ঢাকা, মঙ্গলবার, ৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

ভারত-নেপাল-ভুটান রেল সংযোগে ব্যয় দ্বিগুণ হচ্ছে 

মফিজুল সাদিক, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১২৭ ঘণ্টা, জুন ১৭, ২০২১
ভারত-নেপাল-ভুটান রেল সংযোগে ব্যয় দ্বিগুণ হচ্ছে 

ভারতের সঙ্গে রেল সংযোগ স্থাপনের লক্ষ্যে চিলাহাটি এবং চিলাহাটি সীমান্তের মধ্যে ব্রডগেজ রেলপথ নির্মাণ করা হচ্ছে।  

মূল প্রকল্পের ব্যয় ছিল ৮০ কোটি ১৬ লাখ ৯৪ হাজার টাকা।

নতুন করে প্রকল্পের মোট ব্যয় প্রস্তাব করা হয়েছে ১৫২ কোটি ৭১ লাখ টাকা। তার ব্যয় প্রায় দ্বিগুণ হচ্ছে।  

মোংলা পোর্ট হয়ে ভাতের উত্তর-পূর্ব অংশ, নেপাল এবং ভুটানের মধ্যে আমদানি ও রফতানি কার্যক্রম পরিচালনার অংশ হিসেবে এই প্রকল্প।  

প্রকল্পটি নীলফামারির ডোমার উপজেলায় বাস্তবায়িত হচ্ছে।

২০১৮ সালের আগস্ট থেকে ২০২১ সালের জানুয়ারি নাগাদ প্রকল্পের কাজ সমাপ্ত হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু কাজ শেষ না হওয়ায় নতুন করে ২০২২ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রকল্পের মেয়াদ বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে।  

ইতোমধেই প্রকল্পের প্রস্তাবনা পরিকল্পনা কমিশনের ভৌত অবকাঠামো বিভাগে পাঠানো হয়েছে।   

বাংলাদেশ রেলওয়ে জানায়, নানা কারণে প্রকল্পটি সংশোধনের প্রস্তাব করা হয়েছে। প্রকল্পে আওতাভুক্ত নির্মাণ কাজের দরপত্রের (প্যাকেজ-১) মূল্য বৃদ্ধি, নতুন প্যাকেজ গঠন করা, নতুন অঙ্গ হিসাবে ভূমি অধিগ্রহণ এবং আসবাপত্র ক্রয় অন্তর্ভুক্তি করা হয়েছে। এছাড়া প্রাইস ও ফিজিকাল কন্টিনজেন্সি খাতে ব্যয় না রাখা, প্রকল্প বাস্তবায়ন ইউনিটে জনবল অতিরিক্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত হওয়ায় জনবল ও অন্যান্য খাতে ব্যয় কমছে।

প্রকল্পের সময়-ব্যয় বৃদ্ধি প্রসঙ্গে প্রকল্প পরিচালক মো. আব্দুর রহিম বাংলানিউজকে বলেন, প্রকল্পের সময়-ব্যয় বৃদ্ধির প্রস্তাব পরিকল্পনা কমিশনে পাঠানো হয়েছে। তবে এখনো চূড়ান্ত হয়নি। প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে ভারত-নেপাল ও ভুটানের সঙ্গে বাণিজ্যিক যোগাযোগ জোরদার হবে।

প্রকল্পের অধীনে চিলাহাটি ও চিলাহাটি সীমান্তের মধ্যে ৬ দশমিক ৭২ কিলোমিটার ব্রডগেজ নির্মাণ করা হবে। এর মাধ্যমে ভারতের সঙ্গে ব্রডগেজ রেলওয়ে প্রতিষ্ঠা ও উপ-আঞ্চলিক যোগাযোগ ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা হবে। ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে নতুন ট্রেনের মাধ্যমে যাত্রী ও পণ্যবাহী ট্রেন পরিচালনা করা সম্ভব হবে।

জানা গেছে, ভারত ও তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের মধ্যে চিলাহাটি ও হলদিবাড়া হয়ে রেলওয়ে সংযোগ চালু ছিল। ১৯৬৫ সালের ভারত-পাকিস্তানের যুদ্ধের পর এ রুটে ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।  

প্রকল্পের প্রধান প্রধান কার্যক্রম হলো- ১০ দশমিক ৭২ কিলোমিটার রেলওয়ে ট্র্যাক নির্মাণ। এর মধ্যে ৬ দশমিক ৭২ কিলোমিটার মেইন লাইন এবং তিন দশমিক ৯৯ কিলোমিটার লুপ লাইন নির্মাণ করা হবে। এছাড়া প্লাটফর্ম, ব্রিজ, লেভেল ক্রসিং, নিরাপত্তা দেয়াল ইত্যাদি নির্মাণ করা হবে।  

বাংলাদেশ সময়: ২১২৪ ঘণ্টা, জুন ১৭, ২০২১
এমআইএস/এজে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।