ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

জাতীয়

সিলেটে পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালকের বাসায় গৃহকর্মী নির্যাতনের অভিযোগ!

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮২৪ ঘণ্টা, জুন ২৪, ২০২১
সিলেটে পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালকের বাসায় গৃহকর্মী নির্যাতনের অভিযোগ!

সিলেট: সিলেটে পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালকের বাসায় রুনা বেগম (১৩) নামে এক গৃহকর্মীকে বাথরুমে আটকে রেখে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে।

বুধবার (২৩ জুন) বিকেলে সিলেট নগরের শাহজালাল উপশহর ই-ব্লকের ২১ নম্বর ফিরোজা মঞ্জিল নামক বাসায় এ ঘটনা ঘটে।

 

ওই বাসাতে ভাড়া থাকেন পরিবেশ অধিদপ্তর সিলেটের বিভাগীয় পরিচালক এমরান হোসেন ও ব্যাংকার ফাহমিদা হোসেন দম্পতি।

ওই দিন বিকেলে স্থানীয় কাউন্সিলরকে নিয়ে গৃহকর্মীকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ। উদ্ধার হওয়া রুনা বেগম ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলের উবায়েদের মেয়ে। সে একমাস ধরে ওই বাসায় কাজ করতো বলে জানায় পুলিশ।

স্থানীয়দের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, বাসার আশপাশের বাসিন্দারা বাথরুম থেকে একটি মেয়ের চিৎকার শুনতে পান। তাৎক্ষণিক ঘটনাটি ছড়িয়ে যায় ওই বাসায় গৃহকর্মীকে নির্যাতন করা হচ্ছে। খবর পেয়ে সিলেট সিটি করপোরেশনের ২২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর অ্যাডভোকেট সালেহ আহমদ সেলিমও ঘটনাস্থলে ছুটে যান। পরে গৃহকর্মীকে উদ্ধার করে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়।

তাৎক্ষণিক ওই বাসার গৃহকর্মী ফাহমিদা হোসেন সংবাদমাধ্যমে বলেন, তার স্বামীর তাকে ফোন করে বলেন বাসায় কি যেন হয়েছে। লোকজন ফোন করছে। বাসায় গিয়ে দেখেন বাথরুমের দরজা ভেতর থেকে তালাবদ্ধ ওই গৃহকর্মীর নাকি জিনে আছর করার নাম করে গায়ে মরিচ লাগানোর চেষ্টা করতো। বাথরুমে ঢোকে সে নিজে থেকেই ছিটকিনি ভেতর থেকে আটকে দেয়।

অথচ থানা পুলিশের কাছে গিয়ে তিনি ভিন্ন কথা বলেন ওই গৃহকর্মী নাকি তার সন্তানদের গায়ে গুড়া মরিচ লাগিয়ে দিতো। তাতে নাকি সে আনন্দ পেতো। এ কারণে তাকে শাসন করতে বাথরুমে আটকে রেখে বলেছিলেন, পুলিশের হাতে তুলে দেবেন। তখন সে চিৎকার চেঁচামেচি করে। তাছাড়া কিশোরী নাকি কাজ করতে চায়নি। তাই এমনটি করছিলো।  

এদিকে স্থানীয়রা অভিযোগ করেন, প্রায় দিনই ওই বাসা থেকে গৃহকর্মীর চিৎকারের আওয়াজ শুনতে পেতেন তারা। তাকে বাথরুমে আটকে রেখে নির্যাতন করায় কিশোরীটি চিৎকার করতো।

এসএমপির শাহপরান (র.) থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সৈয়দ আনিসুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, কিশোরীটি অবুঝ প্রকৃতির। এ অবস্থায় একমাস আগে বাসায় কাজে আসে। সে নাকি বাচ্চাদের গায়ে মরিচ লাগিয়ে দিতো। যে কারণে গৃহকর্ত্রী ফাহমিদা হোসেন বাথরুমে আটকে ভয় দেখানোয় সে চিৎকার করে। তবে এ ঘটনায় ফাহমিদা হোসেনকে থানায় নিয়ে যাওয়া হলেও পরে ছেড়ে দেওয়া হয়। তাছাড়া গৃহকর্মীর বাবাকে খবর দেওয়া হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ০৮১৫ ঘণ্টা, জুন ২৪, ২০২১
এনইউ/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।