ঢাকা, শুক্রবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

সড়ক তো নয় যেন মরণ ফাঁদ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯২১ ঘণ্টা, মার্চ ৭, ২০২১
সড়ক তো নয় যেন মরণ ফাঁদ

লক্ষ্মীপুর: ব্যস্ততম সড়কে প্রতি মিনিটেই যাওয়া ও আসা করে বিভিন্ন যানবাহন। কিন্তু সড়কই যখন মরণ ফাঁদ হয় তখন চালক, যাত্রী ও পথচারীদের ভোগান্তি পোহাতে হয়।

এমনকি যেকোনো সময় দুর্ঘটনার চিন্তা মাথায় নিয়ে ওই সড়কে চলতে হয়।

লক্ষ্মীপুরের চন্দ্রগঞ্জ গ্যাস পাম্প থেকে দাসের হাট সড়কটির মাঝখানে দাঁড়িয়ে থাকা কয়েকটি বৈদ্যুতিক খুঁটি মরণ ফাঁদ তৈরি করে রেখেছে। এতে দিনের বেলায় কম হলেও রাতে সড়কটি মরণকূপে পরিণত হয়। আর নতুন চালকদের জন্য দিনের বেলাও সড়কটি ঝুঁকিপূর্ণ।

ঠিকাদারের মাধ্যমে দ্রুত খুঁটি সরানোর আশ্বাস দিয়েছেন লক্ষ্মীপুর পল্লী বিদ্যুৎ বিভাগের সিনিয়র জেনারেল ম্যানেজার আবু তাহের।

এদিকে ২০ ফুট প্রশস্ত ওই সড়কে প্রতিদিনই শত শত মালবাহী ট্রাক-পিকআপ ভ্যান, যাত্রীবাহী সিএনজিচালিত অটোরিকশা চলাচল করে। চন্দ্রগঞ্জ থেকে সড়কটি দিয়ে চরশাহী, দাসেরহাট ও ভবানীগঞ্জের হাজারো মানুষ যাতায়াত করে। কিন্তু ওই সড়কের মাঝখানে থাকা বৈদ্যুতিক খুঁটিগুলো এখন মরণ ফাঁদ হিসেবে পরিণত হয়েছে। চরশাহী গ্রামের সড়কের বিভিন্ন স্থানে কয়েকটি কবরস্থান দেখা গেছে। যে কারণে ওইসব স্থানে সড়ক প্রশস্ত করণ করা সম্ভব হয়নি। ওই সড়কের পূর্ব পাশে রয়েছে একটি খাল। খুব দ্রুত সড়কের মাঝ থেকে খুঁটিগুলো অপসারণ করা না হলে যেকোনো সময় বড় দুর্ঘটনা ঘটার আশঙ্কা করছে স্থানীয়রা।

ফোছিয়া রহমান নামে স্থানীয় এক বৃদ্ধ জানান, রাতে নামাজ পড়তে যাওয়ার সময় সড়ক পারাপার হতে গিয়ে খুঁটির সঙ্গে তার ধাক্কা লেগেছে। এতে তিনি মাথায় ব্যথা পেয়েছেন। খুঁটিটি মাঝ রাস্তায় রেখেই সড়ক প্রশস্ত করা হয়েছে। দ্রুত এর অপসারণ না করলে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।

লক্ষ্মীপুরের চন্দ্রগঞ্জ থেকে দাশের হাট যাওয়ার প্রধান সড়ক এটি। এ সড়কের চরশাহী গ্রাম নামক স্থানে একটি বিদ্যুতের খুঁটি। সড়কের মাঝখানে এমন খুঁটি যেন এখন আতঙ্কের নাম। প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনা হচ্ছে সেখানে। এছাড়া অনেকে রয়েছে আতঙ্কে।  

স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বেশ কয়েক বছর আগে এ গ্রামে বিদ্যুৎ এসেছে। তখন বিদ্যুতের খুঁটি সড়কের পাশে ছিল। গতবছর সড়ক প্রশস্ত করায় খুঁটিটি সড়কের মাঝখানে পড়ে যায়। তবে বিদ্যুৎ ও সড়ক বিভাগের উদাসীনতার কারণে বছর পেরিয়ে গেলেও খুঁটিটি সরানো হচ্ছে না। সড়ক প্রশস্তকরণের দায়িত্বে থাকা ঠিকাদারও মনগড়াভাবে রাস্তার মাঝখানে খুঁটি রেখে রাস্তার কাজ প্রায় সম্পন্ন করছেন। এনিয়ে স্থানীয়রা বারবার অভিযোগ করলেও সংশিষ্ট কর্তৃপক্ষ কর্ণপাত করছে না।

বিদুৎ বিভাগের সিনিয়র জেনারেল ম্যানেজার আবু তাহের বাংলানিউজকে বলেন, এ সড়কে বেশ কয়েকটি খুঁটি রাস্তার মাঝে ছিল। সেগুলো সরানো হয়েছে। এখনো যে কয়েকটি আছে সেগুলো ঠিকাদারের মাধ্যমে দ্রুত সরানো হবে।

বাংলাদেশ সময়: ০৯১৮ ঘণ্টা, মার্চ ০৭, ২০২১
এসএইচডি/আরআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
welcome-ad
welcome-ad