ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

জাতীয়

পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ে দৃষ্টিনন্দন শহীদ মিনার, ব্যয় ১৭ কোটি

  সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১১৪ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৯, ২০২১
পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ে দৃষ্টিনন্দন শহীদ মিনার, ব্যয় ১৭ কোটি পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ে দৃষ্টিনন্দন শহীদ মিনার, ব্যয় ১৭ কোটি

ঢাকা: নগরীর পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ে প্রাকৃতিক জাতীয় পতাকার আদলে দৃষ্টিন্দন শহীদ মিনার নির্মাণ করা হবে। ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনে শহীদদের স্মরণে একটি নান্দনিক শহীদ মিনার স্থাপন করা হবে।

শহীদ মিনারটির প্রধান মিনারের পেছনে লাল বৃত্ত এবং পেছনে থাকবে সবুজ গাছের বেষ্টনী। এর সমন্বয়ে তৈরি হবে প্রাকৃতিক জাতীয় পতাকা। দূর থেকে দেখলে মনে হবে সবুজের মধ্যে লাল সূর্য। চলতি মাসে শহীদ মিনারটির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হতে পারে বলে জানায় পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়।

পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের ফাঁকা জায়গায় তৈরি হচ্ছে এটি। ১১৮ ফুট দৈর্ঘ্য ও সাড়ে ৬৬ ফুট প্রস্থের জায়গায় তৈরি হচ্ছে পুরো শহীদ মিনার। এটির নকশা তৈরি করেছেন স্থাপত্য অধিদফতরের নির্বাহী স্থপতি সাইতা বিনতে আলী। কাজ ইতোমধ্যেই অনেকদূর এগিয়েছে। বেদি এবং সামনের গ্যালারির জন্য অবকাঠামো তৈরির কাজ প্রায় শেষ। প্রধান মিনারটি স্থাপন করা হয়েছে। বাকিগুলোরও কাজ চলছে। অভ্যন্তরীণ রাস্তার কাজও প্রায় শেষ হয়েছে। শহীদ মিনারে পাঁচটি মিনার থাকবে। এর মধ্যে মাঝেরটি হবে ৩৩ ফুট উঁচু। বাকিগুলো হবে ১৭ ফুট উচ্চতার।
 
পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় কমপ্লেক্সে বিদ্যমান ভবন ও অবকাঠামো সমূহের মানোন্নয়ন শীর্ষক একটি প্রকল্পর আওতায় এটি নির্মাণ করা হচ্ছে। এটি বাস্তবায়নে মোট ব্যয় হচ্ছে ১৭ কোটি টাকা। পরিকল্পনা বিভাগ এবং গণপূর্ত অধিদফতর যৌথভাবে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে। স্টিলের কাঠামোর ওপর লোহার জাল ও তার ওপর চিরহরিৎ পাতাবাহার গাছ দিয়ে এ সবুজ দেয়াল তৈরি করা হবে। সামনে দাঁড়ালে শহীদ মিনারের পেছনে বাংলাদেশের পতাকা দেখা যাবে। ইতোমধ্যে এই শহীদ মিনার নির্মাণের ৮০ শতাংশের বেশি কাজ শেষ হয়েছে। জানুয়ারিতে শুরু হওয়া এই শহীদ মিনারের কাজ আগামী মে মাসের মাঝামাঝিতে শেষ হতে পারে।
 
মেগনেটিক স্টিল দিয়ে নির্মাণ করা হচ্ছে মিনার। মিনার চত্বরের বাউন্ডারি দৈর্ঘ্য ১৫০ ফুট এবং প্রস্থ ৬৪ ফুট। তাছাড়া শহীদ মিনারের সামনে হাঁটার রাস্তা থাকবে। গাড়ি পার্কিংয়ের ব্যবস্থাও থাকবে। মূল গেট থেকে পেছনের গেট পর্যন্ত হাঁটার রাস্তা করা হবে। এই হাঁটার রাস্তার দের্ঘ্য হবে ১২৫০ ফুট। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় চত্বরের একটি গাছও কাটা যাবে না। এই গাছগুলো থাকবে। ছায়ামাখা জায়গা এটি। মানুষ যেন হাঁটতে পারেন এবং শহীদ মিনারের সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারেন, তাই এই হাঁটার রাস্তা করা হচ্ছে।

শহীদ মিনার ছাড়াও এই প্রকল্পের আওতায় এনইসি-২ সম্মেলন কক্ষের পাশে তৈরি হচ্ছে বঙ্গবন্ধু ডকুমেন্টেশন সেন্টার। সেখানে থাকবে বঙ্গবন্ধুর স্মৃতিবিজড়িত এবং তথ্য সমৃদ্ধ অনেক ডকুমেন্টস। শহীদ মিনারের পাশ দিয়ে পরিকল্পনা কমিশনের পূর্বাংশে তৈরি হচ্ছে চারফিট চওড়া ওয়াকওয়ে। যেখানে কর্মকর্তারা অফিস সময়ের পর হাঁটাহাঁটি করার সুযোগ পাবেন। শহীদ মিনারের মূল বেদির চারদিকে থাকবে ফুলের গাছ। সামনের দিকে থাকবে গ্যালারি। যেখানে কোনো অনুষ্ঠান হলে দর্শকরা বসে উপভোগ করতে পারবেন। এছাড়া প্রকল্পটির আওতায় পরিকল্পনা কমিশন চত্বরের সড়ক, পানি সরবরাহ, পয়ঃনিষ্কাশন ও বিদ্যুৎ ব্যবস্থাসহ রাস্তার উন্নয়ন করা হচ্ছে।

প্রকল্প পরিচালক ও পরিকল্পনা বিভাগের উপসচিব (প্রশাসন-২, প্রশাসন-১ অতিরিক্ত দায়িত্ব) রত্না শারমীন ঝরা বাংলানিউজকে বলেন, পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ে দৃষ্টিনন্দন শহীদ মিনার নির্মাণ হচ্ছে। প্রকল্পের নকশা স্যার (পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নান) পছন্দ করে দিয়েছেন। প্রকল্পের কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। আশা করছি মে মাসে প্রকল্পটি উদ্বোধন করা হবে।

বাংলাদেশ সময়: ২১১০ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৯, ২০২১
এমআইএস/এমআরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।