ঢাকা, শুক্রবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

মহাব্যস্ততায় দিন কাটছে পশু খামারিদের

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯৫০ ঘণ্টা, জুন ২৪, ২০২১
মহাব্যস্ততায় দিন কাটছে পশু খামারিদের

নীলফামারী: কোরবানির গরু নিয়ে মহাব্যস্ততার মধ্যে দিন কাটছে খামারিদের। ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে বেচাকেনাও।

ফলে ফুরফুরে মেজাজে রয়েছে নীলফামারীর সৈয়দপুরের খামারিরা।

সৈয়দপুর শহরের বাঁশবাড়িতে মেসার্স ইউসুফ হৃষ্টপুষ্ট খামার ও ডেইরি ফার্মে গিয়ে দেখা যায়, কয়েকটি শেডে প্রায় ২ শতাধিক বিভিন্ন জাতের গরু ও ছাগল লালন-পালন করা হচ্ছে। কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে কৃত্রিমতা ছাড়াই এসব গরু ও ছাগল তৈরি করা হয়েছে। বিভিন্ন অফার দিয়ে খামারটি ক্রেতাদের আকর্ষণ করছেন। করোনাকালে হাট বাজারের ঝামেলা এড়াতে অনেকেই এই খামার কোরবানির পশু কিনে খামারেই রাখছেন।

খামারের মালিক রোটারিয়ান জামিল আশরাফ মিন্টু বাংলানিউজকে জানান, বাবা গুল, সাবান ও জর্দা তৈরির ব্যবসা করতেন। কিন্ত সেখানে মন বসাতে না পেরে কয়েক বছর আগে সামান্য পুঁজি নিযে এই ব্যবসা শুরু করেন। কিন্ত এখন আর পেছন ফেরে তাকাতে হয়নি তাকে। ইতোমধ্যে যথেষ্ঠ আস্থা অর্জন করেছে খামারটি।  

তিনি বলেন, গরু-ছাগল কিনে খামারে রাখার ব্যবস্থা রয়েছে। ক্রেতা চাইলে খামারে জবাইয়ের ব্যবস্থা করা হয়। নিজস্ব পরিবহনে কোরবানির গরু ও ছাগল বাড়িতে পৌঁছে দেওয়া হয়। সেই সঙ্গে বিক্রির সময় প্রাণিসম্পদ বিভাগের সুস্থ্যতার সনদপত্র দেওয়া হয়। তার খামারে ৪০ হাজার থেকে সর্বোচ্চ দেড় লাখ টাকার পর্যন্ত গরু রয়েছে।

সৈয়দপুর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. রাশেদুল হক বাংলানিউজকে জানান, সৈয়দপুরে ছোট-বড় মিলে ২ শতাধিক খামার থাকলেও নিবন্ধিত খামার রয়েছে ১২০টির মতো। এরমধ্যে ইউসুফ হৃষ্টপুষ্ট খামারটির বৈশিষ্ট হলো, এ খামারে কোনো ধরনের রাসায়নিক, এন্টিবায়েটিক বা ব্যবহার করা হয়না। প্রাণিসম্পদ বিভাগের সার্বক্ষণিক নজরদারি ও পরামর্শে খামারটি করে আয় ও সম্ভাবনার মুখ দেখছেন এই খামারের মালিক।  

বাংলাদেশ সময়: ০৯৪২ ঘণ্টা, জুন ২৪, ২০২১
এনটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।