ঢাকা: যথাযোগ্য মর্যাদায় নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে শুক্রবার সারাদেশে পালিত হয়েছে মহান শিক্ষা দিবস।
পাকিস্তান সরকারের গণবিরোধী, শিক্ষা সংকোচনমূলক শিক্ষানীতি চাপিয়ে দেওয়ার প্রতিবাদে এবং একটি গণমুখী শিক্ষানীতি প্রবর্তনের দাবিতে ১৯৬২ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর ছাত্র-জনতার ব্যাপক গণআন্দোলনের রক্তাক্ত স্মৃতিবিজড়িত দিন ছিল এই শিক্ষা দিবস।
৪৭ বছর আগে তৎকালীন পাকিস্তানি সামরিক শাসক আইয়ুব খানের চাপিয়ে দেওয়া ‘শরীফ কমিশনের’ শিানীতি প্রতিহত করতে গড়ে উঠেছিল ব্যাপক ছাত্র আন্দোলন। ছাত্র ইউনিয়নের নেতৃত্বাধীন ‘অল পার্টি স্টুডেন্ট অ্যাকশন কমিটি’ দেশব্যাপী হরতাল কর্মসূচির ডাক দেয়। ছাত্র-জনতার আন্দোলনকে দমাতে পাকিস্তানি সামরিক জান্তা লেলিয়ে দেয় পুলিশ বাহিনী। এরই এক পর্যায়ে ১৭ সেপ্টেম্বর হাইকোর্ট মোড়ে ছাত্রদের মিছিলে পুলিশ গুলি চালায়। এতে মোস্তফা, বাবুল, ওয়াজীউল্লাহ প্রমুখ শহীদ হন।
সেই থেকে বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও ছাত্র সংগঠন প্রতি বছর এ দিনটিকে ‘মহান শিক্ষা দিবস’ হিসেবে পালন করে আসছে।
দিবসটি উপলে জাতীয় প্রেসকাবের কনফারেন্স লাউঞ্জে সকাল ১১টায় আলোচনা সভার আয়োজন করে জাতীয় শিক-কর্মচারী ফ্রন্ট। দেশের ১১টি শিক-শিক্ষাকর্মী সংগঠনের মোর্চা `জাতীয় শিক-কর্মচারী ফ্রন্ট` আয়োজিত এ আলোচনা সভায় শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
আলোচনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জাতীয় শিক্ষানীতি-২০০৯ প্রণয়ন কমিটির কো-চেয়ারম্যান ড. কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক ও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. কাজী শহীদুল্লাহ।
সভাপতিত্ব করেন `জাতীয় শিক-কর্মচারী ফ্রন্টের প্রধান সমন্বয়কারী ও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার অধ্য কাজী ফারুক আহমেদ।
এর আগে সকালে হাইকোর্টের সামনে যে স্থানটিতে ১৯৬২ সালে পুলিশ আন্দোলনকারীদের ওপর গুলি চালিয়েছিল, সেখানে নির্মিত শিক্ষা অধিকার চত্বরে শ্রদ্ধা নিবেদন করে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় সংসদ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা, জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল কেন্দ্রীয় কমিটি ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা, প্রগতিশীল ছাত্র জোট, ছাত্র ইউনিয়ন, ছাত্রমৈত্রী ও ছাত্রফ্রন্টের নেতাকর্মীরা।
এছাড়া বিভিন্ন ছাত্র সংগঠন দিবসটির তাৎপর্য তুলে ধরে আলোচনা সভার আয়োজন করে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৫৪ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৭, ২০১০