ঢাকা: করোনা আক্রান্ত বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে চিকিৎসা করতে লন্ডনে নেওয়ার জন্য পরিবারের পক্ষ থেকে সরকারের কাছে আবেদন করা হয়েছে।
খালেদা জিয়ার ঘনিষ্ঠ সূত্র বাংলানিউজকে বলেন, গত ১০ এপ্রিল করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হন খালেদা জিয়া।
এরই মধ্যে গত ২৫ এপ্রিল দ্বিতীয়দফা টেস্টেও করোনা রিপোর্ট পজিটিভ আসে। পরে ২৭ এপ্রিল এভার কেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ২ মে পুনরায় করোনা টেস্ট করা হয়। কিন্তু ওই টেস্টেও তার করোনা পজিটিভ রিপোর্ট আসে। এ বিষয়ে তার চিকিৎসক ডা. এজেড এম জাহিদ হোসেনের কাছে জানতে চাইলে, তিনি সরাসরি উত্তর না দিয়ে বলেন, ম্যাডাম নন কোভিড জোনে চিকিৎসাধীন আছেন। তার করোনার কোনো উপসর্গ নেই।
এদিকে সোমবার (৩ মে) সকাল থেকে শ্বাসকষ্ট অনুভব করায় বিকাল চারটার দিকে খালেদা জিয়াকে করোনারী কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) স্থানান্তর করা হয়েছে। একটি সূত্র জানায়, শ্বাসকষ্ট কমাতে খালেদা জিয়াকে অক্সিজেন দেওয়া হয়েছে। তার শারীরিক অবস্থা ভাল না। তবে তার চিকিৎসক ডা. জাহিদ খালেদা জিয়ার শারিরীক অবস্থা সম্পর্কে সোমবার রাত পৌনে আটটার দিকে সাংবাদিকদের প্রশ্নের সরাসরি জবাব না দিয়ে বলেন, আমি কিছুক্ষণ আগে ওনার সঙ্গে কথা বলে এসেছি। উনি স্বাভাবিক শ্বাস-প্রশ্বাস নিচ্ছেন।
এদিকে লন্ডনের এক সূত্র বাংলানিউজকে নিশ্চিত করেছে, খালেদা জিয়ার বড় ছেলে তারেক রহমান ও তার স্ত্রী ডা. জোবাইদা রহমান চাচ্ছেন খালেদা জিয়াকে বিশেষ বিমানে লন্ডনে নিয়ে চিকিৎসা করাতে। এ বিষয়ে তারা সব প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছেন। সরকারের পক্ষ থেকে গ্রীন সিগন্যাল পেলেই যে কোনো সময় বিশেষ বিমানে খালেদা জিয়াকে লন্ডনে নিয়ে যাওয়া হবে।
সোমবার (৩ মে) রাত ১০টা ২০মিনিটের সময় খালেদা জিয়ার ছোট ভাই শামীম ইস্কান্দারের কাছে ফোনে জানতে চাইলে তিনি বাংলানিউজকে এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। খালেদা জিয়াকে বিদেশে নেওয়ার জন্য আবেদন করেছেন কি না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি শুধু বলেন, নো কমেন্টস।
চেয়ারপারসনের মিডিয়া উইংয়ের সদস্য শায়রুল কবির খান বাংলানিউজকে বলেন, এ বিষয়ে আমার কিছু জানা নেই।
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়ার সর্বশেষ অবস্থা নিয়ে যা বললেন ডা. জাহিদ
বাংলাদেশ সময়: ২৩৩৫ ঘণ্টা, মে ০৩, ২০২১
এমএইচ/এমকেআর