ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

লকডাউনের প্রথম দিন

ঘরের বাইরে বেরোনোর প্রবণতা ছিল কম

হোসাইন মোহাম্মদ সাগর, ফিচার রিপোর্টার | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৩২ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৪, ২০২১
ঘরের বাইরে বেরোনোর প্রবণতা ছিল কম সর্বাত্মক লকডাউনের প্রথম দিনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্য | ছবি: জিএম মুজিবুর

ঢাকা: সর্বাত্মক লকডাউনের প্রথম দিনের সকাল থেকেই বেশ কড়াকড়িভাবে মানা হয়েছে স্বাস্থ্যবিধি ও সরকারি নির্দেশনা। রাস্তার মোড়ে মোড়ে যেমন পুলিশের চেকপোস্ট-টহল তেমনি সচেতন নাগরিকরাও ঘর থেকে বেরিয়েছেন খুব কম।

তবে ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে দিন এনে দিন খাওয়া মানুষগুলোকে।

বুধবার (১৪ এপ্রিল) লকডাউনের প্রথম দিন রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে এমন চিত্র। জনসমাগমের অধিকাংশ স্থান ছিল প্রায় ফাঁকা।

দুপুরে রাজধানীর কারওয়ান বাজার, বাংলামোটর, শাহবাগ এলাকা ঘুরে দেখা যায়, রাজধানীর প্রাণকেন্দ্রগুলো জনশূন্য। সবসময় যেখানে যানজট আর মানুষের নিত্য আনাগোনা, সেই এলাকায় নেমে এসেছে শুনশান নীরবতা।

শাহবাগের ওষুধের দোকানগুলো খোলা থাকলেও সেখানে বিক্রি ছাড়াই দিন পার করেছেন ব্যবসায়ীরা। টিএসসি মোড়েও দেখা গেছে একই চিত্র। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য আর গণমাধ্যমের কর্মী ছাড়া চোখে পড়েনি তেমন কাউকে।

ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল এবং শেখ হাসিনা বার্ন ইনস্টিটিউট এলাকায়ও খুব বেশি মানুষের আনাগোনা দেখা যায়নি। স্বাভাবিক সময়ে এসব এলাকা জনমানবে পরিপূর্ণ থাকে; এখন স্বাস্থ্যসেবা চালু থাকলেও কঠোর লকডাউনের কারণে সারাদিন এসব জায়গায় সেই ভিড়ের চিহ্নমাত্র নেই।

এদিকে রাজধানীর পুরান ঢাকার চিত্র ছিল আরও করুণ। প্রতি রমজানে পুরান ঢাকার ইফতারের আলাদা একটা কদর থাকলেও এবার করোনা পরিস্থিতিতে জনসমাগম এড়াতে বসেনি সেই ইফতারের বাজার। ফলে একদিকে যেমন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন ব্যবসায়ীরা, তেমিন ক্ষোভে ফুঁসেছেন পুরান ঢাকার বাসিন্দারাও।
এছাড়া পহেলা বৈশাখ হওয়ায় অন্যবার যেখানে রমনার বটমূলসহ পুরো রমনা এলাকা এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা লোকে লোকারণ্য থাকে, এবার সেই চিত্র একেবারেই উল্টো।

রাজধানীর শহীদ মিনার এলাকা, মৎস্য ভবন, পল্টন এবং গুলিস্তান ঘুরেও দেখা গেছে প্রায় একই চিত্র। সবখানেই পুলিশের কঠোর ভূমিকা। একদিকে তারা যেমন সতর্ক করেছেন সবাইকে ঘরের বাইরে না বেরুতে, জনসমাগম না করতে, তেমনি কেউ রাস্তায় বেরুলে জেরার মুখে ফেলেছেন তাকেও।

এ বিষয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর একাধিক কর্মী জানিয়েছেন, মুভমেন্ট পাস ছাড়া আমরা কাউকেই মূলত বাইরে অ্যালাও করছি না। আর সবাইকে সতর্ক করছি যেন কেউ ঘরের বাইরে না আসে।

সারাদিন একই অবস্থা থাকলেও বিকেলে অবশ্য কিছুটা বদলে যায় চিত্র। বিশেষ করে ইফতার কিনতে গিয়ে ঘরের বাইরে বের হন অনেকেই। তবে সবার মধ্যেই লক্ষ্য করা গেছে ঘরের বাইরে বেরুনোর প্রবণতা কম।

বাংলাদেশ সময়: ২১১৩ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৪, ২০২১
এইচএমএস/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
welcome-ad