ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৭ রমজান ১৪৪৫

জাতীয়

৩৪৫ শিশুর মুক্তিতে ইউনিসেফের সাধুবাদ

ডিপ্লোম্যাটিক করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫০৫ ঘণ্টা, মে ৬, ২০২১
৩৪৫ শিশুর মুক্তিতে ইউনিসেফের সাধুবাদ ...

ঢাকা: ভার্চ্যুয়াল আদালতের মাধ্যমে বাংলাদেশের আটক কেন্দ্রগুলো থেকে ৩৪৫ শিশুকে মুক্তি দেওয়ায় সাধুবাদ জানিয়েছে ইউনিসেফ। সংস্থাটি বলেছে, এটি বাংলাদেশে শিশুদের ন্যায়বিচার প্রাপ্তির জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ এবং শিশুদের জন্য সুরক্ষা, নিরাপত্তা ও তাদের সর্বোত্তম স্বার্থকে অগ্রাধিকার দেওয়ার ইঙ্গিত বহন করে।

বৃহস্পতিবার (৬ মে) বাংলাদেশে ইউনিসেফের প্রতিনিধি টোমো হোযুমি এক বিবৃতিতে বলেন, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট ইউনিসেফের সহায়তায় ২০২০ সালের মে মাসে ভার্চ্যুয়াল আদালতের কার্যক্রম চালু করে। এরপর থেকে ভার্চ্যুয়াল আদালতের মাধ্যমে এক হাজার চারশরও বেশি শিশুকে আটক কেন্দ্র থেকে মুক্ত করা হয়েছে। এই শিশুদের মধ্যে ০.৫ শতাংশেরও কম তাদের মুক্তির পর পুনরায় অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়েছে।

তিনি বলেন, আটকে রাখা হলে তা শিশুদের মানসিক ও শারীরিক স্বাস্থ্যের ওপর মারাত্মক প্রভাব ফেলে। তাই অপ্রয়োজনীয় প্রাতিষ্ঠানিকীকরণ এড়ানো উচিত। যেসব শিশুর বিরুদ্ধে অপরাধে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে এবং যারা এর শিকার বা সাক্ষী, তাদের জন্য আটকে রাখা ব্যতীত অন্য কোনো ব্যবস্থা চালুর আহ্বান জানাচ্ছে ইউনিসেফ।

যেসব শিশু নিরাপদে তাদের পরিবারে বা উপযুক্ত বিকল্প যত্নে ফিরে যেতে পারে তাদের আটক কেন্দ্র থেকে ছেড়ে দেওয়া উচিত। বর্তমান অতিমারিজনিত লকডাউন চলাকালে এটি বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ, যখন কেন্দ্রগুলোতে সীমিত সংখ্যক কর্মী কাজ করছে এবং শিশুরা জনাকীর্ণ আটক কেন্দ্রগুলোতে সংক্রমণ, অবহেলা, নির্যাতনের শিকার হওয়ার উচ্চ ঝুঁকির মুখে রয়েছে।

অতিমারি চলাকালে বাংলাদেশ শিশুদের সুবিধা ও তাদের অধিকারের জন্য বিচার ব্যবস্থা সংস্কারের মাধ্যমে শক্তিশালী নেতৃত্ব প্রদর্শন করেছে। শিশু-সম্পর্কিত যেসব মামলা বিচারাধীন থাকায় হাজার হাজার শিশুকে আটকে রাখা হয়েছে সেই মামলাগুলোর বিচার প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করার মাধ্যমে এই গতি আমাদের ধরে রাখতে হবে।

বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়, শিশুদের ন্যায়বিচার প্রাপ্তির সুযোগ উন্নত করতে বাংলাদেশ সরকার, সুপ্রিম কোর্টের শিশু অধিকার বিষয়ক বিশেষ কমিটি এবং আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়কে পূর্ণ সহায়তা দিতে প্রস্তুত ইউনিসেফ। ২০১৩ সালের শিশু আইনের প্রয়োগ জোরদার করার মাধ্যমে আমরা বাংলাদেশে পুলিশিসহ সব পর্যায়ে শিশুদের আটকে রাখা ঠেকাতে পারি।

বাংলাদেশ সময়: ১৫০৫ ঘণ্টা, মে ০৬, ২০২১
টিআর/এইচএডি/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।