ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ৫ বৈশাখ ১৪৩১, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৮ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

স্বাস্থ্যবিধি মানাতে পুলিশকে ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দেওয়ার আহ্বান

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১২৬ ঘণ্টা, মে ১৪, ২০২১
স্বাস্থ্যবিধি মানাতে পুলিশকে ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দেওয়ার আহ্বান

ঢাকা: মাস্ক না পরলে জরিমানা করার জন্য পুলিশকে ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দিতে সরকার ও সরকারপ্রধানের কাছে আহ্বান জানিয়েছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলাম। একইসঙ্গে ঈদের পর স্বাস্থ্যবিধি মানার বিষয়ে সরকারকে কঠোর থেকে কঠোরতর হওয়ারও পরামর্শ দিয়েছেন আতিক।


 
শুক্রবার (১৪ মে) রাজধানীর মহাখালীর ডিএনসিসি মার্কেটে কোভিড-১৯ ডেডিকেটেড হাসপাতালে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি সরকারের প্রতি এ আহ্বান জানান।

ঈদের ছুটির পর রাজধানীমুখী মানুষের জন্য ঢাকার কোভিড পরিস্থিতি খারাপ হওয়ার আশঙ্কা থেকে ডিএনসিসি মেয়র হিসেবে আতিকের প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে তিনি বলেন, এবার প্রায় ৬৫ লাখ মানুষ ঈদের কারণে রাজধানী ছেড়েছেন। আমি তাদের অনুরোধ করবো তারা যেন স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলেন এবং রাজধানীতে ফিরে এসেও তারা স্বাস্থ্যবিধি মানবেন। কারণ এমনটা না হলে পরিস্থিতি খুবই খারাপ হবে। আমি সরকারের প্রতি ও সরকার প্রধানের প্রতি আহ্বান জানাবো যে, পুলিশ যেমন যেখানে সেখান গাড়ি পার্কিংয়ের জন্য জরিমানা করতে পারেন তেমনি কেউ মাস্ক না পরলেও তারা যেন জরিমানা করতে পারেন এমন বিধান তৈরি করার। এর জন্য প্রয়োজনে তাদের ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। স্বাস্থ্যবিধি মানার বিষয়ে সরকারকে আরও কঠোর থেকে কঠোর হতে হবে। ঈদের আগে হয়তো মানবিক কারণে কিছুটা শিথিল ছিল অবস্থা, তবে এখন কঠোর হতে হবে।

ঈদের ছুটির পরেও শপিং সেন্টার ও বিপণিবিতানগুলোতে স্বাস্থ্যবিধি মানতে ডিএনসিসি আরও কঠোর হবে বলে জানান আতিক। তিনি বলেন, স্বাস্থ্যবিধি মানানোর জন্য আমরা কিন্তু নিয়মিত অভিযান করেছি। যেখানে স্বাস্থ্যবিধি মানা হয়নি সেখানে আমরা শপিংমল বন্ধ করেছি, দোকান বন্ধ করেছি। কিন্তু বন্ধ করলেই তাদের পরিবার আবার আমার বাসার সামনে চলে আসতো। এটাই বাস্তবতা। তবে ঈদের পর এগুলো আর মানা হবে না। কঠোর অবস্থানে যাবে ডিএনসিসি।

সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে ডেঙ্গু পরিস্থিতি নিয়েও সবাইকে সতর্ক হওয়ার আহবান জানান ডিএনসিসি মেয়র। তিনি বলেন, এ সময়টা কিন্তু ডেঙ্গু মশার লার্ভা প্রয়োজনের জন্য আদর্শ। তাই আমি বলবো, এ বিষয়েও আমাদের সতর্ক হতে হবে। আমরা করোনা থেকে বাঁচতে যেমন মাস্ক পরছি, হাত-মুখ ধুচ্ছি, তেমনি ডেঙ্গু থেকে বাঁচতে প্রতি তিন দিনে একদিন জমা পানি ফেলে দিন। এটা অভিজাত মশা, অভিজাত এলাকায় হয়। তাই আমাদের খোলা টবে, অব্যবহৃত কমোডে, অব্যবহৃত টায়ারে এডিস মশার লার্ভা যেন না হয় সেদিকে খেয়াল রাখুন।

এর আগে ডিএনসিসি মার্কেটে কোভিড-১৯ ডেডিকেটেড করোনা হাসপাতালে কর্তব্যরত স্বাস্থ্যকর্মীদের জন্য ঈদ উপহার দেন ডিএনসিসি মেয়র। হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ কে এম নাছিরের কাছে ডিএনসিসির পক্ষ থেকে ঈদ উপহার সামগ্রী তুলে দেন আতিক।

এরপর কুর্মিটোলা কোভিড হাসপাতাল এবং কুয়েত মৈত্রী কোভিড হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছেও সেসব হাসপাতালে কর্তব্যরত স্বাস্থ্যকর্মীদের জন্য ঈদ উপহার সামগ্রী দেন ডিএনসিসি মেয়র।

আতিক বলেন, তারা ঈদের মধ্যেও জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পরিবার পরিজন ছাড়া মানুষের সেবায় এখানে কাজ করে যাচ্ছেন। তাদের প্রতিও আমাদের কিছু দায়িত্ব আছে। সেই দায়িত্ববোধ থেকেই তাদের প্রতি সহমর্মিতা জানাতে তাদের জন্য ডিএনসিসির সব কর্মকর্তা-কর্মচারীর পক্ষ থেকে ঈদ উপহার নিয়ে এসেছি। এখানকার চিকিৎসক, নার্স, তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী এবং আনসার সদস্যরা এ উপহার পাচ্ছেন।

উপহার সামগ্রী দেওয়ার সময় হাসপাতালগুলোর উর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সেলিম রেজা, সচিব রবীন্দ্রশ্রী বড়ুয়াসহ অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ১১১৪ ঘণ্টা, মে ১৪, ২০২১
এসএইচএস/ওএইচ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
welcome-ad