ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

জাতীয়

গণপরিবহন চললেও স্বাস্থ্যবিধি কিছুটা উপেক্ষিত

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১০৬ ঘণ্টা, মে ৭, ২০২১
গণপরিবহন চললেও স্বাস্থ্যবিধি কিছুটা উপেক্ষিত

ঢাকা: অর্ধেক যাত্রী আর বর্ধিত ভাড়া নিয়ে সরকার ঘোষিত বিধি-নিষেধের মধ্যে ২২ দিন পর রাজধানীর সড়কে চলতে শুরু করেছে গণপরিবহন।

বৃহস্পতিবার (৬ মে) ভোর থেকে গণপরিবহন চলাচল শুরু হলেও বেশিরভাগ পরিবহন শ্রমিক এবং যাত্রীদের স্বাস্থ্যবিধি অনেকটা উপেক্ষায় করতে দেখা গেছে।

অনেক যাত্রী অভিযোগ করেছেন গণপরিবহন চলাচল শুরু হলেও যাত্রী ও গাড়ির সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা স্বাস্থ্যবিধি মানছেন না। এতে করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। তবে বাস চলাচল শুরু হওয়ায় যাত্রীরা অল্প খরচে গন্তব্যে যেতে পেরে খুশি।

দুপুরে কারওয়ান বাজার এলাকায় হাবিব রহমান নামে এক যাত্রী বলেন, গণপরিবহন চালু করায় আমরাদের মতো সাধারণ মানুষের একটু সুবিধা হয়েছে। এখন কম খরচেই যাতায়াত করা যাচ্ছে। তবে অনেকেই দেখলাম স্বাস্থ্যবিধি মানছেন না। এক আসন ফাঁকা রাখার কথা থাকলেও গাদাগাদি করে যাত্রীরা গন্তব্যে যাচ্ছেন। কারো মুখে মাস্ক আছে, কারো নেই। এভাবে চলতে থাকলে করোনা সংক্রমণ বাড়তে পারে।

দুপুরে কারওয়ান বাজার ঘুরে দেখা যায়, যাত্রীরা ঠেলাঠেলি করে উঠছেন বাসে। অনেক সময় কোনও সিট খালি রাখা হচ্ছে না। দাঁড়িয়েও যাচ্ছে লোকজন। কারও কারও মুখে নেই মাস্ক। সকালের দিকে বাসগুলো কিছুটা ফাঁকা থাকলেও বেলা বাড়ার পর রাজধানীর বিভিন্ন রুটের বাসগুলোতে একই অবস্থা দেখা গেছে।

এছাড়া, ডাবল সিটে নেওয়া হচ্ছে যাত্রী। বেশিরভাগ বাসে যাত্রী ওঠানোর সময় চোখে পড়েনি কোনও জীবাণুনাশক স্প্রে’র। তবে দুই একটি বাসে স্প্রে ছিটিয়ে যাত্রীদের বাসে ওঠানো হচ্ছে। এছাড়া বেশ কয়েকটি গাড়িতে সিট ভর্তি করে ওঠানো হয়েছে যাত্রী। এসব তদারকিরও যেন কেউ নেই।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে শেকড় পরিবহনের চালক বলেন, এতক্ষণ মাস্ক পরেছিলাম। মাত্র একটু নাক থেকে নামিয়েছি। শ্বাস নিতে একটু সমস্যা হচ্ছিল তাই। আর সকালে বাস রাস্তায় নিয়ে নামার আগে পুরো বাসের সিটে জীবাণুনাশক স্প্রে করেছি। পাশাপাশি দুই সিটের একটিতে যাত্রী নিয়ে অন্যটি ফাঁকা রেখে বাস চালানো হচ্ছে। কেউ দাঁড়িয়ে যাচ্ছেন না। যাত্রীদের মাস্ক না থাকলে বাসে যাতায়াত করতে দিচ্ছি না।

এদিকে স্বাস্থ্যবিধি না মানার ক্ষেত্রে পরিবহন শ্রমিকদের জন্য এখনো কোনো কঠোর ব্যবস্থা নেননি আইন শৃঙ্খলা রক্ষায় দায়িত্বপ্রাপ্তরা। বরং প্রাথমিক অবস্থায় তারা সকলকে সচেতন করার জন্যই কাজ করছেন বলে জানিয়েছেন।

এ বিষয়ে রাজধানীর কারওয়ান বাজার এলাকায় দায়িত্বরত ট্রাফিক ইন্সপেক্টর বিপ্লব ভৌমিক বলেন, দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর আজ গণপরিবহন খুলে দেওয়ায় সড়কে গাড়ির চাপ বেশ কিছুটা বেড়েছে। মানুষ দীর্ঘদিন ঘরে ছিল এবং সামনে যেহেতু ঈদ, তাই অনেকেই বেরুচ্ছেন।

তিনি বলেন, স্বাস্থ্যবিধি মানার জন্য আমরা যাত্রী এবং পরিবহন সংশ্লিষ্ট সকলকেই সচেতন করছি। যাদের মাস্ক নেই, তাদের মাস্ক দিচ্ছি। তবে এখনো কোনো কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। আমরা তাদের এখন সচেতন করার চেষ্টা করছি। যদি তারা সচেতন না হন, তবে হয়তো আইনী দিকটি নিয়েই ভাবতে হবে।

বাংলাদেশ সময়: ০১০৫ ঘণ্টা, মে ০৭, ২০২১
এইচএমএস/জেআইএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।