ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

‘আইএলওর পর্ষদে সর্বোচ্চ ভোট করোনাকালে কাজের স্বীকৃতি’

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০১৭ ঘণ্টা, জুন ১৫, ২০২১
‘আইএলওর পর্ষদে সর্বোচ্চ ভোট করোনাকালে কাজের স্বীকৃতি’

ঢাকা: করোনাকালীন কাজের স্বীকৃতি হিসেবে আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা-আইএলও এর পরিচালনা পর্ষদের উপসদস্য পদে বাংলাদেশ সর্বোচ্চ ভোটে নির্বাচিত হয়েছে বলে জানিয়েছেন শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ান।

মঙ্গলবার (১৫ জুন) শ্রম ও কর্মসংস্থানের এক বিবৃতিতে এ কথা জানানো হয়।

সোমবার জেনেভায় আইএলওর শ্রম সম্মেলনের ১০৯তম অধিবেশনে এই নির্বাচনে বাংলাদেশের পক্ষে ভোট পড়েছে ২০১টি। এশীয় প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে বাংলাদেশ সবোর্চ্চ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছে।

আইএলওর পরিচালনা পর্ষদে এটি বাংলাদেশের টানা তৃতীয় জয়। এর আগে ২০১৪-২০১৭ এবং ২০১৭-২০২১ মেয়াদেও আইএলওর পরিচালনা পর্ষদের উপসদস্য হিসেবে সফলতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করে বাংলাদেশ। নির্বাচিত হওয়ার ফলে স্বল্পোন্নত দেশ (এলডিসি) থেকে উত্তরণের পর শুল্ক্কমুক্ত রপ্তানি সুবিধা বহাল রাখার ক্ষেত্রে সদস্যদের সমর্থন আদায়ে সুবিধা পাবে বাংলাদেশ।

শ্রম প্রতিমন্ত্রীর নেতৃত্বে নির্বাচন প্রক্রিয়ায় অংশ নেন মন্ত্রণালয়ের সচিব কে এম আব্দুস সালাম এবং জেনেভায় জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি ও রাষ্ট্রদূত মোস্তাফিজুর রহমান।

শ্রম প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাহসী এবং সময়োপযোগী সিদ্ধান্তে চলমান বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাস মোকাবিলায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে কলকারখানায় উৎপাদন ব্যবস্থা ঠিক রেখে শ্রমিকদের স্বাস্থ্য এবং জীবনমান সুরক্ষার জন্য এই আন্তর্জাতিক সংস্থায় বাংলাদেশের এই প্রাপ্তি। এটি প্রধানমন্ত্রীরই কৃতিত্ব।

তিনি বলেন, কোভিড-১৯ করোনাভাইরাস মোকাবিলায় গত বছর করোনা মহামারির শুরুতেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শ্রমিকদের বেতন ভাতা নিশ্চিতে প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করেন। শ্রমিকদের বেতন ভাতা নিশ্চিত করেন। দেশের সব মানুষকে সুরক্ষায় ৩১ দফা নির্দেশনা দেন। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা মেনে আমরা সারা দেশে মাঠ পর্যায়ে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর এবং শ্রম অধিদপ্তরের কর্মকর্তা, মালিক এবং শ্রমিক প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে ২৩টি বিশেষ ক্রাইসিস ম্যানেজমেন্ট কমিটি গঠন করি। কমিটির সদস্যরা আইএলও এর সহযোগিতায় তৈরি করা পেশাগত স্বাস্থ্য সুরক্ষা নির্দেশিকা এবং সচেতনতা বৃদ্ধিমূলক পোস্টার কারখানা পর্যায়ে বিলি করছে।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, করোনার এই দুর্যোগকালীন সময়ে শ্রম মন্ত্রণালয়ের অধীন বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশন তহবিল হতে গত এক বছরে প্রায় প্রাতিষ্ঠানিক ও অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতে কর্মরত ৩ হাজার ২৬৯ জন শ্রমিককে চিকিৎসা সহায়তা বাবদ ৯ কোটি ৯৬ লাখ ৯০ হাজার টাকা, কর্মরত অবস্থায় মৃত ৯২ জন শ্রমিকের পরিবারকে ৩৯ লাখ ২০ হাজার টাকা, শ্রমিকদের সন্তানের শিক্ষা সহায়তা বাবদ ১৬৬ জনকে ৫২ লাখ ৮৫ হাজার টাকা সহায়তা দেওয়া হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ২০১৫ ঘণ্টা, জুন ১৫, ২০২১
জিসিজি/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।