ঢাকা, শুক্রবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

নির্মাণের ৪ মাসের মাথায় ঘরে ফাটল!

তৌহিদ ইসলাম, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯২১ ঘণ্টা, জুন ১২, ২০২১
নির্মাণের ৪ মাসের মাথায় ঘরে ফাটল!

নওগাঁ: সারি সারি এসব নতুন ঘরের নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে মাত্র চার মাস আগে। এরইমধ্যে ঘরের দেয়াল ও মেঝেতে ফাটল ধরেছে।

অল্প বাতাসেই উড়ে যায় ঘরের ছাওনি। আর নির্মাণের ২ মাসের মধ্যে বেশিরভাগ ঘরে খুলে পড়ে গেছে জানালা।

বলছিলাম মুজিবশতবর্ষ উপলক্ষে ভূমিহীনদের উপহার দেওয়া এসব ঘরের কথা। ভূমিহীনদের স্থায়ী বসবাস নিশ্চিত করতে নওগাঁ জেলাজুড়ে নির্মাণ করা হয় এসব বাড়ি। এসব ঘরগুলোতে শোবার ঘর, রান্না ঘর, টয়লেটসহ রাখা হয় বেশকিছু সুবিধা। কষ্টের বিষয় হলেও সত্য এখনও এসব ঘরে বসবাস শুরু করেনি ভূমিহীন অনেক পরিবার।

জেলার সদর উপজেলার তেলিপুকুর নামকস্থানে ভূমিহীনদের জন্য নির্মাণ করা হয় ১২টি ঘর। সেখানে বসবাসকারী পরিবারগুলোর অভিযোগ, এরমধ্যেই টিন ফুটো হয়ে পানি পড়ছে ঘরের ভিতরে। ফেটে গেছে ঘরের সীমানা প্রাচীর, অল্প বাতাসেই উড়ে যায় ঘরের ছাওনি। ঘর পেয়েও খুব কষ্ট করে সেখানে থাকতে হচ্ছে তাদের। পাশাপাশি ঘরগুলো মাঠের মাঝখানে হওয়ায় রাস্তা নেই যাতায়াতের জন্য। এসব সমস্যার জন্য এরইমধ্যে অনেকে ঘরে এসেও আবার চলে গেছে।

অন্যদিকে, একই উপজেলার হাপানিয়া ইউনিয়নের আবাদপুর গ্রামেও নির্মাণ করা হয় ৬৯টি ঘর। এরমধ্যে এখনও ফাঁকা রয়েছে অধিকাংশ ঘর, কেউবা এসে দু-একদিন থেকে আবার চলে গেছে। আবার অনেকেই সেই শুরু থেকেই একদিনের জন্যও আসেনি ঘরগুলোতে।

আবাদপুরে বসবাসকারীদের অভিযোগ, অনেক পরিবার ঘর বরাদ্দ পাওয়ার পর আর আসেনি একবারও। এরমধ্যে বেশকিছু মধ্যবিত্ত পরিবারকে দেওয়া হয়েছে ঘর। এজন্য তারা চক্ষু লজ্জায় এসব ঘরে আসেনি।

নওগাঁ সদর উপজেলার হাপানিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আফছার আলী বাংলানিউজকে জানান, ঘরগুলো নির্মাণে যে পরিমাণ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে তা দিয়ে আসলে ভালো ঘর নির্মান করা যায় না।

তারপরও আমরা চেষ্টা করেছি সর্বোচ্চ ভালো ঘর নির্মাণে করার। আর ঘর দেওয়ার বিষয়ে কোনো রকম অনিয়ম হয়নি। আমরা অনেক দরখাস্ত পেয়েছি এরমধ্যে যাচাই-বাছাই করে যাদের আসলেই ঘর নেই তাদের ঘরগুলো দেওয়া হয়েছে।

এ বিষয়ে সদর উপজেলার নিবার্হী কর্মকর্তা (ইউএনও) মির্জা ইমাম উদ্দীন বাংলানিউজকে বলেন, গত জানুয়ারি মাসে জেলার ১ হাজার ৫৬টি ভূমিহীন পরিবারকে এসব ঘর উপহার দেওয়া হয়।

ঘরগুলো নির্মাণে আমাদের কমিটির সর্বোচ্চ সহযোগিতা ছিল। যেহেতু এর তালিকা অনেক আগের করা। তারপরও আবারো যাচাই-বাছাই করে যদি কোনো অনিয়ম থাকে তাহলে আমার সে বিষয়টি ক্ষতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নিব।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৫৯ ঘণ্টা, জুন ১২, ২০২১
এনটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
welcome-ad
welcome-ad