ঢাকা, মঙ্গলবার, ৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

অ্যানথ্রাক্স মোকাবেলায় প্রস্তুতি নেই চট্টগ্রামে

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২০২ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৭, ২০১০

চট্টগ্রাম: চট্টগ্রামে অ্যানথ্রাক্স মোকাবিলায় সংশ্লিষ্ট বিভাগের পর্যাপ্ত প্রস্তুতি নেই। জনবল সংকটের কারণে নগরী ও জেলার গরু জবাইয়ের স্থানগুলোতে যথার্থ নজরও দিতে পারছেনা প্রশাসন।

এর ওপর রয়েছে অ্যানথ্রাক্সের টিকা সংকট।

বাঁশখালী উপজেলাধীন পুঁইছড়িতে দুটি গরু মারা যাওয়ার পর আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন জেলার গরু-ছাগল মালিকরা।

জেলা প্রাণীসম্পদ কার্যালয়ের দেওয়া তথ্য মতে, নগরীতে ১৭টি বাজারসহ অন্তত ৫০টি স্থানে গরু জবাই করা হয়। অথচ চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনভুক্ত এলাকার তিন থানায় প্রাণী চিকিৎসক আছেন মাত্র চারজন। এছাড়া নগরী ও জেলার ১৪টি উপজেলায় সাড়ে তিন লাখের মতো গরু ছাগল রয়েছে। এর বিপরীতে অ্যানথ্রাক্সের টিকা রয়েছে মাত্র ৩৫ হাজার।

চট্টগ্রামের জেলা প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তা আবু তাহের মৃধা বাংলানিউজটোকে জানান, চট্টগ্রামের কোথাও অ্যানথ্রাক্স সংক্রমণের খবর পাওয়া যায়নি। বাঁশখালীতে অ্যানথ্রাক্সের সংক্রমণে গরু মারা যায়নি।

এ রোগের সংক্রমণ মোকাবেলায় চট্টগ্রাম প্রস্তুত কী না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘পর্যাপ্ত টিকা রয়েছে। আমাদের কাছে বর্তমানে ৩৫ হাজার টিকা রয়েছে। আরও পাঠানোর জন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে বলা হয়েছে। ’

নগরীর তিন থানায় ছয়জন প্রাণী চিকিৎসক থাকার নিয়ম থাকলেও আছে মাত্র দুইজন। ডবলমুরিং থানায় কোনো চিকিৎসকই নেই। অপরদিকে জেলার ১৪ উপজেলায় ২৮জন চিকিৎসকের মধ্যে আছেন মাত্র ১৩ জন। মিরসরাই উপজেলায় কোনো চিকিৎসকই নেই।

এ প্রসঙ্গে অতিরিক্ত জেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডা. ফরহাদ হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, ‘স্বল্প জনবল দিয়ে নগরী ও জেলার কসাইখানাগুলোতে সবসময় পর্যবেণ সম্ভব নয়। ’

বাংলাদেশ সময়: ১১৫০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৭, ২০১০

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
welcome-ad