রাজশাহী: বাংলা পঞ্জিকার পাতায় আজ ৩১ বৈশাখ। অর্থাৎ বৈশাখের শেষ দিন।
কয়েক দিন থেকে অব্যাহতভাবে তাপমাত্রা বাড়ার পর হঠাৎ প্রকৃতির এমন আকস্মিক পরিবর্তন দেখে তাই সবাই হচকচিত! সচরাচর এমনটি হওয়ার কথা নয়। এর আগে গত ৬ মার্চের সকাল এমন ঘন কুয়াশায় মুড়ি দিয়েছিল পদ্মাপাড়ের রাজশাহী।
রাজশাহী আবহাওয়া অফিস বলছে, এ বছর অনেকটা আগেভাগেই বিদায় নিয়েছে শীত। ফাল্গুনের আগেই সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৫ ডিগ্রির ওপরে উঠে গেছে। এ গ্রীষ্মে রাজশাহীর সর্বোচ্চ তাপমাত্রার পারদ ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছাড়িয়েছে। তবে গেল কয়েক দিন থেকে মাঝে-মধ্যেই বৃষ্টি হচ্ছে। কিন্তু বৈশাখ মাসের এমন সময় কুয়াশায় পড়ার ঘটনা বিরল।
রাজশাহী আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের জ্যেষ্ঠ পর্যবেক্ষক দেবল কুমার মৈত্র বাংলানিউজকে বলেন, ভোরে সূর্যোদয় হলেও পরে কুয়াশা পড়ে। যা এখন পর্যন্ত (ভোর সাড়ে ৬টা) স্থায়ী ছিল। তবে পরে হয়তো আবার সূর্যের মুখ দেখা যাবে। হঠাৎ প্রকৃতির এমন আচরণ কেন? সে সম্পর্কে তিনিও কোনো উত্তর দিতে পারেননি।
তিনি বলেন, ভোর ৫টা ২২ মিনিটে সূর্যোদয় হয়েছে। কিন্তু ঘন কুয়াশার কারণ এখনও সূর্যের মুখ দেখা যাচ্ছে না। ভোর ৬টায় বাতাসের আদ্রতা ছিল ৯৯ শতাংশ।
এদিকে তীব্র তাপদাহের পর ভোরের এমন স্নিগ্ধ কুয়াশায় মন ভুলেছে অনেকের। পবিত্র ঈদের দিন এমন কুয়াশাচ্ছন্ন আবহাওয়ায় অনেকেই তৃপ্তি ও প্রশান্তি নিয়ে প্রাতভ্রমণ সেরেছেন। মন খুলে হেঁটেছেন। নাতিশীতোষ্ণ আবহাওয়া সবার মন জুড়িয়ে দিচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ১০১৯ ঘণ্টা, মে ১৪, ২০২১
এসএস/আরবি