ঢাকা, শুক্রবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

সড়কে কমেছে রিকশা-অটোরিকশার দাপট

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩১৩ ঘণ্টা, এপ্রিল ৭, ২০২১
সড়কে কমেছে রিকশা-অটোরিকশার দাপট ছবি: শাকিল

ঢাকা: মহামারি করোনা ভাইরাস পরিস্থিতির প্রাদুর্ভাব ঠেকাতে দেশজুড়ে চলছে সরকার ঘোষিত লকডাউন। তবে সার্বিক দুর্ভোগ বিবেচনায় তৃতীয় দিনে এসেই সিটি করপোরেশন এলাকায় অনুমতি দেওয়া হয়েছে গণপরিবহন চলাচলের।

এতে কমেছে গত দুদিন সড়ক দাপিয়ে বেড়ানো অতিরিক্ত ভাড়ায় আদায় করা রিকশা-সিএনজিচালিত অটোরিকশার দাপট।

লকডাউনে প্রায় সব অফিস খোলা থাকায় গণপরিবহনের অভাবে প্রথম দু’দিনে ব্যাপক দুর্ভোগে পড়েছিলেন অফিসগামী যাত্রীরা। তৃতীয় দিনে বাস সড়কে নামতেই অন্য যানবাহনের চাপ কমেছে মুহূর্তে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে অর্ধেক যাত্রী নিয়ে চলাচল করলেও যাত্রীর তেমন চাপ দেখা যায়নি।

বুধবার (৭ এপ্রিল) সকাল থেকেই পূর্বঘোষণা অনুযায়ী রাজধানীজুড়ে চলাচল করছে বাস। আর বাস চলাচলের কারণে পথে কমে গেছে রিকশা ও সিএনজিচালিত অটোরিকশার দাপট।

সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, লকডাউনের খবরে অনেকেই ঢাকা ছেড়েছেন আগেই। প্রয়োজনে যারা ঢাকায় রয়েছেন তারাই গত দু’দিন সড়কে নেমে গন্তব্যে যেতে দুর্ভোগে পড়েছেন। বাধ্য হয়ে তারা প্রায় সবাই সিএনজিচালিত অটোরিকশা বা রিকশা চলাচল করেছেন। ফলে সড়কে প্রচুর চাপ দেখা গেছে। ভাড়াও আদায় করা হয়েছে গলাকাটা।

কিন্তু বাস চলাচল শুরু হওয়ায় অনেক মানুষ একসঙ্গে যাতায়াত করতে পারছে। ফলে সড়কে অন্য যানবাহনের চাপ কমে গেছে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে অর্ধেক যাত্রী নিয়ে বাস চলাচল করলেও বাসে যাত্রীর তেমন চাপ নেই। উল্টো যাত্রী সংকটে পড়েছে এখন বাসগুলো।

রাজধানীর শ্যামলী এলাকার বাসিন্দা সনেট দাস জানান, লকডাউনে প্রায় সব অফিসই খোলা রাখা হয়েছে। সবকিছু খোলা রেখে বাস বন্ধ করে দেওয়ায় অফিসগামীদের সিএনজি অটোরিকশা-রিকশার ভাড়ার নামে বাড়তি জরিমানা যোগ হয়েছিল। কেউ কেউ বাধ্য হয়ে কয়েকজন মিলে একই অটোয় চলাচল করেছেন। এতে স্বাস্থ্যবিধি আরো ঝুঁকিতে পড়ে যায়। এর চেয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে বাস চলাচল করাটা কম ঝুঁকির।

মহাখালীর অফিসে যেতে আলিফ পরিবহনে ওঠা যাত্রী রাখি জানান, বাস চালু হওয়ায় রাস্তায় অন্য পরিবহনের চাপ কমে গেছে। গত দু’দিনে পথে পথে মানুষের যে দুর্ভোগ দেখা গিয়েছিল তাও নেই। এখন বাসগুলো বরং যাত্রী সংকটে পথে পথে স্টপেজ দিচ্ছে।

অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, করোনা সংক্রমণের ভয়াবহ অবস্থার মধ্যে গণপরিহনসহ যে কোনো জনসামগমের জায়গায় ঝুঁকিপূর্ণ। যেহেতু অফিসে যেতেই হচ্ছে সেহেতু যতটা সম্ভব নিজে ঝুঁকিমুক্ত থাকার চেষ্টা ছাড়া কিছুই করার নেই। উল্টো বাস বন্ধ হলে পথে পথে নানা দুর্ভোগে পড়তে হয়।

শিয়া মসজিদ-আব্দুল্লাহপুর রুটে চলাচলরত ভুঁইয়া পরিবহনের সুপারভাইজর রুহুল আমিন জানান, গত দু’দিন বাসের অভাবে মানুষের নানা দুর্ভোগ দেখা গেছে। আজ বাস চলাচলের ফলে মানুষের আর সেই চলাচলের দুর্ভোগ নেই। তবে যাত্রী স্বাভাবিক সময়ের তুলনায় অনেক কম রয়েছে।

সব স্বাস্থ্যবিধি মেনে অর্ধেক যাত্রী নিয়েই বাস চলাচল করছে বলেও জানান তিনি।

**অর্ধেক যাত্রী নিয়ে চলছে গণপরিবহন, সন্তুষ্ট যাত্রীরা
বাংলাদেশ সময়: ১৩০৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৭, ২০২১
পিএম/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।