ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

জাতীয়

হঠাৎ ৫০০ কোটি টাকার কিট-পিপিই কেনার তোড়জোড়

মফিজুল সাদিক, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৩০ ঘণ্টা, জুন ১৯, ২০২১
হঠাৎ ৫০০ কোটি টাকার কিট-পিপিই কেনার তোড়জোড়

ঢাকা: প্রকল্প সংশোধন না করে হঠাৎ ৫০০ কোটি টাকায় করোনা টেস্টিং কিট ও পিপিই (ব্যক্তিগত সুরক্ষা সরঞ্জাম) কেনার জন্য তোড়জোড় শুরু করেছে স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ। বিষয়টি নিয়ে দ্বিমত প্রকাশ করেছে পরিকল্পনা কমিশন।

 

জানা গেছে, আন্তঃখাত সমন্বয় করে চলমান প্রকল্পের আওতায় কিট-পিপিই কেনার জন্য প্রস্তাব করেছে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ। কিন্তু প্রস্তাবিত পরিবর্তনকে আন্তঃখাত সমন্বয় হিসেবে বিবেচনা করা সম্ভব নয় বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছে পরিকল্পনা কমিশন। বলা হয়েছে, প্রকল্প সংশোধন না করে এ ধরনের কেনাকাটা করা যাবে না।  

অন্যদিকে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ জানিয়েছে, ‘কোভিড-১৯ রেসপন্স ইমার্জেন্সি অ্যাসিসটেন্স’ প্রকল্পের আওতায় এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সমগ্র প্রক্রিয়ায় আর্থিক ও পরিকল্পনা শৃঙ্খলা বজায় রাখা যেমন আবশ্যক, তেমনি অপরাপর উন্নয়ন প্রকল্পের দৃষ্টিকোণ থেকে এ প্রকল্পটি বিবেচনা না করাই যৌক্তিক। কারণ এটি একটি বিশেষ পরিস্থিতি মোকাবেলার জন্য জরুরিভাবে বাস্তবায়নযোগ্য প্রকল্প। আন্তঃখাত সমন্বয় হিসেবে বিবেচনা করেই পিপিই-কিট কেনা সম্ভব।

পিপিই-কিট কেনা প্রসঙ্গে পরিকল্পনা কমিশনের আর্থ-সামাজিক বিভাগের যুগ্মপ্রধান (স্বাস্থ্য উইং) মো. আবু ইউসুফ মিয়া বাংলানিউজকে বলেন, প্রকল্প সংশোধন না করে ৫০০ কোটি টাকা ব্যয় করে পিপিই-কিট কেনা সম্ভব না। আন্তঃখাত সমন্বয় করে প্রকল্পের আওতায় এতো বিশাল পরিবর্তন সম্ভব নয়।

সূত্র জানায়, করোনা মোকাবিলায় বাংলাদেশের সক্ষমতা বৃদ্ধিসহ সংক্রামক রোগ প্রতিরোধ, নিয়ন্ত্রণ, চিকিৎসা ব্যবস্থা উন্নতিকরণ এবং জরুরি প্রস্তুতি ব্যবস্থা শক্তিশালী করার লক্ষ্যে বাংলাদেশ সরকার ও এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) ঋণ সহায়তায় প্রকল্পটি গ্রহণ করা হয়েছিল। গত বছরের এপ্রিল থেকে ২০২৩ সালের জুন মেয়াদে প্রকল্পটি বাস্তবায়নের কথা ছিল। মোট প্রাক্কলিত ব্যয় ছিল ১ হাজার ৩৬৪ কোটি ৫৬ লাখ টাকা। যার মধ্যে এডিবির অর্থায়ন ৮৪৯ কোটি ৯৬ লাখ ৮৭ কোটি টাকা এবং জিওবি (সরকারি) অর্থায়ন ৫১৪ কোটি ৫৯ লাখ টাকা।  

স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (পরিকল্পনা অনুবিভাগ) মো. হেলাল উদ্দিন বাংলানিউজকে বলেন, চলমান প্রকল্পের মাধ্যমে ৫০০ কোটি টাকা ব্যয় করে জরুরি ভিত্তিতে কিট-পিপিই কেনা হবে।

পরিকল্পনা কমিশনের দ্বিমতের বিষয়ে জানতে চাইলে হেলাল উদ্দিন বলেন, বিষয়টি আলোচনার পর্যায়ে আছে। এখনো চূড়ান্ত হয়নি।

বাংলাদেশ সময়: ২০৩০ ঘণ্টা, জুন ১৯, ২০২১
এমআইএস/এজে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।