সিলেট: সিলেটে সহকর্মীর ছুরিকাঘাতে ইউ ওয়েনথাও সানক্সি (৪৮) নামে এক চীনা নাগরিক খুনের ঘটনায় মামলা হয়েছে।
নিহতের স্ত্রী মিসেস ওয়াং কিউ জিং (পাসপোর্ট নম্বর-ইএইচ ৯৭৪৪২৭৭, চায়না) বুধবার (১৯ মে) দিনগত রাতে সিলেটে এসে পৌঁছান।
মামলায় স্বামীর হত্যাকারী চায়না নাগরিক ওয়েই ফেং এর ছেলে জু চাওকে (৩৫) (পাসপোর্ট নম্বর-ই-৯৩৬৬৮৬৬৩) আসামি করেন। মামলায় অভিযুক্ত জু চাওকে ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গ্রেফতার দেখিয়েছে পুলিশ।
সিলেট কেতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম আবু ফরহাদ বলেন, থানার ওসি (তদন্ত) মোহাম্মদ ইয়াছিনকে মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
তিনি বাংলানিউজকে বলেন, নিহত চীনা নাগরিক ইউ ওয়েনথাও সানক্সির ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। তার মরদেহ মর্চুয়ারিতে রাখা হয়েছে। মরদেহ চায়নায় নিয়ে যেতে তার স্ত্রী অনুমতির অপেক্ষায় আছেন।
গত মঙ্গলবার (১৮ মে) সকালে নগরের পাঠানটুলায় এলাকায় নাস্তার টেবিলে হাত ধোয়া নিয়ে ইউ ওয়েন থাও সানক্সি ও জু চাওয়ের মধ্যে বাগবিতণ্ডার এক পর্যায়ে মারামারি হয়। উত্তেজিত হয়ে ওয়েন থাও ধারালো ছুরি দিয়ে জু চাওকে গলার পেছনে ও উরুতে ছুরিকাঘাত করেন। জু চাও ছুরি কেড়ে নিয়ে ইউ ওয়েন থাওকে বুকের বাম পাশে আঘাত করেন। গুরুতর আহত অবস্থায় ইউ ওয়েন থাওকে ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। আহত অবস্থায় জু চাওকে রাগিব রাবেয়া মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পরে ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে পুলিশি পাহারায় তাকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
পুলিশ জানায়, হতাহতরা সিলেটের কুমারগাঁও ১৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রে গ্যাস টার্বাইনারে কাজ করতেন। তাদের ১২ জন চীনা নাগরিক নগরের পাঠানটুলায় নিবাস ১১/১৯ নম্বর ভবনের ৫ম তলার ১০, ১১, ১২ নম্বর ফ্ল্যাট প্রায় দুই বছর ধরে বসবাস করে আসছিলেন।
ওই প্রতিষ্ঠানে কর্মরত চীনা এক প্রকৌশলীর মাধ্যমে কথা বলিয়ে পুলিশ জানতে পারে একই বাটিতে হাত ধোয়া নিয়ে ইউ ওয়েনথাও সানক্সি ও জু চাওয়ের মধ্যে বাগবিতণ্ডার এক পর্যায়ে ছুরিকাঘাতের ঘটনায় হতাহতের ঘটনা ঘটে। ওইদিন দুপুর ১টার দিকে এসএমপি পুলিশ ও পিবিআই সিলেটের একটি দল ঘটনাস্থল ও হাসপাতালে গিয়ে সুরতহাল প্রতিবেদন প্রস্তুতের পর আলামত হিসেবে দু’টি ছুরি উদ্ধার করে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭১৭ ঘণ্টা, মে ২০, ২০২১
এনইউ/আরবি