ঢাকা, বুধবার, ১০ বৈশাখ ১৪৩১, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

ঝুঁকি নিয়ে জীবিকার তাগিদে রাজধানীতে ফিরছেন মানুষ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১২৯ ঘণ্টা, মে ১৮, ২০২১
ঝুঁকি নিয়ে জীবিকার তাগিদে রাজধানীতে ফিরছেন মানুষ

ঢাকা: ঈদের ছুটি শেষে জীবিকার তাগিদে আর চাকরি বাঁচাতে গ্রাম থেকে ঝুঁকি নিয়ে রাজধানীতে ফিরছেন মানুষ।

মঙ্গলবার (১৮ মে) সকাল থেকে রাজধানীর প্রবেশমুখ গাবতলীতে মানুষজনের ফেরার দৃশ্য দেখা যায়।

করোনা ভাইরাস সংক্রমণরোধে দূরপাল্লার বাহন চলাচলে নিষেধাজ্ঞা থাকায় যাত্রীরা ভেঙে ভেঙে বিভিন্ন যানবাহনে বাড়তি ভাড়া, অন্তহীন ভোগান্তি ও স্বাস্থ্যঝুঁকি নিয়ে রাজধানীতে আসছেন।  

নীলফামারী থেকে গাবতলী এসেছেন শাহরিয়ার ইসলাম। একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন। ঈদের ছুটি শেষে ফিরেছেন রাজধানীতে। যাবেন সায়েদাবাদ। তিনি বাংলানিউজকে বলেন, নীলফামারী থেকে ভেঙে ভেঙে গাবতলী পর্যন্ত এসেছি। দূরপাল্লার বাস বন্ধ থাকায় গুণতে হয়েছে বাড়তি ভাড়া। আগে ঢাকা থেকে নীলফামারী যেতে বাসে ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা খরচ হতো। নীলফামারী থেকে চান্দুরা পর্যন্ত আসতেই আমার খরচ হয়েছে ১ হাজার ৭০০ টাকা। পথে ভোগান্তির অন্ত ছিল না। অনেক কষ্ট করে বাসে করে এসেছি। শুধুমাত্র চাকরি বাঁচাতে এত কষ্ট করে রাজধানীতে এসেছি।

মোহাম্মদ মুনীর পেশায় একজন কেয়ারটেকার। তিনি বলেন, কিশোরগঞ্জে থেকে নবীনগর আমার ফুফুর বাড়ি গিয়েছিলাম ঈদের ছুটি কাটাতে। সেখান থেকে এসেছি গাবতলী। যাব লালবাগ। সেখানে আমি একটি বাড়ির কেয়ারটেকার হিসেবে চাকরি করি। ছুটি শেষে কাজে যোগদান করতে ফিরেছি রাজধানীতে।  

নাগরপুর তেবাড়িয়া থেকে গাবতলী এসেছেন আলী আজম। একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের গ্রাফিক্স ডিজাইনার। ছুটি শেষে কর্মস্থলে যোগদান করতে ঢাকায় এসেছেন। তিনি বলেন, ঈদের ৭ দিন ছুটি শেষে কাজে যোগদান করার জন্যই এসেছি রাজধানীতে। ভেঙে ভেঙে এসেছি গাবতলী পর্যন্ত। গুণতে হয়েছে বাড়তি ভাড়া।  

দিনমজুর রডমিস্ত্রি মোখলেছুর রহমান রংপুর থেকে এসেছেন গাবতলীতে। তিনি বলেন, রংপুর থেকে রাতের বাসে উঠে সকালে আমিনবাজার এসে নেমেছি। ভাড়া গুণতে হয়েছে ১ হাজার ২০০ টাকা। ঈদের সময় বাড়ি গিয়েছিলাম ট্রাকে করে। তখন ৬০০ টাকা ভাড়া দিয়ে রংপুর গিয়েছিলাম। আমিনবাজার থেকে গাবতলী আসতে দু’জনের ভাড়া দিতে হয়েছে ১৫০ টাকা। আজ (মঙ্গলবার) কাজে যোগ দেওয়ার ইচ্ছে ছিল কিন্তু পারলাম না। এখন যাব গুলিস্তান।

গাবতলীতে দায়িত্বরত ট্রাফিক ইন্সপেক্টর (টিআই) বিশ্বজিৎ বাংলানিউজকে বলেন, আমিন বাজার এলাকার কোনো বাস গাবতলীতে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। গাবতলী থেকে চলছে রাজধানীর অভ্যন্তরীণ রুটে পরিবহনগুলো। গণপরিবহনে যারাই যাতায়াত করছেন তারা মাস্ক পরিধান করছেন।

বাংলাদেশ সময়: ১১২৭ ঘণ্টা, মে ১৮, ২০২১
এমএমআই/আরবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।