ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

মোদীর অপেক্ষায় জাতীয় স্মৃতিসৌধ

সাগর ফরাজী ও আবির আব্দুল্লাহ | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১২১ ঘণ্টা, মার্চ ২৬, ২০২১
মোদীর অপেক্ষায় জাতীয় স্মৃতিসৌধ ...

স্মৃতিসৌধ থেকে (সাভার): ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর শ্রদ্ধা জানানোর জন্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে বাংলাদেশের জাতীয় স্মৃতিসৌধ।

শুক্রবার (২৬ মার্চ) জাতীয় স্মৃতিসৌধের সহকারী প্রকৌশলী মিজানুর রহমান বাংলানিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করনে।

মিজানুর রহমান বলেন, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর থেকে হেলিকপ্টার যোগে সরাসরি স্মৃতিসৌধে আসবেন। এখানে প্রথমে তিনি শহীদ বেদীতে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেওয়া শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাবেন। তারপর আমন্ত্রিত অতিথিদের জন্য নির্ধারিত স্থানে একটি অর্জুন গাছের চারা রোপণ করবেন তিনি। শেষে জাতীয় স্মৃতিসৌধ পরিদর্শন বইয়ে স্বাক্ষর করে ঢাকায় ফেরার কথা রয়েছে নরেন্দ্র মোদীর।

এদিকে নরেন্দ্র মোদীর আগমন উপলক্ষ্যে সুসজ্জিত করে রাখা হয়েছে স্মৃতিসৌধসহ ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক। স্মৃতিসৌধের প্রধান ফটকে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি টাঙানো হয়েছে। পাশাপাশি ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের ডিভাইডারে সারিবদ্ধভাবে বাংলাদেশ ও ভারতের জাতীয় পতাকা উত্তলন করা হয়েছে।

এছাড়া নরেন্দ্র মোদীর আগমন উপলক্ষে নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে রাখা হয়েছে জাতীয় স্মৃতিসৌধসহ পুরো নবীনগর এলাকা। রাস্তায় সীমিত পরিসরে গণপরিবহন চলাচল করলেও নবীনগর এলাকায় জনসমাগম নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এজন্য নবীনগরসহ আশেপাশের এলাকায় মোতায়েন করা হয়েছে বিপুল সংখ্যক আইন শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনী।

ঢাকা জেলার পুলিশ সুপার মারুফ হোসেন সরদার বাংলানিউজকে বলেন, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর আগমণ উপলক্ষ্যে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। সকাল সাড়ের আটটা থেকে জনসমাগম ঠেকাতে কাজ করছে পুলিশসহ অন্যান্য আইন শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনী।

নিয়মিত টহলের পাশাপাশি ওয়াচ টাওয়ার ও সিসিটিভি ক্যামেরার মাধ্যমে সার্বক্ষণিক নজরদারী করা হচ্ছে। এছাড়া বিশেষ নিরাপত্তার জন্য কাজ করছে গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা।

এর আগে স্বাধীনতা দিবসের প্রথম প্রহরে জাতীয় স্মৃতিসৌধে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও রাষ্ট্রপতির আব্দুল হামিদ। পরে সকাল সাতটা থেকে আটটা পর্যন্ত জনসাধারণের শ্রদ্ধা জানানোর জন্য উন্মুক্ত রাখা হয়েছিলো স্মৃতিসৌধ। এসময় শ্রদ্ধা নিবেদন করেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও স্বেচ্ছাসেবকলীগের কেন্দ্রীয় নেতারা।

অন্যদিকে সকাল ১০টা পর্যন্ত জনসাধারণের শ্রদ্ধা জানানোর জন্য স্মৃতিসৌধ উন্মুক্ত রাখার কথা থাকলেও আটটায় আবার বন্ধ করে দেওয়া। এসময় ফুল নিয়ে স্মৃতিসৌধের প্রধান ফটকে অপেক্ষা করতে দেখা গেছে ঢাকা জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, বাংলাদেশ জাতীয় পার্টিরসহ বেশ কিছু সংগঠনের নেতাকর্মীদের।

বাংলাদেশ সময়: ১১২১ ঘণ্টা, মার্চ ২৬, ২০২১
কেএআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।