সাভার, (ঢাকা): রাত পোহালেই ঈদুল ফিতরের দিন। এই দিনটি পরিবারের সঙ্গে কাটাতে নানা মাধ্যমে গ্রামের বাড়িতে ফিরেছেন যান্ত্রিক শহরের মানুষ।
সরকারের তরফ থেকে ঈদযাত্রায় দূরপাল্লার বাসগুলো ছাড়ার কোনো নির্দেশনা না দিলেও বাসগুলো বিভিন্ন গন্তব্যে ছেড়ে যাচ্ছে। তবে, দূরপাল্লার বাসগুলো এখন যাত্রী সংকটে রয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৩ মে) রাত ৯টার দিকে আশুলিয়ার বাইপাইল ত্রিমোড় এলাকায় দূরপাল্লার বাসগুলোকে সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে। এসময় পরিবহনের শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, কয়েক ঘণ্টা ধরে দাঁড়িয়ে থাকলেও তেমন যাত্রী পাওয়া যাচ্ছে না। যাত্রীরা যা যাওয়ার গত দুই দিনেই চলে গেছে। এছাড়া এখন যাত্রীরা আর বাসে যেতে চায় না তারা যায় ট্রাক অথবা মাইক্রোবাসে করে৷
বাইপাইল ত্রীমোড় এলাকার বাস কাউন্টারগুলোতেও একই অবস্থা। ফাঁকা পড়ে রয়েছে সব। যাত্রীর অপেক্ষায় বসে থাকলেও আশানুরূপ যাত্রী পাচ্ছে না কাউন্টার মাস্টাররা।
সিরাজগঞ্জের একটি দূরপাল্লার বাস দাঁড়িয়ে আছে বাইপাইল বাস কাউন্টারের পাশে। বাসটিতে উঠে দেখা গেছে হাতেগোনা ১০/১২ জন যাত্রী ছাড়া সব ছিট ফাঁকা পড়ে আছে।
বাসটির চালক লতিফের সঙ্গে কথা হলে তিনি বাংলানিউজকে বলেন, আজ গাড়ি বের করেছি। শুনলাম বাস নাকি চলছে তাই আমাদেরটাও বের করেছি। কিন্তু বাসস্ট্যান্ডে এসে দেখি তেমন যাত্রী নেই। বাস প্রায় খালিই নিয়ে যেতে হচ্ছে। আমাদের বাসগুলো যদি আগে থেকেই ছেড়ে দেওয়া হতো আমাদের ঈদটাও ভালো কাটতো। নোয়াখালীর পরিবহনে কাউন্টার মাস্টার ইব্রাহিম বাংলানিউজকে বলেন, বাস ছেড়েছি বিকেল থেকে, এটাই আমাদের এবারের ঈদ যাত্রার প্রথম বাস। এখনো বাসটি বাইপাইল থেকে ছাড়তে পারিনি কারণ যাত্রী অনেক কম। আর ভাড়া আগের মতই। ঈদ উপলক্ষে ভাড়া বেশি নেওয়া হচ্ছে না।
এদিকে রাতে ঢাকা-আরিচা, নবীনগর-চন্দ্রা মহাড়ক ও টঙ্গী-আশুলিয়া-ইপিজেড সড়কে গণপরিবহনের কোনো চাপ নেই। তবে অটোরিকশা ও লেগুনার কারণে সড়কে হরহামেশাই ঘটছে দুর্ঘটনা। এছাড়া স্বাভাবিকভাবেই যানচলাচল করছে।
বাংলাদেশ সময়: ২৩১১ ঘণ্টা, মে ১৩, ২০২১
এএটি