ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

সীমান্তবর্তী জেলাগুলোতে বিশেষ নজর রাখছি: ফরহাদ হোসেন

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭২১ ঘণ্টা, মে ৩০, ২০২১
সীমান্তবর্তী জেলাগুলোতে বিশেষ নজর রাখছি: ফরহাদ হোসেন

ঢাকা: করোনার ভারতীয় ভ্যারিয়েন্টের সংক্রমণের কারণে সীমান্তবর্তী জেলাগুলোতে সরকার বিশেষ নজর রাখছে বলে জানিয়েছেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হেসেন।
 
চলমান লকডাউন বা বিধিনিষেধ আগামী ৬ জুন পর্যন্ত বাড়ানোর পর রোববার (৩০ মে) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের একথা বলেন প্রতিমন্ত্রী।

  
 
তিনি বলেন, বিশেষজ্ঞ ও কোভিড সংক্রান্ত জাতীয় টেকনিক্যাল কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী আরও এক সপ্তাহের জন্য বিধিনিষেধ চলমান থাকবে। আমরা চাচ্ছি সংক্রমণটা ৫ শতাংশের কাছাকাছি নিয়ে আসার জন্য। ৫ শতাংশে নামলে বলা হয় স্বস্তিদায়ক পরিস্থিতিতে আছে, ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থা নয়। আমরা সেই রকম অবস্থায় দিকে নিতে চাই। মানুষ যথেষ্ট পরিমাণে সাড়া দিচ্ছে। প্রত্যেকের সচেতন হয়েছে, মানুষ অপ্রয়োজনে বাইরে আসছে না। এটা একটা ভালো লক্ষণ। এক্ষেত্রে আমরা অবস্থা পর্যবেক্ষণ করছি।
 
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ইতোমধ্যে চাঁপাইনবাবগঞ্জে স্থানীয়ভাবে লকডাউন দিয়েছি। ভারতের বিষয়টির আশঙ্কা থেকেই জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের পরামর্শে সেটা আমরা করছি। সীমান্তবর্তী পাঁচটি জেলার স্থানীয়ভাবে বিধিনিষেধ দেওয়ার বিষয়ে প্রস্তাব এসেছে, আমরা সেটি নিয়ে চিন্তা-ভাবনা করছি। সে বিষয়ে আমরা হয়তো জানাবো, কী করা যেতে পারে। সংক্রামক ব্যাধি নির্মূল আইনের আলোকে কোথাও সংক্রমণ বাড়লে স্বাস্থ্য অধিদফতরের কাছে সুপারিশ করতে পারে, তারা সেটি অনুমোদন দেবে পরিস্থিতি অনুযায়ী।
 
ফরহাদ হোসেন বলেন, সীমান্তবর্তী জেলাগুলোর উপর আমরা বিশেষ নজর রেখেছি, যদি সেখানে আমাদের নিয়ন্ত্রণ করতে হয়, ওই জায়গাগুলোতে চলাফেরার উপর নিয়ন্ত্রণ আরোপ করতে পারবো। বিষয়গুলো আমরা পর্যবেক্ষণ করছি। আপাতত স্পষ্ট করে কিছু বলা যাচ্ছে না। পরিস্থিতি বুঝে আমরা সিদ্ধান্ত নেবো।
 
সীমান্তবর্তী জেলাগুলোর বিষয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, সাতক্ষীরার বিষয়টি আমরা একটু বেশি দেখছি। হয়তো সিদ্ধান্ত আসবে কীভাবে এটা করা যায়। তবে আমরা চাইবো যে জায়গাটিতে স্পেসিক্যালি আক্রান্ত সেই জায়গাটিতে শনাক্ত করার চেষ্টা করবো। এমনও হতে পারে পুরো সাতক্ষীরা নয়, যে স্থানটিতে বেশি সংক্রমণ সেই জায়গাগুলোতে করার চেষ্টা করবো। যাতে মানুষের জীবন-জীবিকা ক্ষতিগ্রস্ত না হয়। সরকার সে বিষয়টি খেয়াল রাখছে।
 
তিনি বলেন, ভারতের সঙ্গে সীমান্ত বন্ধ রাখার নিষেধাজ্ঞা আরও দুই সপ্তাহ বহাল থাকবে। ভারতের সঙ্গে চলাচলের ৩৬টি সীমান্ত পয়েন্ট রয়েছে।
 
লকডাউন ধাপে ধাপে বাড়ছে, সরকারের এক্সিট প্ল্যান কী, একবারে এক্সিট করা নাকি জেলায় জেলায় লকডাউন দেওয়া- এমন প্রশ্নে ফরহাদ হোসেন বলেন, আমাদের তো সেক্রিফাইস করতে হচ্ছে। টোটালি যদি আমরা স্বাভাবিক অবস্থায় নিয়ে আসতে পারতাম... কিন্তু আমরা চাচ্ছি ৫ শতাংশ আসার পর....। আমরা যাতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে কাজকর্মগুলো করতে পারি যতটুকু সম্ভব। স্কুল, কলেজ, অফিস আদালত বন্ধ রেখেছি। তাতে মানুষের চলাফেরায় বাধ্যবাধতাটা নেই।
 
‘৫ শতাংশের বিষয়টি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা থেকে রিকগনিশন। ৫ শতাংশ থাকলে বলা যায় অত্যন্ত বেশি নিয়ন্ত্রণের মধ্যে রয়েছে। তখন স্বাভাবিক কাজকর্ম করা যেতে পারে। ’
 
বাংলাদেশ সময়: ১৭২০ ঘণ্টা, মে ৩০, ২০২১
এমআইএইচ/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।