ঢাকা: জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য মুজিবুল হক বলেছেন, অনেক সরকারি কর্মকর্তা রাজধানীর বিভিন্ন অভিজাত ক্লাবের সদস্য। কীভাবে তারা এই সমস্ত ক্লাবের সদস্য হন?
তিনি বলেন, আমরা তো চিন্তাও করতে পারি না যে, ৫০ লাখ টাকা জীবনে কামিয়েছি—এইটা দিয়ে ক্লাবের সদস্য হব।
মুজিবুল হক আরও বলেন, আমার প্রশ্ন হলো—এই বোট ক্লাব কারা করলো? একেকটা ক্লাবের সদস্য হতে ৫০ লাখ, ৬০ লাখ টাকা খরচ হয়। এই ক্লাবের ভেতরে কী হয়? আমি যতটুকু জানি, এসব ক্লাবে মদ খাওয়া হয়, জুয়া খেলা হয়।
তিনি বলেন, ঢাকা শহরে গুলশান ক্লাব, উত্তরা ক্লাব, ঢাকা ক্লাবসহ বিভিন্ন ক্লাবে গ্যালনের পর গ্যালন মদ বিক্রি হয়। এগুলো কারা খায়? এরা সবাই কি লাইসেন্সধারী? যদি লাইসেন্সধারীরা খায় তাহলে এত খাওয়ার কথা নয়।
বৃহস্পতিবার (১৭ জুন) জাতীয় সংসদের অধিবেশনে পয়েন্ট অব অর্ডারে দাঁড়িয়ে এসব কথা বলেন জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য মুজিবুল হক।
তিনি বলেন, প্রতিদিনই গুলশানে বিভিন্ন বাড়িতে ডিজে পার্টি হয়। এই যে এয়ারপোর্টে অ্যারেস্ট হলো, পত্রিকায় দেখলাম, যাদের অ্যারেস্ট করা হলো, সেটাও না কি একটা ডিজে পার্টি ছিল রাতে। এই ডিজে পার্টিগুলোতে কী হয়? সেখানে নেশা করা হয়, মদ খাওয়া হয়, ড্যান্স হয়। যেগুলো আমাদের আইনে নেই, কালচারে নেই। যেটা আমাদের ধর্মে নেই।
এরপর আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শেখ ফজলুল কররিম সেলিম বলেন, বঙ্গবন্ধু মদ নিষিদ্ধ ও মদের লাইসেন্স বাতিল করেছিলেন। কিন্তু জিয়াউর রহমান এসে মদের লাইসেন্স দেন।
এরপর বিএনপির সংসদ সদস্য হারুনুর রশিদ বলেন, জিয়াউর রহমান মদের লাইসেন্স দিয়েছিলেন। কিন্তু তিনি মুসলমানদের মদ খাওয়ার লাইসেন্স দেননি।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৩১ ঘণ্টা, জুন ১৭, ২০২১
এসকে/এমজেএফ