ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

জাতীয়

লালপুরে অধ্যক্ষকে হাতুড়িপেটা করলেন স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা

আল মামুন, জেলা প্রতিনিধি | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৫৪ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৬, ২০১০

নাটোর: নাটোরের লালপুর উপজেলার ওয়ালিয়া হাকিমুন্নেছা গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ আব্দুল ওহাবকে বৃহস্পতিবার দুপুরে হাতুড়িপেটা করেছেন স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা আনিছুর রহমান ও তার সমর্থকরা।

অধ্য আব্দুল ওহাব বাংলানিউজকে জানান, দুপুর ১২টার দিকে ওয়ালিয়া হাকিমুন্নেছা গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজে ডিগ্রি পর্যায়ের ১৭টি পদের নিয়োগ পরীক্ষা চলছিল।

এ সময় স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা আনিছুর রহমান তার সাঙ্গপাঙ্গ নিয়ে কলেজে হামলা চালান। ৪৫ জন চাকুরিপ্রার্থীকে কলেজ চত্বর থেকে বের করে দেন তারা।

প্রত্যক্ষদর্শীরা বাংলানিউজকে জানান, হামলাকারীরা অধ্যক্ষ আব্দুল ওয়াহাবকে হাতুড়ি, ধারালো অস্ত্র, লাঠিসোটা দিয়ে বেদম মারপিট শুরু করে। এতে অধ্যক্ষ মাথা ও হাতে আঘাত পান। তার ডান হাতের আঙ্গুল ভেঙ্গে যায়। এ পরিস্থিতিতে নিয়োগ পরীক্ষা বন্ধ করে দেওয়া হয়।

আহত অধ্যক্ষকে লালপুর হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়।

কলেজ সূত্র জানায়, স্থানীয় সাংসদ আবু তালহার ডিও লেটারে ওয়ালিয়া হাকিমুন্নেছা গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজের সভাপতি নিয়োগ পান নাটোর জেলা যুবলীগের যুগ্মসাধারণ সম্পাদক গোলাম কাউছার।

সম্প্রতি সাংসদ তালহা একই কলেজের সভাপতি পদে ওয়ালিয়া ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি আনিছুর রহমানকে নিয়োগের জন্য আর একটি ডিও লেটার দেন। কিন্তু অধ্যক্ষ আব্দুল ওহাব ওই ডিও লেটার  গ্রহণ না করায় ক্ষিপ্ত হয়ে হামলা চালান আনিছুর।

আনিছুর রহমান বাংলানিউজকে জানান, আগের কমিটির মেয়াদ শেষ হওয়ার পর তাকে সভাপতি নিয়োগের জন্য সাংসদ আবু তালহা ডিও লেটার প্রদান করলেও অধ্যক্ষ তা গ্রহণ করেননি। তিনি অবৈধ সভাপতি গোলাম কাউছারকে সঙ্গে নিয়ে কলেজে শিক্ষক-কর্মচারী  নিয়োগ দেওয়ার চেষ্টা করলে এলাকাবাসী তাতে বাধা দিয়েছে।

ঘটনার সময়ে কলেজে উপস্থিত ছিলেন না বলেও দাবি করেন আনিছুর।

জেলা যুবলীগের যুগ্মসাধারণ সম্পাদক গোলাম কাউছার বাংলানিউজকে জানান, তিনি বৈধ কমিটির সভাপতি। সরকারি নিয়োগ বিধি মেনেই কলেজে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করা হয়। কিছু সন্ত্রাসী হামলা চালিয়ে তা ভণ্ডুল করার চেষ্টা করেছে। তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এদিকে এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় লালপুর থানায় আনিছুর রহমানসহ ১২ হামলাকারীর বিরুদ্ধে মামলা করেছেন অধ্যক্ষ।

লালপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তরিকুল ইসলাম বাংলানিউজকে জানান, তারা অধ্যক্ষের অভিযোগ পেয়েছেন। অভিযোগের ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করছেন।

লালপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জহিরুল ইসলাম বাংলানিউজকে জানান, বিষয়টি তিনি শুনেছেন। সংঘর্ষের আশঙ্কায় অধ্যকে নিয়োগ পরীক্ষা  স্থগিত রাখার নির্দেশ দিয়েছেন।

বাংলাদেশ সময়: ২০৪০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৬, ২০১০

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।