ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

জাতীয়

আশুলিয়ায় আ.লীগ নেতার বিরুদ্ধে জমি দখলের অভিযোগ

সাভার করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯১৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ১২, ২০২১
আশুলিয়ায় আ.লীগ নেতার বিরুদ্ধে জমি দখলের অভিযোগ ছবি: বাংলানিউজ

সাভার (ঢাকা): ঢাকার আশুলিয়ায় আওয়ামী লীগের এক নেতার বিরুদ্ধে অবৈধভাবে জমি দখলের অভিযোগ তুলেছেন একই এলাকার মো. খলিলুর রহমান (৬০) নামে এক মৎস্য খামারি।

সোমবার (১২ এপ্রিল) দুপুরে আশুলিয়া থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন ভুক্তভোগী খলিলুর।

অভিযুক্ত ব্যক্তি আওয়ামী লীগ নেতা দেওয়ান মেহেদী হাসান মঞ্জু সাভার উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক। এবং ভুক্তভোগী খলিলুর আশুলিয়া থানার জিরাবো এলাকার মৃত মাঈন উদ্দিনের ছেলে।

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, আশুলিয়ার তৈয়বপুর মৌজার জমি মো. সালাউদ্দিন নামের এক ব্যক্তির পরিবারের কাছ থেকে ২৩ বছর আগে জমিটি ক্রয় করেন খলিলুর রহমান। পরে তিনি সেই জমিতে দীর্ঘ ২৩ বছর যাবত মাছ চাষ করছিলেন। সম্প্রতি দেওয়ান মেহেদী হাসান মঞ্জু নামে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদধারী সাভার উপজেলা আওয়ামী লীগের এক নেতা তার জমি জোরপূর্বক দখল করতে পায়তারা করছেন। গত এক মাস আগে আশুলিয়ার পলাশবাড়ী এলাকায় অবস্থিত ভূমি কার্যালয়ে গেলে মঞ্জু দেওয়ান তার লোকজন নিয়ে রাস্তার পাশে তার মাথায় পিস্তল ঠেকিয়ে তাকে ভয়-ভীতি দেখান এবং জমির ব্যাপারে কোনো ধরনের বারাবারি করতে মানা করেন। সে সময় তাকে প্রাণে মেরে ফেলারও হুমকি দেওয়া হয়। সর্বশেষ গত ৮ এপ্রিল মঞ্জু দেওয়ান তার লোকজন নিয়ে বেআইনিভাবে খুলিলুরের জায়গায় বাশঁ দিয়ে বাউন্ডারি দিয়ে দখল করে নিজ নামীয় সাইনবোর্ড লাগিয়ে দেন।  

ভুক্তভোগী খলিলুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, জমিটি ক্রয় করে দীর্ঘ ২৩ বছর ধরে মাছ চাষ করছি। কিন্তু বছর খানেক আগে পানি দূষিত হয়ে আমার প্রায় ১০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়। এরপর থেকে কিছুদিন যাবত আর চাষ করি না। আর সেই সুযোগে আওয়ামী লীগ নেতা দেওয়ান মেহেদী হাসান মঞ্জু তার লোকজন নিয়ে আমার চার বিঘা জমি দখল করে তার সাইনবোর্ড লাগিয়ে দিয়েছেন। আমি অসহায় মানুষ আমার কোনো লোকজন নাই, তাই আমি সরকারের কাছে এর সুষ্ঠু বিচারের দাবি করছি।

এ ব্যাপারে অভিযুক্ত আওয়ামী লীগ নেতা মঞ্জু দেওয়ান বাংলানিউজকে বলেন, ওই জমি আমার দাদা আমাদের ওয়ারিসদের দিয়ে গেছেন। সেই জমি আমি ওয়ারিসদের থেকে বায়না সূত্রে কিনে নিয়েছি। আর খলিলুর একটি জাল দলিল করেছেন। সেই জাল দলিল নিয়ে অনেক কিছু হয়েছে।  

বিএস রের্কড কার নামে আছে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বিএস রের্কড হয়েছে খলিলুরের নামে। তিনি তার নামে করে নিয়েছেন। আর অভিযোগের বিষয়টি নিয়ে ওসি সাহেবের কাছে যাচ্ছি, আমার সব কাগজপত্র দেখাবো।

এ বিষয়ে অভিযোগের তদন্তকারী কর্মকর্তা আশুলিয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সুদীপ কুমার গোপ বাংলানিউজকে বলেন, এ ধরনের একটি অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৯১৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ১২, ২০২১
এসআরএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।