ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

থমকে আছে চিলাহাটি-হলদিবাড়ী স্থলবন্দরের কাজ 

মো. আমিরুজ্জামান, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮২০ ঘণ্টা, জুন ১৬, ২০২১
থমকে আছে চিলাহাটি-হলদিবাড়ী স্থলবন্দরের কাজ  থমকে আছে চিলাহাটি-হলদিবাড়ী স্থলবন্দরের কাজ। ছবি: বাংলানিউজ

নীলফামারী: জমি অধিগ্রহণ না হওয়ায় থমকে আছে চিলাহাট- হলদিবাড়ী স্থলবন্দরের কাজ। ইতোপূর্বে দুই দেশের রেললাইন সংযোগের পর চিলাহাটি দিয়ে হলদিবাড়ী মালবাহী ট্রেন ও ঢাকা থেকে যাত্রীবাহী ট্রেনের শুভ উদ্বোধন করা হয়েছে।

 

ডোমার উপজেলার চিলাহাটি রেলস্টেশনের আধুনিকীকরণ ভবনটির কাজ প্রায় তিন মাস থেকে বন্ধসহ জমি অধিগ্রহণ জটিলতায় থমকে আছে তিনটি নতুন লুফ লাইন ও ওয়াসফিট স্থাপনের কাজ।

প্রায় আড়াই বছর থেকে অধিগ্রহণের কোনো কাগজপত্র না পাওয়ায় বাঁধার মুখে দাঁড়িয়ে আছে জমির মালিকরা। রেলস্টেশন সংলগ্ন ২.৮৪ একর জমি অধিগ্রহণ না হওয়ায় ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান ম্যাক্স কাজ করতে পারছে না। ফলে নির্ধারিত সময় পেরিয়ে গেলেও স্থলবন্দরটি চালু  হুমকির মুখে পড়েছে।  

জমির মালিক রুমান মালেক বলেন, এসএ, বিএস, আরএসের কাগজপত্র একাধিক বার সংশ্লিষ্ট দফতরে জমা দিয়েছি। অধিগ্রহণ নিয়ে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষও স্থানীয় প্রশাসন একাধিকবার বৈঠকে বসেও অদ্যবধি কোনো সুরাহা করতে পারেনি। শুরু থেকে রেলওয়ের কাজের জন্য আমরা জমি দিতে প্রস্তত আছি। ইতোমধ্যে মালিকানা পুকুরগুলি ভরাট করাও হয়েছে। আর্থিকভাবে আমরা অনেক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি। এখন ক্ষতিপূরণ পেলেই আমাদের আর কোনো বাধা থাকবে না।  

ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের প্রকল্প পরিচালক রোকনুজ্জামান সিয়াফ বলেন, একমাত্র জমি অধিগ্রহণের জন্য কাজ করতে পারছি না। দীর্ঘদিন থেকে লোকজন নিয়ে বসে আছি।  

পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের পাকশী ডিভিশনের প্রকৌশলী-২ প্রকল্প পরিচালক আব্দুর রহীম বলেন, জমি অধিগ্রহণের জন্য কাগজপত্র সংশ্লিষ্ট দপ্তরে পাঠিয়েছি। অল্প সময়ের মধ্যে জমি অধিগ্রহণের কাজ শেষ হয়ে যাবে।

বাংলাদেশ সময়: ০৮১৮ ঘণ্টা, জুন ১৬, ২০২১
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।