ঢাকা: ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) প্রধান কৌশলগত স্বার্থকে বিবেচনায় নিয়ে এই অঞ্চলের কৌশলগত বিষয়ে ফোকাস, উপস্থিতি ও পদক্ষেপের প্রতি অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করে ইন্দো প্যাসিফিকে কৌশলগত সহযোগিতার সুপারিশ অনুমোদন করেছে।
সোমবার (১৯ এপ্রিল) ঢাকার ইইউ অফিস থেকে এ তথ্য জানানো হয়।
ইউরোপীয় কাউন্সিলের নেওয়া সুপারিশে ইন্দো প্যাসিফিক অঞ্চলে ক্রমবর্ধমান চ্যালেঞ্জ আর উত্তেজনা বেড়ে যাওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা, নিরপত্তা, সমৃদ্ধি ও টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করাটাই কৌশলের মূল লক্ষ্য। এর মধ্যে দিয়ে ইন্দো প্যাসিফিক অঞ্চলের প্রতি ইইউ পুনরায় অঙ্গীকার ব্যক্ত করছে। গণতন্ত্র, মানবাধিকার, আইনের শাসন ও আন্তর্জাতিক আইনের প্রতি শ্রদ্ধা সমুন্নত রেখে পূর্ব উপকূল থেকে আফ্রিকা হয়ে প্রশান্ত মহাসাগরের দেশগুলো পর্যন্ত এই অঞ্চলে ইইউ’র দীর্ঘস্থায়ী মনোযোগ থাকবে।
ইইউ জানিয়েছে, ইন্দো প্যাসিফিকের এখনকার গতিময়তা প্রবল ভূ-রাজনৈতিক প্রতিযোগিতার সৃষ্টি করেছে। ফলে বিভিন্ন ক্ষেত্রে ক্রমশ উত্তেজনা বাড়ছে। মানবাধিকারও এখন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হচ্ছে। এই বিষয়গুলো এ অঞ্চল ও তার বাইরেও স্থিতিশীলতা ও নিরাপত্তার জন্য ক্রমবর্ধমান চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখা দিচ্ছে, যা চূড়ান্তভাবে ইইউ’র স্বার্থের ওপর প্রভাব পড়বে।
সামুদ্রিক নিরাপত্তা, অপরাধমূলক সাইবার তৎপরতা, ভুল তথ্য বিকাশমান প্রযুক্তি, সন্ত্রাসবাদ ও সংঘবদ্ধ অপরাধসহ নিরাপত্তা ও প্রতিরক্ষার ক্ষেত্রে অংশীদারিত্ব বিকাশে ইইউ’র প্রয়াস অব্যাহত থাকবে। একই সঙ্গে কোভিড-১৯ মহামারিতে আর্থিক ও মানবিক প্রভাব কাটিয়ে ওঠার পাশাপাশি টেকসই আর্থ সামাজিক নিশ্চিত করতে ইইউ ও তার আঞ্চলিক অংশীদারেরা এক সঙ্গে কাজ করবে।
বাংলাদেশ সময়: ২২০৯ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৯, ২০২১
টিআর/এনটি