ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

বাজেট বক্তৃতার শেষে থাকছে মহামারি থেকে মুক্তির দোয়া

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট   | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১২৫ ঘণ্টা, মে ৩১, ২০২১
বাজেট বক্তৃতার শেষে থাকছে মহামারি থেকে মুক্তির দোয়া ফাইল ফটো

ঢাকা: করোনা ভাইরাস মহামারি থেকে পরিত্রাণ পেতে দোয়ার মাধ্যমে ২০২১-২০২২ অর্থবছরের বাজেট বক্তৃতা শেষ করবেন অর্থমন্ত্রী আ হ মুস্তফা কামাল। অর্থমন্ত্রণালয় সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

সূত্রে জানা গেছে, মহামারি পরিস্থিতিতে বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) দোয়ার মাধ্যমে আল্লাহর কাছে আশ্রয় চাইতে বলেছেন। দোয়াটি হলো: ‘আল্লাহুম্মা ইন্নি আউযুবিকা মিনাল বারসি ওয়াল জুনুনি ওয়াল জুজামি ওয়া মিন ছাইয়্যি ইল আসকম। ’ অর্থ: ‘হে আল্লাহ অবশ্যই আমি তোমার নিকট ধবল, উন্মাদ, কুষ্ঠরোগ এবং সকল প্রকার মারাত্মক ব্যাধি থেকে আশ্রয় প্রার্থনা করছি। ’ মহানবীর এই দোয়া দিয়েই বাজেট বক্তৃতা শেষ করবেন অর্থমন্ত্রী।

জানা গেছে, আগামী ২ জুন বসতে যাচ্ছে ২০২১-২০২২ অর্থবছরের বাজেট অধিবেশন। পরদিন ৩ জুন জাতীয় সংসদে ২০২১-২২ অর্থবছরের জন্য সাম্ভাব্য ৫ লাখ ৯৩ হাজার ৩১৩ কোটি টাকার বাজেট প্রস্তাব উপস্থাপন করবেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। আগামী বাজেটে ডিজিপির প্রবৃদ্ধির লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে ৭ দশমিক ৭ শতাংশ। নতুন বাজেটে আগের মতো ঘাটতি কিছুটা বাড়িয়ে ধরা হয়েছে- ৫ দশমিক ৮ শতাংশ। বাজেটে মূল্যস্ফীতির হার ৫ দশমিক ৩ শতাংশের মধ্যেই আটকে রাখার লক্ষ্য ঠিক করেছে সরকার।

সম্প্রতি অর্থমন্ত্রী আহম মুস্তফা কামাল জানিয়েছেন, করোনার প্রভাবে জীবন থেমে থাকতে পারে না। সব কিছু মোকাবিলা করেই লক্ষ্যে পৌঁছাতে হবে। আগামী বছর সরকারের অগ্রাধিকার পাওয়া অনেকগুলো প্রকল্পের কাজ সমাপ্তির পথে থাকবে। ওই সব প্রকল্পের অর্থ সময়মতো ছাড় করার ক্ষেত্রে কোনও শিথিলতা থাকবে না। বরাদ্দও থাকবে। এ ছাড়া নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী রাজস্ব আদায়ের কর্মসূচি বাস্তবায়নে বেশি তৎপর থাকবে সংশ্লিষ্ট বিভাগ।

অর্থমন্ত্রী জানান, মানুষের কর্মসংস্থান নিশ্চিত করতে সরকারের নতুন বাজেটে দিক নির্দেশনাসহ কর্মসূচি ও প্রয়োজনীয় বরাদ্দ রাখা হবে। নতুন বাজেটে দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ আকৃষ্ট করার প্রস্তাবনাও থাকবে। মোটকথা, সরকারের অষ্টম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা অনুযায়ীই প্রণীত হবে ২০২১-২০২২ অর্থবছরের নতুন বাজেট।

আসন্ন ২০২১-২২ অর্থবছরের বাজেটে করোনা ভাইরাসসহ সামগ্রিক বিষয় উঠে আসবে। বাজেট অধিবেশন সাধারণত দীর্ঘ হয়। তবে করোনা ভাইরাস মহামারির মধ্যে গত বছরের মতো এবারও বাজেট অধিবেশন সংক্ষিপ্ত হবে। করোনা চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে অর্থনীতি পুনরুদ্ধারে অগ্রাধিকার দেওয়া খাতগুলোর মধ্যে আছে- স্বাস্থ্য, বিনিয়োগ, উৎপাদন, কর্মসংস্থান, মানবসম্পদ উন্নয়ন, দারিদ্র্য বিমোচন ও খাদ্যনিরাপত্তা জোরদার কর্মসূচি।

এছাড়া কোভিড-১৯ মোকাবিলায় প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত প্রণোদনা প্যাকেজগুলোর সফল বাস্তবায়ন, কোভিড-১৯ নিয়ন্ত্রণে স্বাস্থ্যখাতে অতিরিক্ত বরাদ্দ, প্রণোদনা ও ক্ষতিপূরণ দেওয়া, অধিক খাদ্য উৎপাদনের লক্ষ্যে কৃষি যান্ত্রিকীকরণ সেচ ও বীজ প্রণোদনা, কৃষি পুনর্বাসন, সারে ভর্তুকি প্রদান অব্যাহত রাখা, ব্যাপক কর্মসৃজন ও পল্লী উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণ, সামাজিক নিরাপত্তা কার্যক্রমের আওতা সম্প্রসারণ, গৃহহীন দরিদ্র জনগোষ্ঠীর জন্য গৃহনির্মাণ (মুজিববর্ষের প্রধান কার্যক্রম) কার্যক্রম বাস্তবায়ন, নিম্নআয়ের মানুষের মাঝে বিনামূল্যে বা স্বল্পমূল্যে খাদ্য বিতরণ ব্যবস্থা চালু রাখা এবং শিক্ষা ও দক্ষতা উন্নয়নসহ সার্বিক মানবসম্পদ উন্নয়ন।

উল্লেখ্য, সরকার করোনার মধ্যেই চলতি ২০২০-২১ অর্থবছরের ৫ লাখ ৬৮ হাজার কোটি টাকার বাজেট দেয়, যা এখন বাস্তবায়নাধীন। চলতি অর্থবছরে রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয় ৩ লাখ ৭৮ হাজার কোটি টাকা। এক্ষেত্রে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) জন্য লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয় ৩ লাখ ৪৫ হাজার কোটি টাকা।

বাংলাদেশ সময়: ২০১৭ ঘণ্টা, মে ৩১,২০২১
জিসিজি/এজে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।