ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

শরণখোলায় ইউপি প্রার্থীর সমর্থকদের সংঘর্ষে আহত ৪২

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮১০ ঘণ্টা, মার্চ ১৯, ২০২১
শরণখোলায় ইউপি প্রার্থীর সমর্থকদের সংঘর্ষে আহত ৪২ হাসপাতালে আহত কয়েকজন। ছবি: বাংলানিউজ

বাগেরহাট: বাগেরহাটের শরণখোলায় দুই ইউপি সদস্য প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে পৃথক সংঘর্ষে নারীসহ অন্তত ৪২ জন আহত হয়েছেন।  

শুক্রবার (১৯ মার্চ) সকাল ১১টায় শরণখোলা উপজেলার সাউথখালী ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য প্রার্থী জাহাঙ্গীর হোসেনের সভায় হামলা চালায় বর্তমান ইউপি সদস্য ডালিমের সমর্থকরা।

এতে ৪ নারীসহ ২২ জন আহত হয়।  

অন্যদিকে একই ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য প্রার্থী আলামিনের মিছিল থেকে বর্তমান ইউপি সদস্য সাইফুল ইসলাম হালিমের সমর্থকদের উপর ইটপাটকেল ছোড়ে। এসময় উভয়ের মধ্যে সংঘর্ষ বেধে যায়। এতে উভয় পক্ষের ৭ নারীসহ ২০ জন আহত হয়। আহতদের শরণখোলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।  

এদিকে ফের সংঘর্ষ এড়াতে ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন শরণখোলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাইদুর রহমান।

১ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য প্রার্থী জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, লোকজন নিয়ে উত্তর সোনাতলা গ্রামের আনোয়ারের দোকানে চা খাচ্ছিলাম। হঠাৎ করে ডালিম মেম্বরের নেতৃত্বে অন্তত ৩০ জনের একটি বাহিনী লাঠি-সোটা নিয়ে আমার লোকজনের ওপর হামলা করে এবং আনোয়ারের দোকান ভাঙচুর করে। এতে দোকানদার আনোয়ারসহ আমার ১৭ জন সমর্থক আহত হয়েছে। আহতদের শরণখোলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেছি। আহতদের মধ্যে দোকানদার আনোয়ারসহ ৫ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাদের খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করেছে চিকিৎসকরা। আমি এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার দাবি করছি।

এ অভিযোগ অস্বীকার করে বর্তমান ইউপি সদস্য শফিকুল ইসলাম ডালিম বলেন, প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী জাহাঙ্গীর হোসেনের লোকজন প্রথমে আমার লোকদের ওপর হামলা করে। পরে একটু হাতাহাতি হয়। এতে আমার অন্তত ৫ জন সমর্থক আহত হয়েছে। এর আগেও আমার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী জাহাঙ্গীর হোসেন আমাকে হুমকি দিয়েছে। পরশুদিন জাহাঙ্গীর ও তার লোকজন আমাকে স্থানীয় মডেল বাজার থেকে বের করে দেয়। এ বিষয়ে আমি থানায় অভিযোগও দিয়েছি।

ইউপি সদস্য সাইফুল ইসলাম হালিম বলেন, আমার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী আল আমিন খান ও তার ভাই বেল্লাল খান মিছিল নিয়ে এসে আমার বাড়িতে ঢুকে আমার লোকজনের ওপর হামলা করে। এতে আমার নিকট আত্মীয়সহ অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছে। এর মধ্যে ৮ জন নারী রয়েছে। আহতদের উদ্ধার করে শরণখোলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। এদের মধ্যে দুই জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাদের খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করেছেন চিকিৎসকরা।

এ অভিযোগ অস্বীকার করে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী আল আমিন খান বলেন, আমি মিছিল নিয়ে হালিমের বাড়ির সামনে দিয়ে যাচ্ছিলাম। হঠাৎ হালিমের কিছু নারী সমর্থক আমাদের ওপর হামলা করে। এতে আমার অন্তত ৪-৫ জন সমর্থক আহত হয়েছে। আর হালিম যে হামলার কথা বলেছে তা সত্য নয়।

শরণখোলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক প্রিয় গোপাল বলেন, কয়েক ধাপে হাসপাতালে আহত রোগী এসেছে। এদের মধ্যে আমরা ২৩ জনকে ভর্তি করেছি। ৩ জনের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এছাড়া জরুরি বিভাগে অন্তত ৫ জন চিকিৎসা নিয়েছেন বলে জানান তিনি।

শরণখোলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাইদুর রহমান জানান, সংঘর্ষের খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। কেউ অভিযোগ করলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৮০৮ ঘণ্টা, মার্চ ১৯, ২০২১
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।