রাজবাড়ীঃ ঈদের প্রায় এক সপ্তাহ পার হতে চললেও রাজধানীমুখী ঈদ ফেরত হাজার হাজার মানুষের পদভারে দক্ষিণাঞ্চলের প্রবেশদ্বার হিসেবে খ্যাত দৌলতদিয়া ফেরিঘাট আরো ব্যস্ত হয়ে উঠেছে। বাস- ট্রাকসহ কার মাইক্রোবাসের চাপে দৌলতদিয়া- পাটুরিয়া নৌরুটে যানপারাপারে বিআইডব্লিউটিসি ও সংশিষ্ট কতৃপ হিমশিম খাচ্ছে।
বিআইডব্লিউটিসি দৌলতদিয়ার সহকারী মহা-ব্যবস্থাপক খালেদ নেওয়াজ বাংলানিউজকে জানান, ঈদ ফেরত যাত্রীদের বাড়তি চাপ থাকায় ১০টি ফেরি দিয়েও কুলিয়ে উঠা দুস্কর হয়ে পড়ছে। তিনি জানান, অগ্রাধিকার ভিত্তিতে যাত্রীবাহী বাস,কাচামালবাহী ট্রাক ও ছোট গাড়ি পারাপার করছে। এজন্য ট্রাক পারাপারের হার কিছুটা কম ।
তিনি আরও জানান, বেলা বাড়ার সাথে সাথে যাত্রীবাহী কোচ ও ছোটগাড়ির চাপ বাড়তে থাকায় ১১ টার পর থেকে পণ্যবাহী ট্রাকের টিকেট বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এসময় শুধুমাত্র কোচ পারাপার করা হয়। একারণে ট্রাকের সিরিয়াল দীর্ঘ হয়।
এদিকে বন্ধ হয়ে যাওয়া দৌলতদিয়ার ৩ নং ফেরি ঘাটটি বৃহস্পতিবার বিকেলে ২য় দফায় চালু করা হয়েছে। গত ২৪ ঘন্টায় দৌলতদিয়া থেকে ১ হাজার ৮শ ৩০টি গাড়ি পারাপার হয়েছে। এর মধ্যে ট্রাক পার হয়েছে মাত্র ৪৫০ টি। এখনও অপেমান রয়েছে ৫ শতাধিক।
সরেজমিনে দেখা যায়, দৌলতদিয়া প্রান্তে ঘাট থেকে মহাসড়কের অন্ততঃ ১ কিঃমিঃ এলাকায় ট্রাকের লাইন রয়েছে। একই সাথে পুলিশি প্রহরায় ঘাটের ২০ কিঃমিঃ দুরবর্তী গোয়ালন্দ মোড় এলাকায় পণ্যবাহী ট্রাকের আরেকটি লাইন রয়েছে। এখানেও প্রায় ১ কিঃমিঃ জুড়ে যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। খানখানাপুর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্র ও আহলাদীপুর হাইওয়ে পুলিশ এখানকার যানজট নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে।
খানখানাপুর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ এসআই মিরাজ বাংলানিউজকে জানান, এখানে যানবাহনের ভিড় বাড়তে থাকায় বেশকিছু পণ্যবাহী ট্রাক ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে। তাদেরকে মাওয়া অথবা যমুনা দিয়ে পারাপারের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৩১০ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৭, ২০১০