ঢাকা, বুধবার, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

যশোরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে ৮০ হাজার টাকা জরিমানা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৫০ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৬, ২০২১
যশোরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে ৮০ হাজার টাকা জরিমানা

যশোর: করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে যশোরে কঠোরভাবে পালিত হচ্ছে সর্বাত্মক লকডাউন। গেল দুদিনের মতো লকডাউনের তৃতীয় দিনে যশোরে কঠোর অবস্থানে ছিল প্রশাসন।

শুক্রবার (১৭ এপ্রিল) যশোর জেলা শহরের বিভিন্ন সড়কে ব্যারিকেড দিয়ে রাস্তায় মানুষের চলাচল সীমিত করে পুলিশ। তবে কাঁচাবাজার ও মাছ-মাংসের বাজারে সকাল থেকে দুপুর অবধি জনসমাগম লক্ষ্য করা গেছে। সেখানে ছিল না স্বাস্থবিধির বালাই।

এদিকে, স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালন, মানুষ ও যান চলাচল সীমিত করার জন্য জেলা প্রশাসন গেল তিন দিনের অভিযানে ১৩৭টি মামলায় ৮০ হাজার ৮শ’ টাকা জরিমানা আদায় করেছে। জেলা প্রশাসনের তৎপরতায় যশোরে লকডাউনের তৃতীয় দিনও সফল হয়েছে বলে মনে করছেন সচেতন মানুষ।

শুক্রবার শহরের বিভিন্ন প্রান্তে ঘুরে দেখা গেছে, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে চলমান লকডাউনের তৃতীয় দিনে যশোর শহরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে যথারীতি কঠোর অবস্থানে দেখা গেছে। কিন্তু বাজারগুলোতে অনেকটাই শিথিল ছিল বিধিনিষেধ। এছাড়া শহরের গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর চেকপোস্ট থাকায় শহরতলী থেকে বিভিন্ন ইজিবাইক ও সিএনজিতে যাত্রী নিয়ে চেকপোস্টের আগে যাত্রী নামিয়ে দিতে দেখা যায়। আর পুলিশ দেখলেই সটকে পড়েন এসব চালক। মোটরসাইকেল, রিকশা ও প্রাইভেটকার জরুরি প্রয়োজন ছাড়া শহরের ভেতরে ঢুকতে দেননি আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা।

লকডাউনের তৃতীয় দিনে বড় বড় দোকানপাট বন্ধ থাকলেও সকালে এইচএমএম রোড, হাটখোলা রোড, চুড়িপট্টি, জেল রোড বেলতলায় ওষুধ ও মুদির দোকান ছাড়াও অন্যান্য দোকানে শাটার অর্ধেক খোলা রেখে কেনাবেচা করতে দেখা গেছে ব্যবসায়ীদের। এইচএমএম রোডে ৩০ থেকে ৪০ জন বিক্রেতা ফুটপাতে কাপড় ও জুতার পসরা নিয়ে বসেন। তবে কিছুক্ষণ পরই পুলিশি তৎপরতায় মালামাল গুটিয়ে চলে যেতে বাধ্য হন তারা।

সবুজ হোসেন নামে এক সবজি বিক্রেতা বাংলানিউজকে বলেন, মাস্ক পরেই বেচাকেনা করছি। তবে, গরমে দীর্ঘক্ষণ ধরে মাস্ক পরে থাকলে শ্বাসকষ্ট লাগে। তাই কাজের সময় মাস্ক পরি না। মাঝে মধ্যে আইনশৃঙ্খলার বাহিনীর লোকজন বাজারে টহল দিচ্ছে বলে জানান তিনি।

তোফাজ্জল হোসেন মানিক নামে এক কলেজ শিক্ষক বলেন, সরকার লকডাউন দিলেও আমরা সচেতন না। মানুষ অযথা বাইরে বের হচ্ছে। লকডাউন ব্যবস্থা তুলে দিয়ে পথে-ঘাটে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের কঠোর অবস্থানে যাওয়ায় তিনি মতামত দেন।

দড়াটানায় দায়িত্বরত পুলিশ কর্মকর্তা সুমন ভক্ত বাংলানিউজকে বলেন, আমরা মুভমেন্ট পাস ছাড়া কাউকে রাস্তায় বের হতে দিচ্ছি না। তবে গুরুতর অসুস্থ রোগীবাহী গাড়িগুলোকে ছেড়ে দিচ্ছি। তার পরেও মানুষ সচেতন না। অকারণে মানুষ বাইরে বের হচ্ছে। এ কারণে পুলিশ আরও কঠোর অবস্থান নিয়েছে। রাস্তায় ব্যারিকেড দিয়ে যানবাহন চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে।

যশোরের জেলা প্রশাসক তমিজুল ইসলাম খান বাংলানিউজকে বলেন, সরকার ঘোষিত লকডাউন বাস্তবায়ন করতে প্রশাসন তৎপর রয়েছে। লকডাউন ও স্বাস্থ্যবিধি মানতে শহরের ১২টির মতো ভ্রাম্যমাণ আদালত কাজ করছে।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, কাঁচাবাজারগুলোতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ব্যবসা করতে ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদের সঙ্গে কথা বলেছি। তারপরেও যারা মানছেন না, স্বাস্থ্যবিধি মানার জন্য নিয়মিত ভ্রাম্যমাণ আদালত চালানো হচ্ছে।

বাংলাদেশ সময়: ২১৪১ ঘণ্টা, 
ইউজি/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।