ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

জাতীয়

যৌতুক না দেওয়ায় গৃহবধূর চোখ উপড়ে ফেলার অভিযোগ

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৫৩ ঘণ্টা, মার্চ ১৫, ২০২১
যৌতুক না দেওয়ায় গৃহবধূর চোখ উপড়ে ফেলার অভিযোগ

মাদারীপুর: যৌতুকের টাকা না দেওয়ায় মাদারীপুরের কালকিনিতে সাদিয়া আক্তার (২১) নামে এক গৃহবধূর চোখ উপড়ে ফেলার চেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে। বর্তমানে ওই গৃহবধূ বরিশাল শেরে বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

গত শনিবার (১৩ মার্চ) দুপুরে এ ঘটনা ঘটে।  

জানা যায়, কালকিনির গোপালপুর এলাকার পশ্চিম বনগ্রাম গ্রামের কৃষক বারেক চৌকিদারের মেয়ে সাদিয়ার সঙ্গে একই উপজেলার বালিগ্রাম এলাকার গুঙ্গিয়াকুল গ্রামের কাসেম মোল্লার প্রবাসী ছেলে নাসির মোল্লার প্রায় এক বছর আগে পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই বিভিন্ন সময় স্বামী নাসির মোল্লা স্ত্রী সাদিয়াকে যৌতুকের টাকার জন্য চাপ দিতে থাকেন। কিন্তু সাদিয়ার পরিবার দরিদ্র হওয়ায় দাবিকৃত যৌতুকের টাকা দিতে ব্যর্থ হন। এনিয়ে বিভিন্ন সময়ে তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হতো। শারীরিকভাবে নির্যাতনের শিকারও হতেন গৃহবধূ সাদিয়া।

গত শনিবার যৌতুক নিয়ে আবারও কথা উঠলে এক পর্যায়ে স্বামী ও স্বামীর পরিবারের লোকজন সাদিয়াকে মারধর করে চোখ উপড়ে ফেলার চেষ্টা করেন। খবর পেয়ে সাদিয়ার পরিবার কালকিনির ডাসার থানা পুলিশের সহযোগিতায় তাকে উদ্ধার করে বরিশাল হাসপাতালে ভর্তি করেন।

এ ঘটনার পরপরই নির্যাতিতা সাদিয়ার মা পারভীন বেগম বাদী হয়ে স্বামী নাসির মোল্লাসহ ৮ জনকে আসামি করে ডাসার থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। এদিকে এ ঘটনার পর থেকে স্বামী ও শ্বশুর বাড়ির লোকজন পলাতক রয়েছে।

নির্যাতিতার মা পরভীন বেগম বাংলানিউজকে বলেন, যৌতুকের টাকা দিতে না পারায় আমার মেয়েকে দিনের পর দিন প্রচণ্ড মারধর করতো নাসির। এবং তার পরিবারের লোকজন নিয়ে গত শনিবার আমার মেয়ের দু’চোখ উপড়ে ফেলার চেষ্টা করে।

ডাসার থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) রিপন মোল্লা বাংলানিউজকে বলেন, খবর পেয়ে আমি ওই গৃহবধূকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করেছি। নির্যাতনের বিষয় মামলা হয়েছে। আসামিদের গ্রেফতারের জোর চেষ্টা চলছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৪৯ ঘণ্টা, মার্চ ১৫, ২০২১
এনটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।