সিলেট: লকডাউন মানাতে সিলেটে প্রতিদিন চলছে অভিযান। প্রশাসনের জেরার মুখে পড়ে জরিমানা দিয়ে পার পেয়ে যাচ্ছেন স্বাস্থ্যবিধি অমান্যকারীরা।
অবশেষে লকডাউন কঠোরভাবে কার্যকরে নতুন পরিকল্পনা করেছে সিলেট মহানগর পুলিশ। যানবাহন চলাচল রোধে নগরে ১৪টি পয়েন্টে বাঁশের ব্যারিকেড বসিয়েছে সিলেট মহানগর পুলিশের ট্রাফিক ডিভিশন।
সোমবার (১৯ এপ্রিল) মহানগরের ছয় প্রবেশদ্বারসহ নগর এলাকায় আটটি পয়েন্টে বাঁশের ব্যারিকেড বসানো হয়েছে। তাতে যানবাহন চলাচল গতিরোধ করা যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন দায়িত্বরত ট্রাফিক পুলিশের সদস্যরা।
সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ কমিশনার (ট্রাফিক) জ্যোতির্ময় সরকার বাংলানিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, গত বুধবার (১৪ এপ্রিল) লকডাউনের শুরু থেকেই দেখা গেছে অনেকেই বিভিন্ন অজুহাতে বাসাবাড়ি থেকে বের হচ্ছেন। লকডাউন মানার ব্যাপারে মানুষের মধ্যে প্রবণতা কম। এ কারণে সোমবার দুপুর থেকে লকডাউন কার্যকর করতে সিলেটের ছয়টি প্রবেশদ্বার ও নগরের আটটি পয়েন্টে বাঁশের ব্যারিকেড দেওয়া হয়েছে। যারা নানা অজুহাতে বের হচ্ছেন তাদের আটকানো হচ্ছে। একান্ত জরুরি প্রয়োজন বিবেচনায় নিয়ে অন্যদের যানবাহন আটকানো হচ্ছে। করোনা ভাইরাস সংক্রমণ রোধে সরকারি নির্দেশনা বাস্তবায়ন করতে সচেষ্ট রয়েছে পুলিশ। প্রতিটি বেড়ার সামনেই পুলিশের তল্লাশি চৌকি বসানো হয়েছে। মুভমেন্ট পাসে অনুমোদিত গাড়িগুলো ও জরুরি প্রয়োজন ছাড়া যথাযথভাবে যারা প্রমাণ দিতে পারছেন না তাদের গাড়িগুলোকে ফিরিয়ে দেওয়া হচ্ছে।
নগর ঘুরে দেখা গেছে, করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ রোধে সিলেটের প্রবেশদ্বার হুমায়ুন রশিদ চত্বর, অতিরবাড়ি, শ্রীরামপুর বাইপাস, পারাইরচক, বটেশ্বর, এয়ারপোর্ট সড়ক, কাজিরবাজার সেতুর দক্ষিণ পার্শ্ব মারকাজ পয়েন্টে, আম্বরখানা, বন্দরবাজার, টিলাগড়, মদিনামার্কেট, লামাবাজার, জিন্দাবাজার ও রিকাবীবাজারে বাঁশের বেড়া দেওয়া হয়েছে। তাতে চৌকি বসিয়ে দায়িত্ব পালন করছেন ট্রাফিক সদস্যরা। অনেকে অপ্রয়োজনে গাড়ি নিয়ে বের হলে তাদের ফিরিয়ে দিতে দেখা গেছে। এসব তল্লাশি চৌকিতে বিভিন্ন ধরনের যানবাহন, রিকশারোহী, মোটরসাইকেল চালকসহ হাঁটা মানুষদেরও পুলিশের জেরা মুখে পড়তে হচ্ছে। প্রয়োজনীয় কারণ ব্যতিরেকে এবং যৌক্তিক কারণ ছাড়া সবাইকে ফিরিয়ে দেওয়া হচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫২৬ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৯, ২০২১
এনইউ/আরবি