সাতক্ষীরা: বেলকনিসহ বাড়ির চারপাশে ২৬টি বড় বড় মৌমাছির চাক। বছরের সাত থেকে আট মাস এসব চাকে বসবাস করে লাখ লাখ মৌমাছি।
কৌতূহলবশত অনেকেই আসেন বাড়িটি দেখতে। পরিবারের সদস্যদের মতোই মানুষের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে বসবাস করছে এসব মৌমাছি।
ছয় থেকে সাত বছর আগের কথা, আবু সাঈদের বাড়ির চারপাশে হঠাৎ করেই সাত-আটটি চাক বসায় মৌমাছির দল। সেই থেকে বছরের নভেম্বর থেকে জুন মাস পর্যন্ত এ বাড়িটিতেই থাকে মৌমাছিরা। বছরের একটি নির্দিষ্ট সময় চলে গেলেও আবার ফিরে আসে তারা।
এখন প্রতিবছরই মেইলি সিরা প্রজাতির এ মৌমাছির আগমনের সংখ্যা বাড়ছে। এ বছর এসেছে ২৬টি মৌমাছির দল। পরিবারের সদস্যরাও মৌমাছিগুলোকে করে নিয়েছে আপন।
শুধু তাই নয়, বছরে দুই বার এসব চাক থেকে মধু সংগ্রহ করেন আবু সাঈদের পরিবার। এতে ৪০-৫০ হাজার টাকা বাড়তি আয় হয় তাদের।
মৌমাছির চাকগুলোকে সৃষ্টিকর্তার নিয়ামত হিসেবে মনে করেন গৃহকর্তা আবু সাঈদ।
তিনি বলেন, দূর-দূরান্ত থেকে মানুষ দেখতে আসে, এতে আমাদের খুবই ভালো লাগে। এছাড়া পরিবারের সদস্যদের মতোই মৌমাছিগুলো আপন হয়ে গেছে।
বাংলাদেশ সময়: ০৯৫৫ ঘণ্টা, মে ১০, ২০২১
এসআই