ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ৫ বৈশাখ ১৪৩১, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৮ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

থেমে নেই দূরপাল্লার বাস, ছেড়ে যাচ্ছে বিভিন্ন জেলায়

সাগর ফরাজী, সাভার করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৩৪ ঘণ্টা, জুন ২২, ২০২১
থেমে নেই দূরপাল্লার বাস, ছেড়ে যাচ্ছে বিভিন্ন জেলায় ছবি: বাংলানিউজ

সাভার (ঢাকা): দেশের কয়েকটি জেলায় আবারো ‘লকডাউন’ ঘোষণা করেছে সরকার। এবারের লকডাউন দেশের সাতটি জেলায়।

বিশেষ করে রাজধানী ঢাকার আশপাশের জেলাগুলোতে এ লকডাউন কার্যকর করা হয়েছে। মঙ্গলবার (২২ জুন) ভোর থেকে শুরু হওয়া এই বিধি-নিষেধ চলবে আগামী ৩০ জুন পর্যন্ত।  

করোনার সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে এই সাতটি জেলায় জরুরি সেবা ছাড়া সব ধরনের চলাচল ও কার্যক্রম বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। কিন্তু এ সিদ্ধান্ত মানছে না অনেক দূরপাল্লার বাস।

এত বিধি-নিষেধের পরেও সকাল থেকেই সাভারের আশুলিয়ার বাইপাইল বাসস্ট্যান্ড থেকে দূরপাল্লার বাস উত্তরবঙ্গের জেলাগুলোর উদ্দেশে ছেড়ে যেতে দেখা গেছে।

দুপুরে বাইপাইল বাস কাউন্টারে গিয়ে দেখা গেছে, টিকিট বিক্রি হচ্ছে ও হাকডাক দিয়ে দূরপাল্লার বাসে যাত্রী উঠানো হচ্ছে। কয়েকটি পরিবহন চলতে দেখা গেছে নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়ক দিয়ে। এর মধ্যে নাবিব পরিবহন, মাহী এন্টার প্রাইজ, আহাদ এন্টার প্রাইজ ও শ্যামলী পরিবহন যাত্রী নিয়ে উত্তর বঙ্গের দিকে রওনা হয়েছে।

অভিযোগ রয়েছে, এসব বাস বাইপাইল থেকে যাত্রী তুলে কিছু দূরে যাওয়ার পর ফের যাত্রী নামিয়ে দেয়। এতে যাত্রীরা দুর্ভোগে পড়ে। এছাড়া যাত্রীদের থেকে টাকা নিয়ে সেই টাকার ফেরতও দিতে চান না বাস স্টাফরা।

গাবতলী থেকে দূরপাল্লার একটি বাস যাত্রী নিয়ে ছেড়ে আসে বাইপাইলে। এখানে এসেও যাত্রী তুলছেন তারা। বাসটির চালক মিজান বাংলানিউজকে বলেন, আমি সোমবার (২১ জুন) গাড়ি নিয়ে গাবতলী যাই। মঙ্গলবার আবার ফিরে যাচ্ছি। তাই ভাবলাম কয়টা যাত্রী নিয়েই যাই। যেহতু গিয়েই গাড়ি বন্ধ করে দিতে হবে।

বগুড়া যাবে এনএন পরিবহনের একটি বাস। মিজানুর রহমান খান নামে এক যাত্রী বাংলানিউজকে বলেন, হঠাৎ এভাবে বাস চলাচল বন্ধ করে দিলে কীভাবে হবে। আশুলিয়ায় এসেছি ২১ জুন রাতে। পরে শুনি লকডাউন। ২২ জুন বাড়ি যাবো, কিন্তু বাস নাই! তাই যেটা পেয়েছি সেটাতেই উঠেছি। আগে বাড়ি যাই, তারপর যা ইচ্ছা তা হোক।

বাইপাইলে জামালপুর ও শেরপুরের তিনটি পরিবহনের কাউন্টারের দায়িত্বে আছেন রফিকুল ইসলাম। তিনি এখনো কাউন্টারে বসেই টিকিট বিক্রি করছেন। তার কাউন্টারে গিয়ে কথা হয় তার সঙ্গে। তিনি বাংলানিউজকে বলেন, কাউন্টার খোলা রেখেছি কারণ যে বাসগুলো এখনো সড়কে আছে, সেগুলোর টিকিট ছাড়ছি। আর ২২ জুন থেকেই বাস বন্ধ করে দিব।

এদিকে, নবীনগর-চন্দ্রা, ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের বিভিন্ন এলাকায় রাস্তার দু’পাশে বসানো হয়েছে চেকপোস্ট। পাশেই অবস্থান করছেন পুলিশ সদস্যরা। কোনো যানবাহন আসতে দেখলেই গতিরোধ করে জিজ্ঞাসাবাদ করছেন তারা।

এ বিষয়ে সাভার জোনের ট্রাফিক ইনচার্জ (টিআই) আব্দুস সালাম বাংলানিউজকে বলেন, আমরা দূরপাল্লার বাস চলতে দিচ্ছি না। এছাড়া গাবতলী থেকে তো কোনো পরিবহনই ছাড়া হচ্ছে না, সেটা হোক দূরপাল্লার বা গণপরিবহন। সড়কের বিভিন্ন স্থানে চেকপোস্ট রয়েছে। আর ঢাকা-আরিচা সড়কের আমিন বাজার অংশে কিছুটা গাড়ির চাপ আছে। সেজন্য বিভিন্ন স্থানে পুলিশ রয়েছে, যেন উল্টো পথে কোনো পরিবহন ঢুকতে না পারে।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৩০ ঘণ্টা, জুন ২২, ২০২১
এসআরএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।