ঢাকা: রাজধানীর লালবাগ আমরিগোলায় একটি বাসায় মারিয়া আক্তার আফরোজা (১৫) নামে এক স্কুলছাত্রীর অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে।
অপরদিকে হাজারীবাগ গণকটুলীর একটি বাসায় গলায় ফাঁস দিয়ে ইসমাইল হোসেন সাকিব (১৭) নামে এক কিশোর আত্মহত্যা করেছে।
সোমবার (১২ এপ্রিল) বিকেল ৩টার দিকে লালবাগে ও রোববার দিনগত রাত ১টার দিকে সাকিবের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
মৃত মারিয়ার মা শিল্পী বেগম জানান, তাদের বাড়ি বাড়ি শরীয়তপুর জাজিরা উপজেলায়। ২ মেয়ে নিয়ে তিনি আমরিগোলা মাওড়া বাড়ি ভাড়া থাকেন। মারিয়া আজিমপুর গার্লস স্কুলের ১০ শ্রেণিতে পড়ে। তার বাবার নাম ফালান সরদার।
তিনি জানান, তিনি অন্যের বাসায় গৃহপরিচারিকার কাজ করেন। ২ মেয়ের মধ্যে ছোট মারিয়া। মারিয়ার বাবা অন্যত্র থাকে। দুপুরে তিনি কাজ শেষে বাসায় গিয়ে মারিয়াকে অচেতন অবস্থায় দেখতে পান। পরে হাসপাতালে নিয়ে আসেন। কী কারণে তার মৃত্যু হয়েছে সে বিষয়ে কিছু বলতে রাজি হননি তারা।
ঢামেক হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্পের পরিদশর্ক মো. বাচ্চু মিয়া জানান, মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে রাখা হয়েছে। তার গলায় কালো দাগ রয়েছে। বিষয়টি লালবাগ থানা পুলিশকে জানানো হয়েছে।
এদিকে শনিবার দিবাগত রাত ১টার দিকে গণকটুলীর ৩৪/জি নম্বর বাসা থেকে ইসমাইল হোসেন সাকিবের মরদেহ উদ্ধার করে হাজারীবাগ থানার উপ পরিদর্শক এসএম অমিত হাসান। পরে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ মর্গে পাঠায়।
নিহতর সুরতহাল প্রতিবেদনে উল্লেখ করেন, মায়ের অসুস্থতার কারণে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে সে। এই কারণ সে গলাফ ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে।
সাকিবের বড় ভাই আবুল কালাম জানান, তাদের বাড়ি মাদারীপুর কালকিনি উপজেলায়। ৩ ভাই ১ বোনের মধ্যে সবার ছোট সাকিব। পরিবার নিয়ে তারা গণকটুলীর ওই বাসায় থাকতো। পেশায় কিছুই করতো না সে। শনিবার সকালে তার মা মায়া বেগম স্ট্রোক করেন। তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এরপরই শনিবার রাতে বাসায় ফিরে ফ্যানের সঙ্গে মায়ের শাড়ি পেঁচিয়ে গলায় ফাঁস দেয় সে। পরে থানায় খবর দিলে পুলিশ মরদেহটি উদ্ধার করে। কী কারণে সে গলায় ফাস দিয়েছে সে বিষয়ে কিছু জানাতে পারেনি স্বজনরা।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৩৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ১২, ২০২১
এজেডএস/এএটি