ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

এলডিসি কনফারেন্সের এজেন্ডা তৈরির নেতৃত্বে বাংলাদেশ-কানাডা

ডিপ্লোম্যাটিক করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২২৮ ঘণ্টা, মে ২৫, ২০২১
এলডিসি কনফারেন্সের এজেন্ডা তৈরির নেতৃত্বে বাংলাদেশ-কানাডা

ঢাকা: জাতিসংঘের পঞ্চম এলডিসি কনফারেন্সের জন্য উচ্চভিলাসী ও রূপান্তরধর্মী এজেন্ডা সৃষ্টিতে নেতৃত্ব দিচ্ছে বাংলাদেশ ও কানাডা। স্বল্পোন্নত দেশসমূহের পঞ্চম সম্মেলন ২০২২ সালের জানুয়ারি মাসে কাতারের রাজধানী দোহায় অনুষ্ঠিত হবে।

মঙ্গলবার (২৫ মে) জাতিসংঘের বাংলাদেশ স্থায়ী মিশন থেকে এ তথ্য জানানো হয়।

জাতিসংঘ সদরদপ্তরে জাতিসংঘের পঞ্চম এলডিসি সম্মেলনের প্রস্তুতিমূলক কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভাটি যৌথভাবে আহ্বান করেন জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা এবং জাতিসংঘে নিযুক্ত কানাডার স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত বব রে।

চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে সম্মেলনটির আয়োজন উপলক্ষে অনুষ্ঠিত সভায় দেশ বাংলাদেশ ও কানাডার প্রতিনিধিদ্বয়কে যৌথ সভাপতি হিসেবে নির্বাচিত করা হয়।

২০২২ সালে কাতারে অনুষ্ঠিতব্য পঞ্চম এলডিসি কনফারেন্সটি হবে জাতিসংঘের অন্যতম বৃহৎ সম্মেলন। এই সম্মেলনে এলডিসি’র পরবর্তী কর্মসূচির জন্য একটি নতুন বৈশ্বিক কম্প্যাক্ট গৃহীত হবে, যা দেশগুলির আশু ও দীর্ঘমেয়াদি কাঠামোগত উভয় ধরনের সমস্যার সমাধানে ভূমিকা রাখবে বলে আশা করা যাচ্ছে। সম্মেলনটির কো-চেয়ার হিসেবে টেকসই উত্তরণ ও উত্তরণের জন্য আন্তর্জাতিক সহায়তা পদক্ষেপসহ বেশকিছু অগ্রাধিকারমূলক বিষয় এগিয়ে নেওয়ার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের তাৎপর্যপূর্ণ সুযোগ সৃষ্টি হবে। উল্লেখ্য, জাতিসংঘ এ বছর ফেব্রুয়ারি মাসে বাংলাদেশকে স্বল্পোন্নত দেশের ক্যাটেগরি থেকে চূড়ান্ত উত্তরণের স্বীকৃতি দেয়।

স্বল্পোন্নত দেশসমূহের বৈশ্বিক সভাপতি হিসেবে মালাওয়ি’র রাষ্ট্রপতি ম্যাককার্থি চাকওয়েরা ইভেন্টটিতে ভার্চ্যুয়ালি যোগ দেন এবং কি-নোট স্পিকার হিসেবে বক্তব্য রাখেন। কি-নোট স্পিকার হিসেবে আরও বক্তব্য রাখেন সম্মেলনটির স্বাগতিক দেশ কাতারের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী সুলতান বিন সাদ্ আল-মুরাইখি। অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের সভাপতি ভলকান বজ্কির, আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল আমিনা জে. মোহাম্মদ, ওইসিডি’র উন্নয়ন সহায়তা কমিটির সভাপতি সুজানা মুরিহেড এবং জাতিসংঘের স্বল্পোন্নত দেশ, ভূবেষ্টিত উন্নয়নশীল দেশ ও উন্নয়নশীল ক্ষুদ্র দ্বীপ রাষ্ট্রসমূহের দায়িত্বপ্রাপ্ত জাতিসংঘের আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল ফেকিতামইলোয়া কাটোয়া উতয়কামানু।

ইভেন্টটির আজকের প্রথম সেশনের সাধারণ বিতর্ক পর্বে জাতিসংঘ সদস্যরাষ্ট্রের প্রতিনিধিরা বক্তব্য রাখেন। কোভিড-১৯ অতিমারির প্রভাবে স্বল্পোন্নত দেশসমূহ যেসকল মারাত্মক পরিণতির মধ্য দিয়ে যাচ্ছে তা উঠে আসে সাধারণ বিতর্ক পর্বের আলোচনায়। এলডিসি’র দেশসমূহের জন্য উচ্চভিলাষী আগামী ১০ বছরের কর্মসূচির প্রতি একাত্মতা ও অংশীদারত্ব প্রদর্শন করেন বক্তারা।

কোভিড-১৯ এর বহুমাত্রিক চ্যালেঞ্জের উদাহরণ টেনে রাষ্ট্রদূত ফাতিমা বলেন, এখন স্বল্পোন্নত দেশসমূহের জন্য সর্বোচ্চ প্রাধিকার হচ্ছে কোভিড-১৯ এর টিকার সহজ ও বাধাহীন প্রাপ্তি।

তিনি জোর দিয়ে বলেন, যদি টিকার বিষয়টি এখনই সমাধান করা না হয় তবে সামনের বছরগুলোতে স্বল্পোন্নত দেশসমূহ তীব্র মানবিক ও অর্থনৈতিক দূরবস্থার মধ্যে নিপতিত হবে।

এলডিসি থেকে উত্তরিত ও উত্তরণের পথে থাকা দেশগুলোর জন্য প্রণোদনা-ভিত্তিক উত্তরণ প্যাকেজের প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দেন বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি।

বাংলাদেশ সময়: ১২২৬ ঘণ্টা, মে ২৫, ২০২১
টিআর/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
welcome-ad