ঢাকা, শুক্রবার, ৫ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

কপিরাইটের আওতায় আসছে বঙ্গবন্ধুর ভাষণ

দীপন নন্দী, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০২৩ ঘণ্টা, মার্চ ৭, ২০২১
কপিরাইটের আওতায় আসছে বঙ্গবন্ধুর ভাষণ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ভাষণ

ঢাকা: কপিরাইটের আওতায় আসতে যাচ্ছে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের গুরুত্বপূর্ণ ভাষণগুলো। ইতোমধ্যেই বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণের কপিরাইট বুঝে পেয়েছে বাংলাদেশ।

যা গেলো কয়েক বছর ধরে ভারতীয় একটি কোম্পানি নিজেদের বলে দাবি জানিয়ে আসছিল।

এ বিষয়ে সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ বাংলানিউজকে বলেন, ‘আমরা বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণসহ গুরুত্বপূর্ণ ভাষণগুলোর কপিরাইট করার বিষয়ে কাজ করছি। আমাদের কপিরাইট অফিস এ বিষয়ে খোঁজ খবর নিচ্ছে। তবে আমরা জাতির পিতার ভাষণগুলোর কপিরাইট করে সঠিকভাবে সংরক্ষণ করবো। যাতে নতুন প্রজন্ম সঠিক ইতিহাস জানতে পারে। ‘

কোনো প্রকার কপিরাইট না থাকায় বঙ্গবন্ধুর গুরুত্বপূর্ণ প্রায় সব ভাষণেরই যথেচ্ছ ব্যবহার হয়ে আসছে। বিভিন্ন বইয়ে বিকৃতরূপে ছাপা হচ্ছে বঙ্গবন্ধুর ভাষণ। সে সঙ্গে বিভিন্ন ইউটিউব চ্যানেলও নিজেদের মতো করে প্রচার করে আসছে বাংলাদেশের ইতিহাসের অন্যতম স্মারক ভাষণগুলো।

তবে সবচেয়ে ভয়ংকর ঘটনা ঘটেছে বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণ নিয়ে। কোনো প্রকার কপিরাইট না থাকায় এ ভাষণের মালিকানা দাবি করে অনলাইনে ভিডিওটি আপলোড করে বসে ভারতীয় একটি প্রতিষ্ঠান। এ থেকে অর্থও কামিয়েছি দেদার।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ইউটিউবে ‘শোনো একটি মুজিবরের থেকে’ শিরোনামে বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণ আপলোড করে পশ্চিমবঙ্গের প্রতিষ্ঠান ইনরেকো ইন্টারন্যাশনাল প্রাইভেট লিমিটেড। গান ক্যাটাগরিতে ভাষণটি আপলোড করে দেদারসে অর্থ উপার্জন করেছে। শুধু আপলোড করেই ক্ষান্ত হয়নি জালিয়াত প্রতিষ্ঠানটি। তারা ভাষণটির লাইলেন্সও নিজেদের বলে দাবি করে বসে।

গত বছরের আগস্টে এ বিষয়ে তথ্য পায় সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়। এর পরেই বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক এই ভাষণটির কপিরাইটের জন্য কাজ শুরু করে। এ বিষয়ে কাজ মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন প্রতিষ্ঠান কপিরাইট অফিস।

প্রায় সাত মাস পরে গেলো ৪ মার্চ বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ভাষণটির কপিরাইট পাওয়ার চিঠি পেয়েছে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়।

এ বিষয়ে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ে সচিব মো. বদরুল আরেফিন বাংলানিউজকে বলেন, ‘আমরা ৭ই মার্চের ভাষণের কপিরাইট পাওয়ার চিঠিটি ইতোমধ্যেই হাতে পেয়েছি। এভাবেই পর‌্যায়ক্রমে অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ ভাষণগুলোকেও কপিরাইটের আওতায় আনা হবে। ’

বঙ্গবন্ধুর ভাষণগুলোকে কপিরাইটের আওতায় আনার বিষয়টি নিশ্চিত করে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরের কিউরেটর মো. নজরুল ইসলাম খান বাংলানিউজকে বলেন, এখনই মন্তব্য করার মতো কোন অগ্রগতি নেই। অগ্রগতি হলে আমরা গণমাধ্যমকে এ বিষয়টি জানাবো।

বাংলাদেশ কপিরাইট অফিসের রেজিস্ট্রার জাফর রাজা চৌধুরী বলেন, বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণের কপিরাইট আরও আগে হওয়া দরকার ছিল। বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের সত্বাধিকারী তার পরিবার অথবা পরিবারের অনুমতিতে বঙ্গবন্ধু মেমোরিয়াল ট্রাস্ট হতে পারে।

তিনি বলেন, কপিরাইট করা না হলে, ভাষণের ভুল উপস্থাপনের জন্যও কিন্তু কপিরাইট আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া যায় না।

জানা গেছে, তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান চলচ্চিত্র করপোরেশনের চেয়ার‍ম্যান এ এইচ এম সালাহউদ্দিনসহ বেশ কজন ১৯৭১ সালের ৭ মার্চের ভাষণের ভিডিও রেকর্ড করেন। তবে ভাষণটির ভিডিও ধারণের ক্ষেত্রে অভিনেতা আবুল খায়েরের নাম বেশি আসে।

বাংলাদেশ সময়: ০০২৩ ঘণ্টা, মার্চ ০৭, ২০২১
ডিএন/এমএমএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।