ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

জাতীয়

মডেল মসজিদ প্রকল্পের ব্যয় বাড়ছে ৮৩৭ কোটি টাকা

মফিজুল সাদিক, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৩০ ঘণ্টা, জুন ১৪, ২০২১
মডেল মসজিদ প্রকল্পের ব্যয় বাড়ছে ৮৩৭ কোটি টাকা

ঢাকা: প্রতি জেলা ও উপজেলায় একটি করে মোট ৫৬০টি মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র স্থাপন শীর্ষক প্রকল্পের কাজ চলমান। ২০২০ সালের মধ্যে সব কাজ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও সম্প্রতি মাত্র ৫০টি মডেল মসজিদ উদ্বোধন করা হয়েছে।

প্রকল্পের মেয়াদ বাড়িয়ে এ বছরের জুন পর্যন্ত করা হয়। কিন্তু বলা হচ্ছে, এ বছরও প্রকল্পের কাজ শেষ হবে না। তাই আরও দুই বছর মেয়াদ বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে। একইসঙ্গে প্রকল্পের ব্যয় ৮৩৭ কোটি ৬২ লাখ টাকা বাড়ানোরও প্রস্তাব করা হয়েছে।  

ইসলামিক ফাউন্ডেশন (ইফা) সূত্র জানায়, মূল অনুমোদিত প্রকল্পের ব্যয় ছিল ৯ হাজার ৬২ কোটি ৪১ লাখ টাকা। এর পরে অনুমোদিত প্রথম সংশোধনীতে ব্যয় ধরা হয় ৮ হাজার ৭২২ কোটি টাকা। এবার প্রস্তাবিত ২য় সংশোধিত মোট ব্যয় প্রস্তাব করা হয়েছে ৯ হাজার ৫৫৯ কোটি ৬২ লাখ টাকা। ফলে প্রথম সংশোধিত প্রকল্প থেকে দ্বিতীয় সংশোধিত প্রস্তাবে ৯ দশমিক ৯৬ শতাংশ বা ৮৩৭ কোটি ৬২ লাখ টাকা বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে।  

মূল প্রকল্পটি এপ্রিল ২০১৭ থেকে ডিসেম্বর ২০২০ মেয়াদে সম্পূর্ণ হওয়ার কথা ছিল। এর পরে প্রকল্পের মেয়াদ ২০২১ সালের জুন নাগাদ বৃদ্ধি করা হয়।  

প্রকল্পের সময়-ব্যয় বৃদ্ধির জন্য ইতোমধেই ইসলামিক ফাউন্ডেশন (ইফা) পরিকল্পনা কমিশনে প্রস্তাব পাঠিয়েছে। ইফার প্রস্তাবনায় ‘প্রতিটি জেলা ও উপজেলায় একটি করে মোট ৫৬০টি মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র স্থাপন’ শীর্ষক প্রকল্পের প্রকল্প মূল্যায়ন কমিটির (পিইসি) সভার কার্যপত্র তৈরি করেছে কমিশন।

এ প্রসঙ্গে ইফা কর্মকর্তা ও প্রকল্পের পরিচালক মো. নজিবুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, প্রকল্প সংশোধনের প্রস্তাব পরিকল্পনা কমিশনে গেছে। এখনো মিটিং হয়নি। মসজিদের সংখ্যা ৫৬০টিই থাকবে। তবে নির্মাণ সামগ্রীর রেট সিডিউল বাড়ছে। এছাড়া কিছু কিছু প্রকল্প এলাকার মাটি খারাপ ফলে পাইলিং বেশি করতে হচ্ছে। এসব কারণে কিছুটা ব্যয় বাড়বে। বাড়তি কাজও কিছু যোগ হবে।  এসব কারণে মূলত প্রকল্পের সময়ও বাড়বে।

ইফা সূত্র জানায়, নানা কারণে প্রকল্প সংশোধনের প্রস্তাব করা হয়েছে। কতিপয় খাত, যেমন- অফিসারদের বেতন, বিদ্যুৎ, ফ্যাক্স, ইনটারনেট, নিবন্ধন ফি, পেট্রোল, লুব্রিক্যান্ট, গ্যাস ও জ্বালানি, অন্যান্য মনোহারি, মোটরযান মেরামত ও সংরক্ষণ, অফিস সরঞ্জাম, ভবন নির্মাণে ব্যয় বৃদ্ধি পাচ্ছে।

এছাড়া আপ্যায়ন ব্যয়, চুক্তিভিত্তিক যানবাহন ব্যবহার, ব্যাংক চার্জ, সাকুল্য বেতন, কুরিয়ার, যাতায়াত ব্যয়, আউটসোর্সিং, শ্রমিক মজুরি, নিয়োগ পরীক্ষা, মুদ্রণ ও বাঁধাই, অন্যান্য মনোহারি (গণপূর্ত), ডিজাইন ও ড্রইং (গণপূর্ত), আসবাবপত্র মেরামত ও সংরক্ষণ, কম্পিউটার মেরামত ও সংরক্ষণ কাজ অন্তর্ভূক্ত করা হয়েছে। অফিস সরঞ্জামাদি মেরামত ও সংরক্ষণ, অন্যান্য যন্ত্রপাতি মেরামত ও সংরক্ষণ, অভ্যন্তরীণ শোভাবর্ধন কাজ অন্তর্ভুক্তি করায় মূলত ব্যয় ও সময় বাড়ছে।

ইতোমধেই ৫০টি মডেল মসজিদ উদ্বোধন করা হয়েছে। তবে প্রকল্পের অগ্রগতি সন্তোষজনক নয়। ফেব্রুয়ারি ২০২১ সাল পর্যন্ত মোট আর্থিক অগ্রগতি ১ হাজার ৩০০ কোটি ৬৪ লাখ টাকা এবং বাস্তব অগ্রগতি ২৩ শতাংশ। প্রকল্পের কাজ শতভাগ সম্পূর্ণ করতেই মূলত সময়-ব্যয় বৃদ্ধির প্রস্তাব করেছে ইফা।

বাংলাদেশ সময়: ১৯২২ ঘণ্টা, জুন ১৪, ২০২১
এমআইএস/এজে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।