ঢাকা, শনিবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

যৌতুকের দাবিতে স্ত্রীকে কুপিয়ে জখম, স্বামী কারাগারে

উপজেলা করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫০০ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৬, ২০২১
যৌতুকের দাবিতে স্ত্রীকে কুপিয়ে জখম, স্বামী কারাগারে

বরগুনা: বরগুনার তালতলীতে যৌতুকের টাকার দাবিতে সুমাইয়া বেগম (৩২) নামে এক গৃহবধূকে কুপিয়ে গুরুতর জখম করার অভিযোগ উঠেছে স্বামী করিম খন্দকারের (৪০) বিরুদ্ধে।

এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার (১৫ এপ্রিল) রাতে অভিযুক্ত স্বামী করিম খন্দকারকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

শুক্রবার (১৬ এপ্রিল) দুপুরে তাকে কারাগারে পাঠায় পুলিশ। উপজেলার পচাকোড়ালিয়া ইউনিয়নের গাব্বারিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এর আগে, বৃহস্পতিবার বিকেলে গৃহবধূ সুমাইয়ার ভাই আবু হানিফ বাদী হয়ে চারজনকে আসামি করে তালতলী থানায় মামলা করেন।  

সুমাইয়ার পরিবার সূত্রে জানা যায়, উপজেলার পচাকোড়ালিয়া ইউনিয়নের গাব্বারিয়া গ্রামের মজিদ খন্দকার ছেলে করিম খন্দকারের সঙ্গে প্রায় ১১ বছর আগে কড়াইবাড়ীয়া ইউনিয়নের ছিদ্দিক হাওলাদের মেয়ে সুমাইয়া বেগমের সঙ্গে পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। বর্তমানে তাদের দুটি সন্তান রয়েছে। বিয়ের পর থেকেই করিম তার স্ত্রীকে যৌতুকের দাবিতে প্রায়ই মারধর করতেন। বিভিন্ন সময় স্থানীয়রা ও প্রতিবেশীরা সালিশ মীমাংসা করে করিমকে আর্থিক সহযোগিতা করেছে। কিন্তু করিম মোটা অংকের যৌতুক ফের সুমাইয়াকে আবার মারধর করে। স্বামীর এমন অত্যাচার সইতে না পেরে কয়েক মাস আগে সুমাইয়া তার বাপের বাড়ি চলে আসেন।

সুমাইয়ার পরিবার পুলিশকে বিষয়টা অবহিত করতে চাইলে বগীরহাট প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ইদ্রিস তালুকদার সালিশ মিমাংসার কথা বলে মেয়েটিকে তার বাপের বাড়ি থেকে শ্বশুর বাড়িতে নিয়ে যান। মঙ্গলবার গভীর রাতে ঘুমের ঘরে করিম তার স্ত্রীকে দা দিয়ে কুপিয়ে জখম করে পালিয়ে যান। খবর পেয়ে সুমাইয়ার বাপের বাড়ির লোকজন মুমূর্ষু অবস্থায় বরিশাল শেবাচিম মেডিক্যাল কলেজে হাসপাতালে জরুরি চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হলে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য দ্রুত ঢাকা নেওয়ার পরামর্শ দেন।

এ বিষয়ে আহত সুমাইয়ার বড় ভাই আবু হানিফ বাংলানিউজকে বলেন, বিভিন্ন সময় আমার বোনকে অত্যাচার করে যৌতুক নিয়েছে করিম। গত কয়েক মাস আগে করিম ৫০ হাজার টাকা যৌতুক দাবি করেছে কিন্তু আমার বোন বলেছে টাকা কোথায় পাবো এ কথা বলার পর আমার বোনকে আবার মারধর করে। মারধরের কষ্ট সইতে না পেরে বাপের বাড়ি চলে আসলে কয়েক দিন আগে বগীরহাট প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ইদ্রিস তালুকদার তিনি অভিভাবক হয়ে আমার বোনকে তার শ্বশুর বাড়ি নিয়ে যান। পূর্ব পরিকল্পিতভাবে আমার বোনকে খুন করতে চেয়েছিল করিম। আমার বোন এখন হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে।

তালতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুজ্জামান মিয়া বাংলানিউজকে জানান, এ ঘটনায় মেয়ের আপন ভাই হানিফ বাদী হয়ে থানায় একটি মামলা করেছে, অভিযান চালিয়ে মূল আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৫৯ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৬, ২০২১
এনটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

জাতীয় এর সর্বশেষ