেকটাই কমে যাবে বলে আমি বিশ্বাস করি।
বৃহস্পতিবার (২৪ জুন) দুপুরে মাদকদ্রব্যের অপব্যবহার ও অবৈধ পাচার বিরোধী আন্তর্জাতিক দিবস উদযাপন উপলক্ষে অনলাইন জুমে এক আলোচনা অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। অনলাইনে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে আহছানিয়া মিশন মাদকাসক্তি চিকিৎসা ও পুনর্বাসন কেন্দ্র।
শামসুল হক টুকু বলেন, বাংলাদেশ বৈশ্বিক মাদকের প্রকোপ থেকে মুক্ত নয়। এ কারণে তরুণ সমাজ মাদকের ভয়াবহ রোগে আক্রান্ত। ফলে মাদকের ভয়াবহতা উপলব্ধি করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মাদকের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছেন।
তিনি আরও বলেন, মাদক যে একটি সমাজ ও একটি দেশকে ধ্বংস করে দেয় সে ব্যাপারে কারো কোন দ্বিমত নেই। তাই মাদকের আগ্রাসন রুখতে দলমত নির্বিশেষে সকলকে একযোগে কাজ করতে হবে।
ঢাকা আহছানিয়া মিশনের স্বাস্থ্য ও ওয়াশ সেক্টরের পরিচালক ইকবাল মাসুদের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) মোহাম্মদ আহছানুল জব্বার, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সুরক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব ইশরাত চৌধুরী, কেন্দ্রীয় মাদকাসক্তি নিরাময় কেন্দ্রের আবাসিক মনোচিকিৎসক ডা. রায়হানুল ইসলাম, বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টাস এসোসিয়েশনের (ক্র্যাব) ট্রেজারার এমদাদুল হক খান ও হেলথ রিপোর্টার্স ফোরামের সভাপতি তৌফিক মারুফ। অনুষ্ঠানে বিভিন্ন সরকারী সংস্থার কর্মকর্তাগণ, গনমাধ্যমকর্মী ও অনুষ্ঠান আয়োজক সংস্থা আহছানিয়া মিশন মাদকাসক্তি চিকিৎসা ও পুনর্বাসন কেন্দ্রের প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করেন।
প্রসঙ্গত, ঢাকা আহছানিয়া মিশন দীর্ঘ ৩০ বছর ধরে মাদক বিরোধী কার্যক্রম পরিচালনা করছে। এই কার্যক্রমে সমাজে সচেতনতা সৃষ্টি, মাদক নির্ভরশীলদের চিকিৎসা ও পুনর্বাসন এবং একই সঙ্গে আইনের সঠিক বাস্তবায়নসহ বিভিন্ন ইস্যুতে সরকারের নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে এডভোকেসি করছে।
বাংলাদেশ সময়: ২৩২৩ ঘণ্টা, জুন ২৪, ২০২১
এসজেএ/জেআইএম