ঢাকা, বুধবার, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

গাবতলীতে নেই দূরপাল্লার বাস, ভোগান্তিতে যাত্রীরা 

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২৪৫ ঘণ্টা, জুন ২৩, ২০২১
গাবতলীতে নেই দূরপাল্লার বাস, ভোগান্তিতে যাত্রীরা 

গাবতলী থেকে (ঢাকা): দেশে ফের করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ সার্বিক কার্যাবলী ও চলাচলের বিধিনিষেধ আরোপ করে প্রজ্ঞাপন জারি করায় রাজধানীর ব্যস্ততম বাস টার্মিনাল গাবতলীতে থেকে কোনো ধরনের দূরপাল্লার যানবাহন চলাচল করছে না।

বুধবার (২৩ জুন) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত এ টার্মিনাল থেকে দূরপাল্লার যান চলাচল বন্ধ রয়েছে।

হঠাৎ করে যানবাহন বন্ধ হয়ে যাওয়ায় ভোগান্তিতে পড়েছেন সাধারণ যাত্রীরা। সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত সরেজমিনে রাজধানীর গাবতলী বাস টার্মিনাল ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।

গত রোববার (২০ জুন) পাবনা থেকে চিকিৎসার জন্য ঢাকা এসেছেন শাহানা পারভীন। তিনি স্বামী, ছেলে ও মেয়েকে নিয়ে ধানমন্ডির শুক্রাবাদে ভাগ্নির বাসায় ওঠেন। চিকিৎসা শেষে বাড়ি ফিরতে গাবতলীতে বাসের জন্য অপেক্ষা করতে দেখা যায় তাদের।  

শাহানা পারভিন বাংলানিউজকে বলেন, তিন দিন আগে ঢাকায় এসেছি ডাক্তার দেখাতে। এখন বাড়ি ফিরে যাবো কিন্তু গাড়ি পাচ্ছি না। এখন আমার বাড়ি যাওয়া খুবই জরুরি। কিন্তু গাবতলীতে এসে গণপরিবহন না পেয়ে স্বামী ও সন্তান নিয়ে বিপদে পড়েছি।

এদিকে অসুস্থ শাশুড়ির চিকিৎসা জন্য নিকুঞ্জ বশার টাঙ্গাইল থেকে মঙ্গলবার (২২ জুন) ঢাকায় এসেছেন। হাসপাতালে শাশুড়িকে ভর্তি করিয়ে আবার বাড়ি ফিরতে গাবতলী বাস টার্মিনালে আসেন তিনি।  

নিকুঞ্জ বলেন, মঙ্গলবার আমার শাশুড়ির চিকিৎসার জন্য টাঙ্গাইল থেকে ঢাকায় নিয়ে আসি। শাশুড়িকে বারডেম হাসপাতালে ভর্তি করেছি। জরুরি প্রয়োজনে আবারও গ্রামের বাড়ি টাঙ্গাইল ফিরতে হচ্ছে। করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় গণপরিবহন বন্ধ থাকায়, কষ্ট হলেও আমাকে ভেঙে ভেঙে বাড়ি ফিরতে হবে।

সিএনজি অটোরিকশা চালক শ্রী সুনীল বাংলানিউজকে বলেন, টাঙ্গাইল থেকে মেয়ে এবং নাতি-নাতনিকে বেড়ানোর জন্য ঢাকায় এনেছিলাম। এখন বাড়িতে রেখে আসতে যাচ্ছি। হঠাৎ করে গণপরিবহন বন্ধ হয়ে যাওয়ায়, মেয়ে, নাতি-নাতনিকে নিয়ে কষ্ট হলেও কোনো মতে গাবতলীটা পার হবো। আমিনবাজার গিয়ে যদি কোনো গণপরিবহন পাই তাহলে মেয়েকে টাঙ্গাইল রেখে আবার ঢাকা ফিরে আসবো।

গাবতলীতে দায়িত্বরত দারুসসালাম জোনের ট্রাফিক সার্জেন্ট মির্জা মো. জহিরুল ইসলাম লিটন বাংলানিউজকে বলেন, গণপরিবহন ঢাকার বাইরে যাওয়া বন্ধ রয়েছে। জরুরি প্রয়োজন বাদে, আমরা প্রাইভেটকার তল্লাশি করছি। যেসব প্রাইভেটকার সরকারি আইন অমান্য করছে তাদের বিরুদ্ধেই আমরা আইনি ব্যবস্থা নিচ্ছি।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, মালবাহী গাড়িতে করে মানুষ ঢাকার বাইরে যাচ্ছে না। মানুষ এখন অনেক সচেতন। সরকারি আদেশ অমান্য করায় একটি প্রাইভেটকারকে তিন হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

এর আগে, সোমবার (২১ জুন) করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ সার্বিক কার্যাবলী/চলাচলের বিধিনিষেধ আরোপ করে প্রজ্ঞাপন জারি করে।

প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী মানিকগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ, মুন্সিগঞ্জ, গাজীপুর, মাদারীপুর, রাজবাড়ী, গোপালগঞ্জ জেলাগুলোতে সার্বিক কার্যাবলী (জনসাধারণের চলাচলসহ) ২২ জুন সকাল ৬টা থেকে আগামী ৩০ জুন মধ্যরাত পর্যন্ত বন্ধ রাখার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

এ কারণে ঢাকা থেকে কোনো দূরপাল্লার বাস ছাড়ছে না এবং কোনো দূরপাল্লার বাস ঢাকায় প্রবেশও করতে পারছে না।

বাংলাদেশ সময়: ১২৪৫ ঘণ্টা, জুন ২৩, ২০২১
এমএমআই/আরআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।