ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

সিলেটে তিন খুন: সন্দেহের তীর স্বজনদের দিকে

নাসির উদ্দিন, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬২৬ ঘণ্টা, জুন ১৬, ২০২১
সিলেটে তিন খুন: সন্দেহের তীর স্বজনদের দিকে

সিলেট: সিলেটের সীমান্তবর্তী গোয়াইনঘাট উপজেলায় একই পরিবারের তিনজনের গলাকাটায় মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় এখনও কোনো ক্লু মিলেনি।

তবে পুলিশের সন্দেহের তীর স্বজনদের দিকে।

যে কারণে এ ঘটনায় গুরুতর আহত গৃহকর্তা হিজবুর রহমানের মামা-মামী, তার শ্যালিকা, প্রতিবেশী ও স্বজনসহ পাঁচজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ। সেইসঙ্গে পারিবারিক কলহ থেকে হিজবুর রহমান নিজেই এ ঘটনা ঘটিয়েছেন কিনা, প্রাথমিকভাবে এসব বিষয় সামনে রেখে তদন্তে নেমেছে পুলিশ।

সিলেটের গোয়াইনঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুল আহাদ বাংলানিউজকে বলেন, হিজবুর তার নানা বাড়িতে মায়ের ভাগের সম্পত্তিতে ঘর বানিয়ে থাকতেন। তাই সম্পত্তির দখল নিয়ে কোনো বিরোধ আছে কিনা, তা খতিয়ে দেখতে হিজবুরের মামা-মামীও পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।

এছাড়া নিহত আলেমা বেগমের সঙ্গে তার স্বামী হিজবুরের কলহ লেগেছিল। এ নিয়ে একাধিকবার সালিশ বৈঠক হয়েছে। আগামী রোববার শ্যালিকার বিয়েতে যাওয়া নিয়েও স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়াঝাটি হয়। এ থেকেই সন্দেহ হয় নিজেদের মধ্যে ঘটনাটি ঘটলো কিনা? যে কারণে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে পারিবারিক কলহ ও সম্পত্তি সংক্রান্ত বিরোধকে প্রাধান্য দিয়ে তদন্ত চালানো হচ্ছে।

ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ বিষয়গুলোকে ইঙ্গিত করেছেন সিলেটের পুলিশ সুপার (এসপি) ফরিদ উদ্দিন।

বুধবার (১৬ জুন) ভোরে সিলেটের সীমান্তবর্তী গোয়াইনঘাট উপজেলায় একই পরিবারের তিনজনের গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তারা হলেন- ফতেহপুরের বিন্নাকান্দি ফুলেরতল গ্রামের হিজবুর রহমানের স্ত্রী আলেমা বেগম (৩৫), ছেলে মিজান (৮) ও মেয়ে তানিশা (৫)। ঘটনাস্থল ঘরের ভেতর বিছানা থেকে মুমূর্ষু অবস্থায় গৃহকর্তা হিজবুর রহমানকে উদ্ধার করা হয়েছে।

খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান সিলেট রেঞ্জের উপমহাপুলিশ পরিদর্শক (ডিআইজি) মো. মফিজ উদ্দিন আহম্মেদ ও সিলেটের পুলিশ সুপার ফরিদ উদ্দিন।

সিলেটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর ও মিডিয়া) মো. লুৎফর রহমান বলেন, দুর্বৃত্তরা একই পরিবারের চারজনকে হত্যা করতে চেয়েছিল। এরমধ্যে মা, মেয়ে ও ছেলেকে হত্যা করেছে। কেবল গৃহকর্তা হিজবুর বেঁচে আছেন। গুরুতর অবস্থায় তাকে ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। তবে কে বা কারা কী কারণে হত্যা করা হয়েছে, তা এখনও জানা যায়নি।

ঘটনার পর গোয়াইনঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুল আহাদ বলেন, ঘুমের ঘরে একই পরিবারের তিনজনকে গলাকেটে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় গৃহকর্তা হিজবুর রহমান গুরুতর আহত হয়েছেন। ধারণা করা হচ্ছে, ঘুমের ঘরেই মা, ছেলে ও মেয়েকে হত্যা করা হয়েছে। নিহতদের মরদেহ ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে মর্গে পাঠানো হয়েছে।

** ৩ জনের মরদেহ উদ্ধার: সংকটাপন্ন গৃহকর্তা

বাংলাদেশ সময়: ১৬২২ ঘণ্টা, জুন ১৬, ২০২১
এনইউ/ওএইচ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।