ঢাকা: ঢাকা মেডিক্যাল হাসপাতালে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব ৩) ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান পরিচালনা করেছে। সাড়ে ৩ ঘণ্টার এই অভিযানে ২৪জন দালালকে প্রমাণস্বরূপ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পলাশ কুমার বসু সাজা দিয়েছেন।
সবার মাঝে একটি কথা ছড়িয়ে গেছে। আবারো অভিযান হতে পারে। এই পরিপেক্ষিতে হাসপাতালে সরকারি স্টাফরা ছাড়া যারা ডেইলিবেসিকে (অস্থায়ী ট্রলিম্যান) কাজ করে তাদেরকে ড্রেস পরে ডিউটি করতে দেখা যায়।
বৃহস্পতিবার (১০ জুন) রাতে হাসপাতালের জরুরি বিভাগের দেখা যায়, ডেলি বেসিকের কর্মচারীরা (অস্থায়ী ট্রলিম্যান) হলুদ রঙের ড্রেস পড়ে ট্রলি নিয়ে রোগীদের নির্দিষ্ট স্থানে নিয়ে যেতে দেখা যায়। এ সময় কোনো স্পেশাল লোকদের দেখা যায়নি জরুরি বিভাগে।
জরুরি বিভাগের চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারী (পদবী সরদার) মোকলেস জানান, সরকারি স্টাফদের পাশাপাশি ডেলি বিসিকে নিয়োগ অস্থায়ী ট্রলিম্যান যারা। তারাই এখন থেকে কাজ করবে জরুরি বিভাগে। কোনো স্পেশাল লোক আর থাকবে না।
অভিযানের বিষয়ে কথা হয় ঢাকা মেডিক্যাল হাসপাতালে শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক নাক কান গলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক দেবেশ চন্দ্র তালুকদার এর সঙ্গে।
তিনি জানান হাসপাতালে দালাল নির্মূলে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব ৩) ভ্রাম্যমাণ আদালত তাদের অভিযান পরিচালনাকে অভিনন্দন জানান।
তিনি বলেন এটা খুবই ভালো উদ্যোগ। এই অভিযান চলমান থাকা দরকার। এছাড়াও রোগীদের মোবাইল টাকাপয়সা সহ অন্যান্য জিনিসপত্র চুরি হয়ে যাচ্ছে। কয়েক দিন আগে বিষয়গুলো আমরা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে ছিলাম।
রাতে হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নাজমুল হক মাইকিং করে হাসপাতালে সকলকে উদ্দেশ্য করে বলেন, আপনারা জানেন সকালে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব ৩) ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান পরিচালনা করেন। তারা ২৪ জন দালালকে ধরে প্রমাণস্বরূপ সাজা দিয়েছেন। আমরাও দুপুরের দিকে অভিযান পরিচালনা করেছি। আমরা ৫ জন নারীকে থানা পুলিশ কাছে হস্তান্তর করেছি। তারা হাসপাতালে কোন স্টাফ ছিল না। আমাদের কাছে অভিযোগ ছিল রোগীদের কাজ থেকে বিভিন্ন উপায়ে তারা টাকা নিত। হাসপাতালে সকলকে অনুরোধ করা হচ্ছে, যদি কোন রোগীর কাছ থেকে কোনো দালাল টাকা পয়সা নেই তাকে চিনে রাখবেন এবং আমাদেরকে অবগত করবেন। আমরা দ্রুত ব্যবস্থা নিব।
আজকের মতো এই অভিযান অব্যাহত থাকবে।
বাংলাদেশ সময়: ২৩৫৭ ঘণ্টা, জুন ১০, ২০২১
এজেডএস/এমএমএস