ঢাকা, বুধবার, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

‘তিন দিনের মধ্যে গাজীপুরের সড়কের খানাখন্দ মেরামত হবে’

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০১১ ঘণ্টা, জুন ১৯, ২০২১
‘তিন দিনের মধ্যে গাজীপুরের সড়কের খানাখন্দ মেরামত হবে’

গাজীপুর থেকে: আগামী তিন দিনের মধ্যে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের গাজীপুর অংশের সড়কের সমস্ত খানাখন্দ ও গর্ত মেরামত করা হবে বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সেতু বিভাগের সচিব মো. আবু বকর সিদ্দিক।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাদের নির্দেশ দিয়েছেন, যে কোনোভাবে গাজীপুরের এই জনদুর্ভোগ দ্রুত দূর করতে হবে।

সচিব বলেন, আজ আমি দুজন সাব-কন্ডাক্টরকে নির্দেশ দিয়েছি আগামী তিন দিনের মধ্যে দিন-রাত ২৪ ঘণ্টা কাজ করে এই সড়কের সৃষ্টি হওয়া খানাখন্দসহ সমস্ত মেরামত কাজ শেষ করতে হবে। আগামী তিন দিন পর আমি আবারও এই স্থানে পরিদর্শনে আসব।

শনিবার (১৯ জুন) দুপুরে ঢাকা-ময়মনসিংহ সড়কের গাজীপুর অংশের সড়কের বেহাল পরিস্থিতে ও চলমান উন্নয়ন কাজের পরিদর্শনে গিয়ে এসব কথা বলেন সেতু বিভাগের সচিব।

তিনি বলেন, ঢাকা ময়মনসিংহ মহাসড়কের গাজীপুর অংশে নির্মাণ কাজ চলছে। এদিকে বর্ষাকাল শুরু হয়েছে। বৃষ্টির পানিতে এই সড়কে অনেক খানাখন্দ ও গর্ত তৈরি হয়ে গেছে। উত্তরা হাউজ বিল্ডিং থেকে টঙ্গী চেরাগআলী পর্যন্ত রাস্তা এখন সম্পূর্ণ অকেজো বলা চলে। এগুলোকে কীভাবে সমাধান করতে পারব, সে বিষয়ে আলাচনা করা হচ্ছে। প্রাথমিকভবে আমাদের তিনটি কাজ করতে হবে—অকেজো রাস্তাগুলো মেরামত করা দরকার, সড়কের খানাখন্দ ও গর্তগুলো মেরামত করা দরকার এবং সড়কের ড্রেনেজ সিস্টেমকে চালু রাখা দরকার।

তিনি বলেন, এই সড়কে (ঢাকা-ময়মনসিংহ) যানবাহনের প্রচণ্ড চাপ রয়েছে। আমাদের আওতাধীন রাস্তায় ইটের সলিংয়ের উপর এসডিডি ঢালাইয়ের কাজ চলছে। তবে এখানে নির্মাণ কাজে জনবলের সংখ্যা খুব কম। এই অঞ্চলে দুইজন সাব-কন্ডাক্টর নিয়োগ করা হয়েছে। একজন বলেছেন, তার অধীনে ৪২ জন কাজ করেন, অপরজন বললেন তার অধীনে ১৮ জন কাজ করেন।

‘ঠিকাদারদের বলা হয়েছে, আপনাদের যদি দশদিন কাজ করতে ৫০ জন করে ৫০০ লোক লাগে, তবে আপনারা সেই কাজ দুই দিনে করে দেবেন। যদি কাজের জন্য লোক না পান, তবে আমাকে বলবেন, আমি লোক দেব। তারা (ঠিকাদার) রাজি হয়েছেন, লোক বেশি লাগলেও সড়কটি ঠিক করে ফেলবেন বলে কথা দিয়েছেন। ’

সচিব আরও বলেন, সড়কের পাশে বেশ কিছু স্থাপনা ছিল, সেগুলো সরিয়ে ফেলে সড়কটিকে আরও বড় করা হয়েছে। আমি মনে করছি আগামী দুই থেকে তিনদিনের মধ্যে উত্তরা হাউজ বিল্ডিং থেকে টঙ্গী চেরাগআলী পর্যন্ত সড়ক ঠিক হয়ে যাবে।

ঢাকা-ময়মনসিংহ সড়কের গাজীপুরে চেরাগআলী অংশের কাজের মেয়াদ ২০২২ সালে শেষ হবার কথা রয়েছে। কিন্তু এরই মধ্যে তিন দফায় কাজের মেয়াদ ও নির্মাণ ব্যয় বাড়ানো হয়েছে। তবে যাত্রীদের দুর্ভোগ কমছে না এবং কাজও শেষ হচ্ছে না কেন? এই প্রশ্নের জবাবে সেতু বিভাগের সচিব আবু বকর সিদ্দিক বলেন, আমাদের এই অংশে ১২০০ কোটি টাকার বেশি ব্যয় ধরা হয়েছে। সে ক্ষেত্রে ৫০ শতাংশ কাজ আমাদের হয়েছে। চীনের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কাজটি নিয়েছে, করোনা পরিস্থিতির কারণে এই কাজের কিছুটা বিলম্ব হয়েছে।

কাজের গাফিলতিতে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হবে কিনা? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা আলোচনা করে দেখি কোথায় তাদের গাফিলতি রয়েছে, পরে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বাংলাদেশ সময়: ২০০৮ ঘণ্টা, জুন ১৯, ২০২১
এসজেএ/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
welcome-ad