ঢাকা: রাজধানীর কদমতলীর মুরাদপুর এলাকার একটি বাসা থেকে বাবা-মা ও মেয়ের মরদেহ আইনি প্রক্রিয়া শেষে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ।
শনিবার (১৯ জুন) কদমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জামাল উদ্দিন মীর জানান, সন্ধ্যার আগেই ৩টি মরদেহ কদমতলী থানা পুলিশ ঢাকা মেডিক্যালে মর্গে পাঠিয়েছে।
হাসপাতালে মর্গের সরকারি সেকান্দার জানান, কদমতলী থানা পুলিশ ৩টি মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ঢামেক মর্গে নিয়ে আসছে। রোববার (২০ জুন) তিনটি মরদেহের ময়নাতদন্ত হবে।
রাজধানীর কদমতলীর মুরাদপুর এলাকার একটি বাসা থেকে বাবা-মা ও মেয়ের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। ধারণা করা হচ্ছে, পারিবারিক কলহের জেরে এক মেয়ে পরিবারের বাকি সবাইকে কৌশলে বিষাক্ত কিছু পান করিয়ে হত্যা করেছেন। শনিবার সকালে কদমতলীর মুরাপুরের ২৮ নম্বর রজ্জব আলী সরদার রোডের ৫তলা বাসার দ্বিতীয়তলা থেকে মরদেহগুলো উদ্ধার করে পুলিশ। ধারণা করা হচ্ছে, পারিবারিক কলহের জেরে এক মেয়ে পরিবারের বাকি সবাইকে কৌশলে বিষাক্ত কিছু পান করিয়ে হত্যা করেছেন। নিহতরা হলেন-মাসুদ রানা (৫০), তার স্ত্রী মৌসুমী ইসলাম (৪০) ও মেয়ে জান্নাতুল (২০)।
পুলিশ জানায়, মরদেহগুলো হাত-পা বাধা অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে বিষাক্ত কিছু প্রয়োগের আলামত পাওয়া গেছে। আলামতগুলো পরীক্ষার জন্য সংগ্রহ করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় সংকটাপন্ন অবস্থায় মেহজাবিন মুনের স্বামী শফিকুল ইসলাম ও তাদের শিশু সন্তানকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে শফিকুলকে মিটফোর্ড হাসপাতালে পাঠানো হয়। তবে তাদের শিশুসন্তান আশঙ্কামুক্ত রয়েছে, তাকে ঢামেকের শিশু ওয়ার্ডে ভর্তি করে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
অসুস্থ শফিকুল ইসলাম জানান, তাদের বাসা কদমতলীর বাগানবাড়ি এলাকায়। শুক্রবার (১৮ জুন) রাত ৯টার দিকে স্ত্রী ও মেয়েকে নিয়ে শ্বশুরবাড়ি যান। রাতে মেহজাবিন তাদের সবাইকে নুডুলসসহ অনেক কিছু খেতে দেয়। বাসার সবাই খেয়েছে, কিন্তু পরে কি হয়েছে এ বিষয়ে তার কিছুই স্পষ্ট মনে নেই। স্ত্রী মুনের সঙ্গে গত তিন মাস ধরে তার সম্পর্ক ভালো যাচ্ছিলো না। মুনের সঙ্গে তার বাবা-মায়েরও সম্পর্ক ভালো ছিল না বলে জানান শফিকুল।
বাংলাদেশ সময়: ২০৩৮ ঘণ্টা, জুন ১৯, ২০২১
এজেডএস/এএটি